রুয়ান্ডা ও বসনিয়া যুদ্ধের নৃশংস যৌন নির্যাতন এবং শাস্তি
বিশ্বজুড়ে নানা সময়ে যুদ্ধে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতার ঘটনা, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এর বিচার, অপরাধের গুরুত্ব ও ঐতিহাসিক অবস্থান নিয়ে গবেষক হাসান মোরশেদের তিন পর্বের ধারাবাহিক ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের জন্য।
আজ পড়ুন এর দ্বিতীয় পর্ব।।
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের প্রায় পাঁচদশক পর, রাফায়েল লেমকিন মারা যাওয়ার পঁয়ত্রিশ বছর পর একই সাথে জেনোসাইড এবং নারীর বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা প্রাসঙ্গিক হয়ে ফিরে আসে রুয়াণ্ডা ট্রাইব্যুনালে -১৯৯৫ সালে। মধ্য আফ্রিকার ছোট্ট দেশ রুয়ান্ডায় জেনোসাইড শুরু হয় ৬ এপ্রিল ১৯৯৪।
ক্ষমতাসীন সংখ্যাগরিষ্ঠ হুটু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু তুৎসীদের ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এই জেনোসাইড ঘটায়। ১০০ দিন ধরে চলা নৃশংসতায় খুন হয় আট থেকে দশ লক্ষ তুৎসী।
এই জেনোসাইডের আরেক ভয়ংকর দিক ছিলো তুৎসী নারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যৌন সহিংসতা। রেডিওতে উস্কানী দেয়া হয়- তুৎসী নারীরা কলাকৌশলে হুটু পুরুষদের দাস বানিয়ে রাখছে। হুটু মিলিশিয়ারা নারীদের ধর্ষণ, গনধর্ষণ ও ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। সরকারি উদ্যোগে সাধারন হুটু পুরুষদের উৎসাহিত করা হয় ধর্ষণে। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা গননা সম্ভব না হলেও ১০০ দিনের বিভীষিকায় কমপক্ষে আড়াই লক্ষ তুৎসী নারী যৌন সহিংসতার শিকার হন।
সবচেয়ে নৃশংস ঘটনা ঘটে এ সময়। এইচআইভি আক্রান্ত হুটু পুরুষদের দিয়ে পরিকল্পনামতো তুৎসী নারীদের ধর্ষণ করানো হয় যাতে তুৎসীদের মধ্যে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর একটি এনজিওর সমীক্ষায় জানা যায়- ধর্ষিতা নারীদের ৬৭% এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন।
৮ নভেম্বর ১৯৯৪ তারিখে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রেজুলেশন ৯৫৫ গৃহীত হবার মাধ্যমে International Criminal Tribunal for Rwanda( ICTR) গঠিত হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এবং ১৯৯৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে রুয়ান্ডা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রে রুয়ান্ডার নাগরিকদের দ্বারা সংগঠিত জেনোসাইড, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধের তদন্ত ও বিচার করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।
এটিই প্রথম আদালত যা ১৯৪৮ সালে গৃহীত জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনকে আমলে নিয়ে জেনোসাইডের অপরাধে প্রথম দণ্ড প্রদান করেছে।
এছাড়া আইসিটিআর-ই সর্বপ্রথম নারীর বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতাকে ‘জেনোসাইডাল ক্রাইম’ বলে স্বীকৃতি দেয় এবং এই অপরাধে শাস্তি প্রদান করে। টাবা শহরের মেয়র জাঁ পল আকাইশু ‘জেনোসাইডাল রেপ’ এর অভিযোগে দণ্ডিত হয় এবং বিচারক রায় ঘোষনাকালে বলেন- “From time immemorial, rape has been regarded as spoils of war. Now it will be considered a war crime. We want to send out a strong message that rape is no longer a trophy of war.”
জাঁ পল আকাইশু পেশায় একজন শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ ছিল। ভদ্র সজ্জন হিসাবে তার পরিচিতি ছিল এবং সে টাবা শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়। মেয়র হিসাবে তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ছিল এবং স্থানীয় পুলিশের উপর তার নিয়ন্ত্রণ ছিল।
এপ্রিল মাসে জেনোসাইড শুরু হবার পর, টাবা অঞ্চলে ব্যাপকভাবে তুৎসী নারীরা ধর্ষণের শিকার হন, ধর্ষণ শেষে তাদের হত্যাও করা হয়। পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনী ধর্ষন প্রতিরোধে কোন উদ্যোগ নেয়নি বরং অনেকক্ষেত্রে নিজেরাও অংশ নেয়। আকাইশু’র বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে যে সে সশস্ত্র হুটুদের হাতে শহরের তুৎসী নাগরিকদের তালিকা তুলে দেয় এবং ঘরে ঘরে তল্লাশির নির্দেশ দেয়।
এপ্রিল ১৯৯৫ তারিখে আকাইশু জাম্বিয়ায় গ্রেপ্তার হয় এবং জাম্বিয়া সরকার তাকে ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করে।
ট্রাইবুনাল প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে পনেরোটি অভিযোগ উত্থাপন করেন- এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ, জেনোসাইড, জেনোসাইডকালে ধর্ষন/ যৌন সহিংসতা, জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ এগুলো অন্যতম। তার পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেখান, আকাইশু নিজে কোন হত্যা বা ধর্ষণে অংশ নেননি এবং সেই পরিস্থিতিতে তার আইনী ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ ছিল না।
আদালত “জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ” করার অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দিলেও জেনোসাইডের অভিযোগে তাকে দণ্ডিত করেন। এর মাধ্যমে ১৯৪৮ এর জেনোসাইড কনভেনশন গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রাসঙ্গিক হয় যে, শারীরিকভাবে অংশ না নিলেও জেনোসাইড এর দায় এড়ানো যাবে না।
১৯৯৮ এর অক্টোবরের দুই তারিখে আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেন। মালে’র একটি কারাগারে জাঁ পল আকাইশু তার কারাদণ্ড ভোগ করছে।
সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ জাতিসংঘ রিপোর্টে যৌন সহিংসতা সংক্রান্ত আদালতের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি উল্লেখ করা হয়ঃ
The Trial Chamber held that rape, which it defined as “a physical invasion of a sexual nature committed on a person under circumstances which are coercive”, and sexual assault constitute acts of genocide in sofar as they were committed with the intent to destroy, in whole or in part, a targeted group, as such. It found that sexual assault formed an integral part of the process of destroying the Tutsi ethnic group and that the rape was systematic and had been perpetrated against Tutsi women only, manifesting the specific intent required for those acts to constitute genocide
ট্রাইব্যুনালের যুগান্তকারী এই রায়ে যুদ্ধ কিংবা শান্তিকালীন যে কোন সময়ে পরিকল্পিতভাবে নারীর বিরুদ্ধে যৌনসহিংসতা একটি জেনোসাইডাল অপরাধ বলে স্বীকৃত হয়।
কাছাকাছি সময়ে ইউরোপে বসনিয়া যুদ্ধের সুত্রপাত হয়। ৬ এপ্রিল ১৯৯২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয় এই যুদ্ধ। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত সার্বরা বসনিয়ানদের হটিয়ে দেশের তিন চতুর্থাংশ দখল করে নেয় এক বছরের মধ্যে। এক একটি শহর ও জনপদে বোমা বর্ষণ করে প্রথমে জনশূন্য করে ফেলে তারা, তারপর দখল নেয়।
১৯৯৫ সালের গ্রীষ্মকালে পূর্ব বসনিয়ার তিনটি শহর বসনিয়া সরকারের দখলে আসে। এই তিনবছরের মধ্যে জাতিসংঘ যুদ্ধ বন্ধের কোন উদ্যোগ নেয়নি। কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যক্তির উদ্যোগ বিফল হয় সার্বদের একগুঁয়েমির জন্য। তিনটি শহর দখলে নেয়ার পর বেঁচে থাকা বসনিয়ানরা এই শহরগুলোতে এসে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ এগুলোকে ‘সেফ হেভেন’ ঘোষনা করে শান্তিরক্ষী পাঠায়। সেব্রেনিকা শহরে ছিলো জাতিসংঘের ডাচ সেনাদল, তাদের উপস্থিতিতে বসনিয়ানরা নিরস্ত্র থাকে।
কিন্তু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের উপেক্ষা করে সার্বিয়ান সৈনিকেরা সেব্রেনিকা ঘেরাও করে ফেলে। নারী ও শিশুদের বাসে করে শহর থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। বাইরে নিয়ে যাবার সময় বাসের ভেতর নারীরা ধর্ষিতা হন আর শহরের ভেতর আটকে থাকা পুরুষেরা খুন হন। কমপক্ষে আট হাজার নিরস্ত্র বসনিয়ান নিহত হন সেব্রেনিকায়।
সেব্রেনিকার পর পর রাজধানীয় সারায়েভোতে বোমা বর্ষন করে হত্যা করে আরো বহু মানুষকে। পরপর এই দুটি ঘটনায়, আন্তর্জাতিক মহলের চাপে শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের বৈঠক বসে, সার্বিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ১ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে যাদের ৮০% বসনিয়ান মুসলিম, বাকীরা ক্রোয়েট। সার্বিয়া জাতিসংঘের আল্টিমেটাম উপেক্ষা করে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, উচ্ছেদ চালিয়ে যেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ন্যাটো বাহিনী এগিয়ে আসে বসনিয়া-ক্রোয়েট যৌথ বাহিনীর সমর্থনে। টানা তিন সপ্তাহ ধরে বোমা বর্ষণ করে ন্যাটো সার্বিয়ান আর্মির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়।
২৬ সেপ্টেম্বর সার্বিয়া, বসনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনপক্ষ ষাট দিনের অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয়। এর মধ্যে শান্তিচুক্তির কাজ চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৫, প্যারিসে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিন বছরব্যাপী ভয়াবহ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। সার্বিয়ার শ্লোভেডান মেলোভিচ, বসনিয়ার আলিজা ইজেটভেগোভিচ এবং ক্রোয়েশিয়ার ফ্রাঞ্চো টোডম্যান নিজ নিজ দেশের পক্ষে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন। স্বঘোষিত বসনিয়ান সার্ব রিপাবলিকের প্রধান রাদোভান কারাদজিচ পালিয়ে যায়।
যুদ্ধচলাকালীন সময়েই ১৯৯৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় বসনিয়া যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি বিধানের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়।
নেদারল্যান্ডে দ্যা হগ এ স্থাপিত হয় International Criminal Tribunal for the former Yugoslavia (ICTY) । পরবর্তী সময়ে এই ট্রাইব্যুনালের তদন্তে অকল্পনীয় সব অপরাধ বিশেষ করে সার্ব সেনাদের দ্বারা সংগঠিত যৌন সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া যেতে থাকে।
তিনবছর সময়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার বসনিয়ান মুসলিম নারী যৌন সহিংসতার শিকার হন। যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করা, স্তনাগ্র কেটে ফেলা, গর্ভবতী নারীদের পেট চিরে দেয়ার মতো নৃশংস সব ঘটনা ঘটায় সার্বরা। কমিশনে সাক্ষী দিতে আসা নারীরা জানান- ধর্ষণ করে তাদের আটকে রাখা হতো যেনো ভ্রুন নষ্ট করতে না পারে। ভ্রুন নষ্ট করার সময় পেরিয়ে গেলে তারপর তাদের ছেড়ে দেয়া হতো। বসনিয়ার পুরুষদের হত্যা করে, নারীদের গর্ভে সার্ব শিশুর জন্ম দিয়ে বসনিয়ান জাতিকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করে ফেলাই ছিলো সার্বদের যুদ্ধ পরিকল্পনা।
এই পরিকল্পনায়, তারা এক একটা গ্রাম দখল করে পুরুষদের মেরে ফেলে নারীদের বাঁচিয়ে রাখতো। তারপর ইচ্ছেমতো যে কোন নারীকে যে কোন সময় তারা ধর্ষণ করত। শুধুরা নারীরা নন, কিশোররাও ধর্ষণের শিকার হতো। একজন বন্দীকে দিয়ে অপর বন্দীকে ধর্ষণ করানোর মত ঘটনাও ঘটাতো তারা।
যৌন সহিংসতার শিকার বসনিয়ান মুসলিম নারীদের একজন নুসরেতা সিভাক। নুসরেতা ছিলেন আইনবিশেষজ্ঞ। ২৭ বছর বয়সে ১৯৭৮ সালে তিনি বিচারক হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন এবং অত্যন্ত সুনামের সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
১৯৯২ সালের এপ্রিল মাসে তার শহর সার্বিয়ানরা দখল করে নিলে বিচারকের পদ থেকে তিনি অপসারিত হন। নাৎসীরা যেমন ইহুদীদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য ‘স্টার অফ ডেভিড’ চিহ্ন পরিধান করতে বাধ্য করত- সার্বরাও নির্দেশ দেয় প্রত্যেকে বসনিয়ান মুসলিম ও ক্রোয়েটদের সাদা কাপড় বাহুতে বেঁধে রাখতে হবে এবং বাড়িতে সাদা পতাকা উড়াতে হবে।
দু’মাস পর নুসরেতাকে বলা হয় স্থানীয় সেনা দপ্তরে দেখা করার জন্য। নুসরেতা ভেবেছিলেন হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেবে। সেনা দপ্তর থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওমরস্কা ক্যাম্পে। তিনিসহ আরো ৩৬ নারী এবং ৮৫০০ পুরুষ। পুরুষদের নির্যাতন করে রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রাকে তুলে দিত আর নারীদেরকে সেই রক্ত পরিস্কার করতে হতো। প্রথম রাত থেকে শুরু হয় প্রত্যেককে ধর্ষণ, উপুর্যপরি গণধর্ষন।
ধর্ষনের সহিংসতায় চারজন নারী মারা যান, একজনকে পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধ শেষে নুসরেতা সিভাক ধর্ষণকে অপরাধ হিসাবে গন্য করার জন্য জনমত গঠন করেন।
সেব্রেনিকার হত্যাকাণ্ডকে জেনোসাইড হিসাবে স্বীকৃতি দেয় ট্রাইব্যুনাল এবং জেনোসাইডের অপরাধে বসনিয়ান সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচকে ৪০ বছরের এবং সার্ব সেনাদলের প্রধান জেনারেল রাটকো ম্লাডিককে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করে।
ট্রাইব্যুনাল ধর্ষণকে নির্যাতন (Torture) হিসাবে অভিহিত করে এবং ধর্ষণের উদ্দেশ্যে বন্দী করাকে (Sexual Enslavement) মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গন্য করে। অভিযুক্তদের ৪০ শতাংশের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের পাশাপাশি যৌন সহিংসতার অভিযোগ আনা হয় এবং মোট দণ্ডিতের এক তৃতীয়াংশের বেশি যৌন সহিংসতার অপরাধে দণ্ডিত হয়।
[চলবে…]
প্রথম পর্ব- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যৌনসহিংসতা, কমফোর্ট উওম্যানের কান্না
তৃতীয় পর্ব- ৭১’র যৌন সহিংসতা: ট্রাইব্যুনালে কবে আলাদা গুরুত্ব পাবে?