September 20, 2024
কলামফিচার ২

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে কোটা তুলে দেওয়ার কথা বলুন

ফারিহা ইসলাম মুনিয়া।। কিছুদিন আগে জেন্ডার এক্সপার্ট মিটিংয়েএর একটি ওয়েবিনারে অ্যাটেন্ড করেছিলাম। সেখানে একজন জেন্ডার এক্সপার্ট বলেছেন,নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নির্বাচনী এলাকা ভাগ করে দেয়ার ব্যাপারটি নিয়ে৷ স্বাভাবিকভাবেই ভাবলাম, এখানেও এত বিতং করার কী দরকার? কেন তাকে স্পেশালভাবে নির্বাচনী এলাকা ভাগ করে দিতে হবে? নারী বলে এত সুবিধা দেয়া কি ঠিক? নরমালি সে নির্বাচন করতে পারেনা? নারী বলে সে কি দুর্বল? কম কর্মক্ষম?

আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজটা এতটাই একপেশে যে পুরুষতান্ত্রিক একটা অন্যায় থেকে নারীকে রক্ষা করার জন্য যখন  কোনো পলিসি বা মিজার নিতে হয়, তখনই কিছু মানুষ বলে থাকেন- নারী বলেই এত সুবিধা দেয়া হচ্ছে, এগুলো একপেশে আচরন, ঠিক নয়। নারী বলে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পুরুষের প্রতি অবিচার হচ্ছে।

কিন্তু তারা কখনোই স্বীকার করতে চান না, যদি সমাজ নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের প্রতি স্বাভাবিক আচরন করত, জেন্ডার বিভেদ না করত, পুরুষতান্ত্রিক অ্যাগ্রেসিভ রূপ না প্রকাশ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে নারীদের বাধা না দিত, তাহলে আজকে নারীদের জন্য কোনো স্পেশাল মিজার নেয়া লাগতো না। নেয়া লাগে অনেক আগে থেকে চলে আসা বৈষম্যমূলক আচরনের জন্যই, যে আচরনগুলোকে নারীকে অনেক বেশি হেয় ও নিচু করে দেয়।

ধরুন, পুরুষেরা যদি বাসের ভিড়ে  মেয়েদের পাবলিক ট্রান্সপোর্টে হয়রানি না করত, তবে মেয়েদের আলাদা সিট/ আলাদা সুবিধা দেয়ার দরকার ছিল না। এ জীবনে যে কটা দেশে ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে সেসব দেশের  বাসে, সাবওয়েতে, ট্রেনে, কোথাও আমি মেয়েদের জন্য আলাদা সিট রাখতে দেখিনি। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে আলাদা সিট আছে কেবল তিন ধরণের মানুষের জন্য। অতি বৃদ্ধ, প্রেগনেন্ট ও ফিজিকালি ডিজেবলড মানুষের জন্য। কারণ সে দেশে আইন ও সভ্যতা আছে। পুরুষরা মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া তো দূরে থাক, অশালীনভাবে কারো দিকে তাকিয়েও থাকেন না। মেয়েরা সিট না পেলেও স্বাচ্ছন্দ্যে বাকি দশজনের মতই দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। আমাদের দেশে পারেন না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা প্রতিটা মেয়েই জানেন। নতুন করে পুরাতন জিনিস আর বলতে চাচ্ছিনা। সবাই জানেন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে হয়রানির হার কী রকম।

হয়রানি রোধ করতে সরকার নারীদের জন্য আলাদা পরিবহন করার চিন্তা করছে বলে সেভেন্থ ফিফথ প্ল্যানে উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি এবং এইটথ ফিফথ প্ল্যানে এ ইসুটি আবার আসবে কিনা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু তখনও অনেকে বলবেন নারীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দূরে চাকরি করেন, রাত হয়ে গেছে বাড়ি ফিরতে হবে এমন চাকরিজীবী নারী একটা ভিড়ময় বাসে উঠতে গেলে যখন বাসের পুরুষ যাত্রীরা বা হেল্পার হুংকার ছেড়ে বলেন- অই, মহিলা উডাবিনা! বা যখন কোনো নারী বাসে রেপ, হ্যারেস বা মলেস্টের শিকার হয়,তখন কেন মনে হয়না যে সামথিং ইজ রং? হয়রানি দূর করতে মেয়েদের আলাদা বাস দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে কারণ এখনো পুরুষের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নারীরা সাধারণ গণপরিবহনে নিরাপদে জীবন নিয়ে দৈনিক  চলাফেরা করতে পারছেন না, এটাই কি গোটা সমাজের জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয় নয়? নারীরা কেউ কি নিজেদের জন্য স্পেশাল বাস, স্পেশাল সুবিধা সরকারের কাছে নিজে নিজে চেয়েছেন? একজন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে যা প্রাপ্য তাই চেয়েছেন। কিন্তু সেটিও তারা পান নি এসব অপরাধমূলক কাজগুলোর জন্য। পাননি বলেই সরকারকে এগুলো ভাবতে হচ্ছে। তার মানে আসলে কী দাঁড়ায়? এই স্পেশাল বাস কি আসলে নারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার প্রতীক? না পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটি অসুস্থ আচরণের ওপর সজোর চপেটাঘাত?

মেয়েদের প্রাইমারি সেকেন্ডারিতে স্কুলিং লেভেলে বৃত্তি ছেলেদের চেয়ে বেশি। কেন বেশি? কারন গ্রামীণ সংস্কৃতিতে মেয়েদের খুব ছোট বয়সে জোর করে বিয়ে দেয়ার চল আছে, কোনো ছেলে বাচ্চার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি হয়না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের ডিভ্যালুয়েশনের জন্য গরীব পরিবারে মেয়েদের পড়াশোনা অতিরিক্ত খরচ ও আদিখ্যেতা। তবুও বাচ্চা একটা মেয়েকে যেন আরো কিছুদিন পড়তে দেয়া হয় সেজন্য তাকে বৃত্তি দেয়া হয়। টাকা পয়সা পেলে পরিবার হয়ত দয়া করে তাকে আরো দুই বছর স্কুলে পড়তে দিতে পারে। এটা অনেকটা মেয়ের পরিবারকে ম্যানেজ করার জন্য, আর্থিক সাহায্য দিয়ে বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের একটা স্ট্র‍্যাটেজি এবং এটা বেশ ভালই কাজে দিচ্ছে। তবুও সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি লেভেলে মেয়েদের ঝ’রে পড়ার হার ছেলেদের চেয়ে বেশি, সেটি ব্যানবেইসের ২০১৮ এর এডুকেশন রিপোর্টেই দেখেছি। এর মানে হচ্ছে যথেষ্ট সাহায্য দেয়ার পরেও শিক্ষায় অনেক দূর পর্যন্ত মেয়েরা আসতে পারেনা, অথবা বলা উচিত- আসতে দেয়া হয়না। কেন দেয়া হয়না? কারা এই সমস্যাগুলো তৈরি করে? কেন করে?

মেয়েদের পড়াশুনা একটা সময় নষ্ট, ঝামেলা, অপচয় যদি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মনে না করতো, যদি ছোট পুতুল খেলার বয়েসে তাকে বিয়ে দেয়ার চল না থাকতো, তাকে বার বার পড়াশোনা ছেড়ে দেয়ার কথা না বলে যদি তাকে স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে দেয়া হতো, তবে কেবল মেয়ে বলে তাকে অতিরিক্ত বৃত্তি দেয়ার দরকার ছিল না। ছিল কি? এই দরকারটা কারা তৈরি করছে? কেন করছে? মেয়েরা কি নিজেরা নিজেরা গিয়ে  সরকারকে বলেছে আমাদের বেশি বেশি বৃত্তি দিন! মেয়েরা চেয়েছে দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে শিক্ষার নূন্যতম অধিকার, যেটি মানুষের মৌলিক অধিকার! কিন্তু আমাদের সমাজ কি সেটা মেয়েদের করতে দিচ্ছে? নিজেকে প্রশ্ন করুন। তবে এখনো কি বলবেন মেয়েদের বেশি স্টাইপেন্ড দেয়াটা অনুচিত? যেখানে বৃত্তি দিয়েও মেয়েদের বাধা ডিঙানো সম্ভব হচ্ছে না?

চাকরিতেও নারী কোটা দেখা যায়। কেন আছে? নারী বলেই তাকে এত সুবিধা দিতে হবে কেন?

যে দেশে চাকরি করতে চাওয়ায় কয়দিন আগে ঢাবির একটা মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেরে ফেলল, সেই দেশে বসে এই প্রশ্ন করাটা আসলেই শোভা পায়না। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটি মেয়ে চাকরি করতে চাওয়ার জন্য এই আধুনিক সমাজে খুন হয়েছে- এর চেয়ে বড় বৈষম্য আপনি আর কী দেখাতে পারবেন? নারীদের চাকরি পর্যন্ত আসাতে যে বাধার কাঁটাগুলো বিছিয়ে রাখা হয়েছে, সেগুলা না থাকলে কোনো দরকারই ছিল না কোটার। কোটা তোলার ব্যাপারে কথা বলব, কিন্তু কাঁটা তোলার ব্যাপারে সমাজের নীরবতা ও হিপোক্রেসি আমাকে খুব ভাবায়।

একটা মেয়ে পুরুষের তুলনায় সাড়ে তিন গুন বেশি গেরস্থালী কাজ করে (বিবিএস, জেন্ডার স্ট্যাট ২০১৮)। এই সাড়ে তিনগুণ কাজের পুরাটাই পারিশ্রমিকহীন ও বেশ কষ্টকর। স্বামীর মত  ৯টা-৫টা চাকরি করে এসেও ঘরের কাজ তাকে করতে হয়। সেখানে তার শ্রম যায়, বিশ্রাম বা পড়াশোনার সময় দিন দিন হিসাব করতে করতে বছরে পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি কমে যায়। একটা কর্মজীবী  মেয়ে যদি আট ঘণ্টা কাজের পর দিনে কম করে হলেও চার ঘণ্টা রান্নাবান্না ও কেয়ার ওয়ার্ক করেন তাতে বছরে ১৪৬০ ঘণ্টা তার বাড়তি কাজ করতে হয়। এই আনপেইড কাজ অর্থনীতিতে এখনো স্বীকৃতি পায়নি। এরপর বিবাহিত হলে গর্ভধারণের মত একটি চরম কষ্টকর প্রসেসের ভেতর দিয়ে তাকে যেতে হয় যেটি তার শারীরিক মানসিক অবস্থা একেবারে উল্টে পাল্টে দেয়। সামাজিক পারিবারিক বাধা তো আছেই। গ্রামীণ এলাকায় জায়গায় আরো বেশি প্রকট এ সমস্যাগুলো। দেশের বিশাল একটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নারীরা আরো বেশি প্রান্তিক এবং নারীদের মাঝেও নানা রকম প্রান্তিকতা বিদ্যমান।

প্রাকৃতিক ব্যাপারটি বাদে মানব রচিত সিস্টেমের শিকার হয়ে কেবল তার লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য সামাজিক পারিবারিক বাধা ও সাড়ে তিন গুণ কাজের বোঝা মাথায় নিয়ে  নারীকে একজন পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হলে সেটি কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? কোটা করার আগে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কি এ সমাজ তৈরি করেছে? প্রতিদিন সকল ধরণের কেয়ার ওয়ার্ক কেবল নারীরাই করবে, এই ধারনাটি প্রতিষ্ঠিত করে নারীর কাঁধের বোঝা কি অনেক বাড়িয়ে দেয়া হয়নি?

হ্যাঁ, আমি অবশ্যই বলব নারী কোটা তুলে দিন, যেদিন সমাজ এ কাঁটাগুলো তুলে নেবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে, অন্যদের করতে দেবে। যেদিন এইসব সামাজিক বৈষম্যগুলো দূর করতে কথা বলা হবে, নারীর সাড়ে তিনগুণের মাঝে দেড় গুণের ভার সমানভাবে অপরপক্ষ নেবে, সন্তানের যত্ন ও আনপেইড কেয়ার ওয়ার্কে পুরুষ সঙ্গী সমান অংশ নেবে, সমতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে, এরপর আমি কোটা তুলে দেয়ার কথা বলব। আমিও সমতায় বিশ্বাসী। আমি নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটা মানুষের সমতায় বিশ্বাসী। (ইকুয়ালিটি টার্মটায় আসলে ঝামেলা আছে একটু, ব্যাপারটি হবে ইকুইটি ও জাস্টিস)।

তো আসি সেই নির্বাচনী এলাকা প্রসঙ্গে। কেন তিনি এমন প্রস্তাব দিচ্ছেন, সেটির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তাদের কাছে বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রমাণ রয়েছে, বিপক্ষে থাকা পুরুষ প্রার্থীরা জিততে না পেরে ইগোতে বিশাল আঘাত পান। সেই ইগো কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়ার ফলে তাদের জীবনের লক্ষ্যই হয় নারী প্রার্থীকে প্রচণ্ড হেনস্থা করে যাওয়া। সেই নারী নির্বাচিত হলেও তিনি এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পান। ভাড়াটে লোক দিয়ে প্রতিনিয়ত নানা রকম গোলমাল লাগানো হয় তাকে অবদমনের জন্য। একটা সময় সেই নারী সদস্যর হতাশ হয়ে যান। অনেকে কাজ ছেড়ে দেন। কাজ ছেড়ে দেয়ার পর এলাকার মানুষ বলতে থাকেন- ‘মেয়ে মানুষ এগুলা কীভাবে পারবে? একটা পুরুষ মানুষকে ভোট দিলেই ভালো ছিল৷’ কিন্তু বিহাইন্ড দ্যা কার্টেন কী চলছিল, তারা কেমন করে জানবেন?

কাজেই সকলের প্রতি অনুরোধ, এটুকু বোঝার চেষ্টা করুন, নারীবাদীরা যখন ইকুয়ালিটির কথা বলেন, সেটি সবার জন্য সমভাবে বলেন। নারীদের উপর বৈষম্যের বোঝা অনেকগুণ বেশি বলে নারীদের নিয়েই কথা বেশি বলতে হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় পুরুষ জাতির উপর অন্যায় তারা অ্যাডভোকেসি করে। কখনোই সেটি তারা করে না বা চায়না, কারণ অন্যায় সবসময়ই অন্যায়। নারীদের জন্য ইকুইটি ও জাস্টিস পুরুষদের ইকুইটি ও জাস্টিসকেও প্রমোট করে। যদি তবুও কেউ নারীবাদের মূল উদ্দেশ্য মিসইন্টারপ্রেট করে তবে সেটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত বোঝার সীমাবদ্ধতা।

কাজেই নারীদের এক্সট্রা সুবিধা দেয়া হয় বলে যারা তর্ক করেন উপরের লেখা পড়লে খানিকটা বুঝতে পারার কথা যে এটি আসলে প্রকারান্তরে নারীদের গরু মেরে জুতা দান করারই একটি সিস্টেম। এসব কিছু সুবিধা যুগ যুগ ধরে চলে আসা অন্যায় অবিচার ও বৈষম্যমূলক আচরণকে কিছু পরিমাণে হ্রাস করার একটি চেষ্টা মাত্র। কিন্তু সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে এসব স্পেশাল পলিসি, মিজার পুরোপুরিভাবে কাজে আসবে না। কাজেই প্রান্তিক পর্যায় থেকে এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, একদম মূলে গ্রোথিত সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান দরকার। এই অসম সমাজে সো কল্ড কিছু বিশেষ সুবিধা দিলেই অন্যায় বৈষম্যগুলো ঠিক হয়ে যায় না। নারীদের জীবনে অসমতার সমুদ্র এতটাই বিশাল, সেখানে এসব বিশেষ সুবিধা শিশিরকণার মতই ক্ষুদ্র, যা নারীর জীবনকে সমষ্টিকভাবে আমূল বদলে দিতে পারে না। এই অসমতা প্রকৃতিগত নয়, বরং মানব সৃষ্ট। কাজেই নারীও চায় তাকে গুটিকয় সুবিধার মোড়কে না পুরে পূর্ণ নাগরিকের অধিকারগুলো দেয়া হোক, যা রাষ্ট্র দিলে বা দিতে চাইলেও সমাজ দিতে নারাজ।

নারী চায় এই উপমহাদেশে সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তন, যেটি আদতে নারী পুরুষ সকলের জন্যই কল্যাণকর। কাজেই নারীদের ‘স্পেশাল’ বা বাড়তি সুবিধা দেয়া হয় বলে যারা ভাবেন, তারা সঠিক চিত্রগুলো জানেন না। যদি আদতেই ভাবেন এসব  সুবিধা তুলে দেয়া উচিত, তবে আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে মনোযোগ দিন, বৈষম্য নিয়ে কথা বলুন। চোখ খুলে, আসল চিত্র দেখে ও জেনে সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ইকুইটি বা জাস্টিসের যাত্রায় শামিল হোন।

 

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত কলাম লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]