অন্যের ইচ্ছায় জীবন কাটিয়ে নিজের অধিকার খর্ব করছেন
মেহেরুন নূর রহমান।। ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর “আমার শরীর আমার পছন্দ” এই বিষয়টির উপর লেখা আহ্বান করেছে। নানা ঝামেলায় থাকি তারপরও ভাবলাম ঠিক আছে এই বিষয়ে একটা লেখা না হয় লিখেই ফেলি। প্রথমেই মনে হলো এটা বোঝা খুব জরুরি এই স্লোগানটি দ্বারা ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে। আমার শরীর আমার পছন্দ কথাটার মানেই বা কী? কেনই বা নারীবাদীরা এই স্লোগানটিকে গ্রহণ করেছেন।
‘আমার শরীর আমার পছন্দ’ একটি স্লোগান যা একজন ব্যক্তির শারীরিক স্বায়ত্তশাসন, নিজস্বতা বা স্বাতন্ত্র এবং পছন্দের স্বাধীনতার ধারণাকে প্রতিনিধিত্ব করে।
শারীরিক স্বায়ত্তশাসন মানে বাহ্যিক আধিপত্য ছাড়া নিজের শরীরের উপর আত্মনিয়ন্ত্রণ রাখা । নিজের শরীরের উপর স্ব-মালিকানা থাকা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আপনি কবে বিয়ে করবেন বা বাচ্চা নেবেন এই অধিকারটুকু আপনার থাকা উচিত।
শারীরিক নিজস্বতা বা স্বাতন্ত্র হলো নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখা এবং নিজের দেহের উপর আত্ম-সংকল্পবদ্ধতা থাকা। জোর করে কারো শরীরের স্বাতন্ত্রকে খণ্ডন করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অনৈতিক কাজ হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন রূপান্তরকামী বা সমকামীকে জোর করে বিষমকামী করতে চান তবে সেটা হবে তার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এটাকে অপরাধমূকলক আচরণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
পছন্দের স্বাধীনতা হলো কোন রকম আরোপ ছাড়া, কারো নিয়ন্ত্রনের বাইরে থেকে, একের অধিক সুযোগের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সুযোগটিকে গ্রহণ করার অধিকার। মনে করেন আপনি কোন পার্টিতে যাবেন। আপনার শাড়ি, সালোয়ার কামিজ বা শার্ট প্যান্ট পরার অপশন রয়েছে। কারো প্রভাব ছাড়া , কারো হকুম বা আধিপত্য ছাড়া আপনার পছন্দের পোশাকটি পরার অধিকারকে বলতে পারেন পছন্দের স্বাধীনতা।
নারীবাদীরা বিশ্বাস করে যৌনতা, বিবাহ এবং প্রজনন সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নারীদের নিজস্ব মতামত দেবার অধিকার থাকা উচিত সবচেয়ে উপরে আর এই কারণে তারা ‘আমার শরীর আমার পছন্দ’ স্লোগানে বিশ্বাসী। নারী বা যে কোন লিঙ্গের শরীরকে সম্পত্তি মনে করার মত আচরণকে অস্বীকার করে এই ধারণা। এই স্লোগান বা মতবাদ নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা তাদের বুঝতে শেখায় নিজের শরীরের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকা কত জরুরি, না হলে তারা যে কারো দ্বারা অতি সহজেই এক্সপ্লয়টেড হতে পারে ।
আমাদের দেশে মেয়েদের নিজের শরীরের উপর নিজের কোন অধিকার কি সত্যিই আছে? নারীদের একটি বৃহত্তর অংশের নিজের শরীরের উপর নিজের অধিকারটুকুও নেই। তারা কী পোশাক পরবে, কীভাবে চলবে, কবে বিয়ে করবে, বা কবে বাচ্চা নেবে, কয়টা বাচ্চা নেবে সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় অন্যের দ্বারা।
আপনি বড় হচ্ছেন, যদি মধ্যবিত্ত ঘরের হন তাহলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্কার্ট বা জিন্স টপ্স পরতে পারবেন না কারণ কে কী বলবে। আপনার পরিবার আপনাকে বাধা দেবে। যথেষ্ট ‘শোভন’ পোশাক পরে আছেন, হয়তো ওড়না পরার কোন প্রয়োজন নাই তারপরও আপনাকে পরতে হচ্ছে কারণ কে কী বলবে। এই সমাজ অতি সহজেই আপনাকে আপনার পোশাক দেখে যে কোনো তকমায় আখ্যায়িত করতে পারে যা হতে পারে আপনার এবং আপানার পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক। তাই প্রতিনিয়ত আপনি আপনার পছন্দকে, ইচ্ছাকে অস্বীকার করে নিজের অধিকার খর্ব করে চলছেন।
এই সমাজ ব্যবস্থায় সুন্দরী মানে ফর্সা হওয়া। ভালো বর পেতে হলে মেয়েদের ফর্সা হতে হবে, সুন্দরী হতে হবে। তাই মেয়েরা ব্যবহার করে নানা রকম ফর্সা হবার ক্রিম, লোশন ইত্যাদি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইসব জিনিস তাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। সমাজের কারণে মেয়েরা নিজস্ব স্বকীয়তা বর্জন করছে, গায়ের রং পরিবর্তন করছে। অন্যের ইচ্ছায় চালিত হচ্ছে তারা। তাদের উপর যে অন্যায় হচ্ছে, তারা যে সমাজের দ্বারা শোষিত হচ্ছে , সেটাও টের পাচ্ছে না।
আপনি পড়াশোনা শেষ করেছেন, ভাবছেন ক্যারিয়ার একটু গুছিয়ে নেবেন, তারপর বিয়ে করবেন। কিন্তু তা তো হবার নয়। আপনার পরিবার, এই সমাজ আপনাকে পাগল করে দেবে কেন আপনার বিয়ে হচ্ছে না এই কথা বলে বলে। আমার এক বন্ধুর বিয়ে হয়েছিল একটু দেরিতে। খুব ভালো জব করতো করতো, কারো মুখাপেক্ষী ছিল না। তারপরও প্রতিদিন তাকে তার বাবা-মায়ের কালো মুখ দেখতে হতো, নানা কথা শুনতে হতো। আত্মীয় স্বজন আর পাড়াপড়শির কথা না হয় ছেড়ে দিলাম। আমার বন্ধুটি শেষের দিকে কোন সোশ্যাল অনুষ্ঠানে যাওয়ায় ছেড়ে দিয়েছিল মানসিক যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য।
অনেক মেয়ের কাহিনী জানি যারা অনিচ্ছাসত্ত্বেও পরিবারের চাপে, সমাজের চাপে বিয়ে করেছে, আর তাতে ধ্বংস হয়েছে তাদের সম্ভাবনাময় কেরিয়ার, স্বপ্ন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার চাপ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বিয়ের পর আপনি কবে বাচ্চা নেবেন কিংবা বাচ্চা যদি না নেন কেন নিচ্ছেন না এটাও তাদের ভীষণ মাথা ব্যাথার কারণ।
একটা মজার ঘটনা মনে পড়ল। আমার এক বান্ধবী বিয়ের প্রায় ৬/৭ বছর পর্যন্ত কোনো সন্তান নেয়নি। এটি তাদের স্বামী স্ত্রীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল। দুজনেই কেরিয়ার গড়তে চেয়েছিল প্রথমে। আমার বান্ধবীটির বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর তার পুরোনো এক ইউনিভার্সিটির ফ্রেন্ডের (ছেলে) সাথে দেখা হয়েছে। গল্পে গল্পে সেই পুরোনো বন্ধুটি জানতে পেরেছে যে আমার বান্ধবীর এখনো পর্যন্ত কোন সন্তান হয়নি। এটা জানার পর সে কিছু বলেনি, কিন্তু চলে যাওয়ার আগে আমার বান্ধবীকে বলল যে, তার একজন ভালো গাইনীর ডাক্তার জানা আছে যে তাকে (আমার বান্ধবীকে) সাহায্য করতে পারবে বাচ্চা নেবার ব্যাপারে। বিয়ের ৫ বছর পরেও যেহেতু বাচ্চা হয়নি সুতরাং ওই বন্ধুটি ধরেই নিয়েছে যে আমার বান্ধবী বা তার স্বামীর কোন শারীরিক সমস্যা আছে। ব্যাপারটি যে কারো নিজস্ব সিদ্ধান্ত হতে পারে এটা বেশিরভাগ মানুষই ভাবতে পারে না। ভাবতে পারেন পারেন কী রকম একটি সামাজিক প্রেসারের মধ্যে আমরা বসবাস করি!
নিজে তৈরি না হলেও শুধুমাত্র পরিবার এবং সমাজের চাপে বাচ্চা নেয় অনেক মেয়ে। অনেক সময় ঠিকমতো বাচ্চাদের সাথে বন্ডিংও তৈরি করতে পারে না। এখানে (লন্ডনে) সোশ্যাল সার্ভিসে কাজ করে এমন একজনের কাছ থেকে একটা ঘটনা শুনেছিলাম। লন্ডনে সিলেট থেকে আসা মানুষের আধিক্য বেশি আপনারা সবাই জানেন। সিলেটের একটি অল্প বয়সী মেয়েকে পারিবারিকভাবে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই মেয়েটির বাচ্চা হয়। এসব কিছুর জন্য মেয়েটি প্রস্তুত ছিল না ফলে বাচ্চাটির সাথে সে কোনরকম মাতৃত্বের বন্ধনে জড়াতে পারেনি। এবং এটা পারছে না বলে প্রচন্ড অপরাধবোধ এবং মনোবেদনায় মেয়েটি দীর্ঘ মনোবৈকল্যের শিকার হয়। একপর্যায়ে স্বামীও তাকে ত্যাগ করে। পরে সোশ্যাল সার্ভিস মেয়েটিকে শেল্টার দেয় এবং বাচ্চাটিকে নিয়ে যায়।
আমার শরীর আমার পছন্দ অ্যাবরশনকে সাপোর্ট করে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমরা অনেকে হয়তো গর্ভপাতকেকে সমর্থণ করিনা। এ ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু একজন নারী যে সন্তান ধারণ করবে তার শরীরে, তার অভিমত সবচেয়ে আগে জানা উচিত সে সন্তানটিকে ধারণ করতে চাচ্ছে কি চাচ্ছে না। বলতে পারেন যদি সন্তানের ইচ্ছা নাই থাকে তাহলে সন্তান ধারণ করে কেন? বা কেন তারা এতো কেয়ারলেস হয়? আগেই বলেছি, মেয়েরা কি চাইলেই সবকিছু নিজের ইচ্ছা মত করতে পারে? একটি মেয়ে অসচেতনতার কারণে, বা দুর্ঘটনাবশত গর্ভবতী হতে পারে , আবার যৌন নিগ্রহের কারণেও গর্ভবতী হতে পারে। বাইরে থেকে কারো পারিপার্শ্বিক অবস্থা বোঝার ক্ষমতা আমাদের নাই। তো যেভাবেই গর্ভবতী হোক, একটি মেয়ের অধিকার আছে সিদ্ধান্ত নেবার সন্তানটিকে সে রাখতে চায় কি চায় না।
যৌনতার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মেয়েরা যে কত বঞ্চিত তা সকলেরই কমবেশি জানা। কোন মেয়ের যৌন আকাঙ্ক্ষার কথা বা যৌনসুখ পাবার ইচ্ছার কথা মুখে আনাটাই অনেক বড় পাপ। সেই মেয়েরাই ভালো যারা তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষাকে দমন করে রাখতে পারে। সমাজের জন্য, সমাজের চাপে মেয়েরা তাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকেও প্রশ্রয় দিতে ভয় পায়।
তারপরও ধরুন আপনি একজনকে ভালবাসেন, আপনাদের দুজনের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। তা আপনি সেই মানুষটির সঙ্গে শোবেন নাকি প্লেটনিক সম্পর্ক করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। ধরুন আপনার প্রেমিককে আপনি বিশ্বাস করেন এবং আপনি তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহী। এখন চাইলেই কি সহজে একটি মেয়ে এখানে তার নিজস্ব ইচ্ছা আরোপ করতে পারে? বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে শুচ্ছে, এই খবর কোন কারণে জানাজানি হলে মেয়েটিকে এবং মেয়েটির পরিবারকে যে কি পরিমান অবমাননার ভেতর দিয়ে যেতে হবে তা সহজেই অনুমেয়। আর মেয়েটিকে সইতে হয় নানা অপমান, তার পরিবার এবং সমাজ দুপক্ষ থেকেই। যেন মেয়েটির কলঙ্কে কালো হয়ে গেল পরিবারের সম্মান।
আমাদের দেশে নিজের ইচ্ছামত কেউ তার সেক্সচুয়াল পার্টনার বা যৌনসঙ্গী পর্যন্ত তৈরি করতে পারে না। রূপান্তরিত লিঙ্গ অথবা সমকামীরা কি পারে তাদের পরিচয় সবার সামনে নিতে আসতে? সমাজের ভয়ঙ্কর অনুশাসনে তাদেরকে লুকিয়ে রাখতে হয় পরিচয়। প্রকৃতি প্রদত্ত স্বাভাবিক সত্তাকে তারা আড়াল করে রাখে। এরা কেউ স্বাধীনভাবে তাদের যৌনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে পারে না। সমকামী বা রূপান্তরিত লিঙ্গরা সমাজের চাপে তাদের বিপরীত লিঙ্গকে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে এবং নরকের মতো সংসারযাপন করছে। অথচ এ ব্যাপারে সমাজের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আপনি সমাজের নিয়মের বাইরে যাবেন এটা কেউ মেনে নিতে পারে না।
অনেকেই ভাবেন ‘আমার শরীর আমার পছন্দ’ স্লোগান স্বেচ্ছাচারিতাকে উৎসাহিত করে, যেটা ঠিক নয়। যে স্বেচ্ছাচারী সে এই স্লোগানে বিশ্বাস করুক আর না করুক সে স্বেচ্ছাচারী হবেই। যে অনৈতিক কাজ পছন্দ করে সে যে কোন মতবাদের বাইরে গিয়েই অনৈতিক কার্যক্রম করবে। এই স্লোগান- আপনি যে কারো সম্পত্তি নন, আপনার যে একটা স্বাধীন স্বকীয়তা আছে তার কথা বলে। এই শ্লোগান আপনার শরীরের উপর আপনার নিজের অধিকারের কথা বলে। সেই অধিকার যেটা একজন মানুষের জন্মগত, কিন্তু পিতৃতান্ত্রিক সমাজ যা তার কাছ থেকে কেড়ে নেয় নানা কায়দায়।
মেয়েদের বলছি, আপনি কী পোশাক পড়বেন সে অধিকার হোক আপনার। সমাজ/পরিবারের চাপ নয়, নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন। কবে বিয়ে করবেন, বিয়ের আগে পড়াশোনা শেষ করবেন কি করবেন না, ক্যারিয়ার গড়তে চান কি চান না সে সিদ্ধান্ত আপনারই হোক। বিয়ের পর কবে বাচ্চা নেবেন- সে আপনি এবং আপনার পার্টনার দুজন মিলেই ঠিক করুন। আপনার পার্টনার যদি তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় তাকে বোঝান যে যেহেতু আপনাকে সন্তানটি ধারণ করতে হবে সুতরাং আপনি যখন ঠিক সময় মনে করবেন সেটাই হওয়া উচিত সঠিক সময়।
যৌনতা প্রকাশের ক্ষেত্রেও স্বভাবিক আচরণ করুন। আপনি আপনার প্রেমিকের সাথে শোবেন কি শোবেন না সেটা নিজে ঠিক করুন। এই স্লোগানে বিশ্বাসের সাথে সাথে নিজের দায়বদ্ধতাটুকুও বোঝার যোগ্যতা অর্জন করুন। প্রেমিকের সাথে স্বেচ্ছায় শোবার পর কোন কারণে সম্পর্কটি ভেঙে গেলে যদি আমাকে বিয়ের কথা বলে শুয়েছে জাতীয় নাকি কান্না কাঁদেন তবে এই স্লোগান আপনার জন্য নয়। এই স্লোগান ধারণ করতে হলে আপনাকে আত্মবিশাসী হতে হবে। আত্মনির্ভরশীল হতে হবে, সর্বোপরি সমাজের বাঁকা চোখ এবং অন্যায় নিয়মের বিরুদ্ধে সোজা হয়ে দাঁড়াবার মত মানসিক শক্তি অর্জন করতে হবে।
পরিশেষে বলি, নারীবাদ শুধু মেয়েদের কথা বলে না, বলে নারী পুরুষসহ সকল লিঙ্গের অধিকারের কথা। মানুষ হিসেবে সকলের অধিকার আছে নিজের মত করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার। “আমার শরীর আমার অধিকার” এই স্লোগান হোক সকলের। সমাজের রাঙা চোখ উপেক্ষা করে সকলে বাঁচুক সানন্দে নিজস্ব স্বকীয়তায়।
[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত মুক্তমত লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]