সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্স- নারীর ভেতরে গেঁড়ে বসা ভয়
মেহেরুন নূর রহমান।। ১৯৫৫ সালে সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্স বিষয়টি প্রথম উল্লেখ করেছিলেন ব্রিটিশ লেখক আগাথা ক্রিস্টি তাঁর গোয়েন্দা গল্প হিকরি ডিকরি ডক-এ। ১৯৮১ সালে নিউইয়র্কের সাইকোঅ্যানালিস্ট কোলেট ডাউলিং স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছার সাথে নারীর গভীরে গেঁথে থাকা অন্তর-দ্বন্দ্ব আবিষ্কার করার পর লেখেন তাঁর বই ‘‘The Cinderella complex- Women’s hidden fear of independence”।
বইটি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সেরা বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়। পরবর্তীতে এই বইটি ২৩টি ভাষায় অনূদিত হয়েছিলো।
আমরা প্রায় সবাই সিন্ডেরেলা রূপকথাটি পড়ে বড় হয়েছি। সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্স এই বিখ্যাত রূপকথার প্রধান মেয়ে চরিত্রটির নামানুসারে এবং সেই গল্পে চিত্রিত নারীত্বের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই গল্পে সিন্ডেরেলা সুন্দরী, করুণ, নম্র, গৃহকর্মে পারদর্শী, পরিশ্রমী এবং অন্যদের দ্বারা অন্যায়ভাবে অত্যাচারিত, কিন্তু প্রতিবাদহীন। সে নিজের অবস্থা পরিবর্তনে অক্ষম এবং ভাগ্য পরিবর্তনে জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল। সুশীল, সুলক্ষণা সুন্দরী এই মেয়েটির ভাগ্যে অবশেষে জুটে যায় এক ধনী সুদর্শন রাজপুত্র।
কোলেট ডাউলিং তাঁর নারী রোগীদের কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা শুনতে শুনতে আবিষ্কার করেন যে বেশিরভাগ নারীর মধ্যে রয়েছে সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্সে। তারা সমাজের সংজ্ঞায়িত আদর্শ নারী হতে চায়, নিজের সমস্যা নিজে সমাধানের পরিবর্তে অন্যের সাহায্যের আশায় বসে থাকে। তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে এবং জীবনযাপন করতে ভয় পায়। আবার স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিলেও অজানা এক ভয় বা অস্বস্তির কারণে তারা স্বাধীনতাকে ঠিকমত উপভোগ করতে পারে না। অবচেতনে তারা ভাবে কেউ আসুক, তাদের যত্ন নিক, তাদের উদ্বেগ দূর করুক। বলা হয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি বড় হওয়ার সাথে সাথে এই কমপ্লেক্সের উপসর্গ এবং জটিলতা আরও স্পষ্ট হতে থাকে।
কোলেট অবশ্য এতে আশ্চর্য হননি, কারণ সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্স আমাদের বহু বছরের পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থারই ফলাফল। এখনো নারী নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ এবং বিকাশ করতে পারেনা। তারা ভয় পায় বা তাদের ভয় পেতে বাধ্য করা হয় যে, নিজেদের পুরোপুরি বিকশিত করলে কিংবা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করলে তারা একা হয়ে পরবে। তাদের জীবন হবে প্রেমহীন, ভালোবাসাহীন, রুক্ষ।
কোলেট বলেছেন, ঐতিহ্যগতভাবে নারীদের কাছ থেকে ভয়ের মুখোমুখি হওয়ার এবং একে অতিক্রম করার মত সাহস আশা করা হয়না। মেয়েদের খুব অল্প বয়স থেকেই বোঝানো হয়, শেখানো হয় তাদের সুরক্ষার কাজ ছেলেদের। তাদের সুখ সুবিধা দেখার দায়িত্ব ছেলেদের। মেয়েদের উৎসাহিত করা হয় সে সব ব্যাপারে যা তাদের স্বাচ্ছন্দ্য দেবে এবং যাতে তারা সুরক্ষিত বোধ করবে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বিয়ের কথা বলতে পারি। দেখবেন বিয়ের ব্যাপারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কয়েকশগুন বেশি উৎসাহী, কারণ তারা মনে করে বিয়ে সমাজে তাদের একটি অবস্থান এবং স্বাচ্ছন্দ্য দিতে সাহায্য করবে। বিয়ে তাদের জীবন সহজ করে তুলবে। প্রকৃতপক্ষে মেয়েদের স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য মোটেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়না বরং ছোটবেলা থেকেই তাদের পরনির্ভরশীন থাকার প্রশিক্ষণ এমনভাবে দেয়া হয় যে তারা একটি চক্রের মধ্যে আটকে গিয়ে আক্রান্ত হয় সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্স এ।
নারী মাত্রই স্বাচ্ছন্দ্য বোধের সাথে স্বাধীনভাবে নিজের খেয়াল রাখার, নিজের জন্য নিজের দাঁড়াবার , নিজেকে দৃঢ় করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ পায়না।
কিছু মেয়ে সাহসের সাথে স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের চেষ্টা করে কিন্তু তারা আকাঙ্ক্ষিত স্বাচ্ছন্দ্য বা স্বস্তি থেকে বঞ্চিত হয়। মেয়েরা মনে মনে ছেলেদের এই ভেবে ঈর্ষা করে যে, তারা হয়তো প্রকৃতিগতভাবেই স্বাধীনচেতা বা সাহসী এবং স্বাবলম্বী। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি জানেন? এটা ছেলেদের প্রকৃতিপ্রদত্ত স্বভাব নয়। সোজা ভাষায় বললে এটি প্রশিক্ষণের ফলাফল যা ছেলেদের উপর জন্ম থেকে প্রয়োগ করা হয়। পুরুষদের জন্মের পর থেকেই স্বাধীনতার জন্য শিক্ষিত করা হয়। আর মেয়েদের নিয়মিতভাবে শেখানো হয় তাদের সুখদাতা, রক্ষাকর্তা, বিপদে উদ্ধারকর্তা হলো পুরুষ। সেই রূপকথার গল্পের মত মেয়েদের জন্য আছে কোথাও কোন রাজপুত্র।
শৈশবের রূপকথার মত মেয়েদের মনের ভেতর লুকিয়ে থাকে এক আকাঙক্ষা, যেন কোনদিন যাপিত জীবনের সকল উদ্বেগ, ঝামেলা বা বিপদ থেকে তাদের উদ্ধার করার জন্য কেউ উপস্থিত হবে। আর এই ত্রাণকর্তা বা উদ্ধারকর্তা যে একজন পুরুষ তা নারী-পুরুষ দুজনেই ছোটবেলা থেকেই শিখে গেছে। দয়া করে মনে রাখবেন আমার এই লেখাটি মূলত বিষমকামী নারীদের উদ্দেশ্যে লেখা।
এখন মেয়েরা পড়ালেখা শিখছে, ভ্রমণ করছে, নিজে উপার্জন করছে, কেউ কেউ অসুস্থ সম্পর্ক থেকে সাহস করে বেরিয়ে আসছে কিন্তু তারপও কেন যেন তারা স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে নিজের ভেতর ধারণ করতে পারেনা। কোথায় যেন একটা বাধা, অসুম্পূর্ণতা। সর্বোপরি স্বাধীনতাকে উপভোগের ব্যাপারে মেয়েদের অনুভূতি যেন সীমাবদ্ধ।
কোলেট ডাউলিং The Cinderella Complex বইটি লিখে গেছেন প্রায় ৪০ বছর আগে কিন্তু এখনো আমরা মেয়েরা এই কমপ্লেক্সে ভুগে চলছি।
একদল মেয়ে আছে যাদের জীবনের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভালো একটা বিয়ে এবং ভালো বর পাওয়া। যত শিক্ষিতই হোক না কেন, যত গুণবতীই হোক না কেন, কোনো কারণে এদের যদি ভালো একটি বিয়ে না হয়, তাহলে তারা তাদের জীবনকে ব্যর্থ মনে করে। আমার পরিচিত এক ছোট বোন আছে, বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অত্যন্ত ভালো একটি সাবজেক্টে মাস্টার্স করেছে। মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর সে চাকরি করেনি কারণ চাকরি করার যে ঝামেলা এবং যেভাবে টাইম মেইনটেইন করতে হয় সেটা নাকি তার পোষাবে না। সুন্দরী সেই ছোট বোনটির বেশ ভালো বিয়ে হয়েছে। জিজ্ঞেস করেছিলাম চাকরি বাকরি যেহেতু করতে চাওনা তাহলে এত ভালো পড়াশোনা করেছিলে কেন? সে হাসতে হাসতে জবাব দিয়েছিলো আপু ওটা না করলে তো এই বিয়েটা হতো না।
যদিও সে কথাটা ঠাট্টার ছলে বলেছিলো কিন্তু আমি জানি এই রকম মানসিকতার অনেক মেয়ে আমাদের সমাজে বিদ্যমান। এরা মনে করে বিয়েই জীবনকে পরিপূর্ণতা দেয়। এইসব মেয়েরা বিয়ের পরও ভীষণভাবে স্বামীর উপর নির্ভরশীল থাকে। তারা মনে করে তাদের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র স্বামীই করতে পারে। স্বামীর কাছ থেকে বাজে ব্যবহার বা কটু কথা শুনলে এদের কিছু যায় আসে না। হয়তো খানিক ঝগড়া করবে কিন্তু আত্মসম্মানে তেমন একটা ঘা পরেনা ।
আরেকদল মেয়ে আছে যারা বেশ স্বাধীনচেতা এবং যারা পড়াশোনা শেষ করে তৎক্ষণাৎ বিয়ে না করে নিজের ক্যারিয়ার গোছাতে চায়, নিজের মতো কিছুদিন থাকতে চায় । কিন্তু চাইলেই কি এটা সম্ভব? সমাজ এবং পরিবার তাকে বিয়ে বিয়ে করে মাথা খারাপ করে দেবে। একটি মেয়ে সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্স থেকে বের হতে চাইলেও সমাজ থেকে বের হতে দেয় না।
আরেকদল মেয়ে আছে যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, অর্থনৈতিকভাবে স্বামীর উপর নির্ভরশীল নয়, তারপরও কেন যেন তারা অসুখী দাম্পত্য থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। যারা বের হয়ে আসে, তারাও কেন জানি সুখী হতে পারেনা। স্বাধীনতাটাকে সঠিক ভাবে উপভোগ করতে পারেনা। আমাদের মত দেশে এক্ষেত্রে সমাজ একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। একটি ডিভোর্সি মেয়েকে যে কত রকম যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে হয় তা সহজেই অনুমেয়। যখন তখন যে কেউ তার চরিত্রের উপর কালিমা লেপন করতে পারে, তাকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলতে পারে।
ঢাকায় আমার এক কলিগ ছিলেন যিনি ডিভোর্সি। তার স্বামী অন্য এক নারীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলেছিলো। স্বামীটি ডিভোর্সের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলো না। লোকটি আমার কলিগকে প্রথমে স্ত্রী হিসাবে থেকে যেতে বলেছিলো। এই অসম্মানজনক প্রস্তাবে না রাজি হয়ে আমার কলিগটি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর কেন যেন তিনি আর সুখী হতে পারেননি। যে স্বাধীনতা তিনি পেয়েছিলেন সেটা উপভোগ করতে পারেননি। তার সাথে প্রেম করার ব্যাপারে অনেকে আগ্রহী ছিল কিন্তু তিনি রাজি হননি। আবার একই সাথে তিনি তার জীবনে এমন কাউকে চাচ্ছিলেন যে তার জীবনের দুঃখগুলোকে ভুলিয়ে দেবে, আনন্দ দেবে, সমস্ত বিপদে তার পাশে থাকবে। পরবর্তীতে আমার সেই কলিগকে কেন ডিভোর্স দিলেন এই বলে দুঃখ করতে দেখেছি। স্বামীটি থাকলে অন্তত সুখে দুঃখে তিনি তাকে কাছে পেতেন।
এক নারী ডাক্তারের গল্প শুনেছিলাম, যিনি বেশ কয়েকটি ডিগ্রির অধিকারী ছিলেন। তার স্বামীও ডাক্তার, তবে সম্ভবত পদমর্যাদায় স্ত্রীর চেয়ে নিচে ছিলো, এবং আয়ও তার চেয়ে কম করত। স্বামীটি পরকীয়া ক’রে অন্য একটি নারীকে বিয়ে করতে উদ্যোগী হলে তিনি নানাভাবে সেটাতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সাথে নানারকম তাবিজ এবং পানি পড়া এসব করেছিলেন স্বামীর মন ফেরাতে। একজন সফল নারী হয়েও একা স্বাধীনভাবে নিজের মত জীবন যাপনের কথা ভাবতে পারছিলেন না। এতটা স্বাবলম্বী হবার পরেও একা থাকার ভয়, একা জীবনের সকল সমস্যা মোকাবেলা করার মত সাহস তার হচ্ছিলো না।
সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্সে ভোগা নারীরা ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চুড়ান্ত সফলতায় পৌঁছতে পারেনা। চুড়ান্ত সফলতায় যাবার আগেই কোন অজ্ঞাত কারণে চেষ্টা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অচেনা একটা ভয় তাদের সাফাল্যের সিঁড়িতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সিন্ডেরেলা কমপ্লেক্সের এই চক্র আমাদের ভাঙ্গা দরকার। আমাদের মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল এবং আত্মসম্মানজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ বানানোর সাথে সাথে তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে স্বাধীনতাকে ধারণ করতে এবং উপভোগ করতে পারে সে জন্য তৈরি করা দরকার। অজানা যে ভয় তাদের সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হতে বাধা দেয়, নিজেদের প্রকাশ করতে বাধা দেয়, সেই ভয়কে অতিক্রম করার সাহস জোগাতে হবে। তারা যেন একা থাকার ভয়ে কোনো অন্যায়ের সাথে কম্প্রোমাইজ না করে। তারা যেন ভালোবেসে সমকক্ষ হিসেবে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে, প্রভু হিসেবে নয়। আরাম, আয়েশ বা বিপদ, ঝামেলা থেকে উদ্ধার পাবার জন্য যেন তারা কারো উপর নির্ভরশীল না হয়। সহযাত্রী হিসেবে কাউকে পাশে পেলে ভালো কিন্তু না পেলেও যেন তারা জীবনের সকল স্বপ্নপূরণের চেষ্টার শক্তি অর্জন করতে পারে।
আর এই কারণে শিশু অবস্থা থেকে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার। ঘরে বাইরে সব ধরনের কাজেই তাদের ইনভল্ভড করতে হবে। কোমল কাজ মেয়েদের, কঠিন কাজ ছেলেদের- এই মিথ ভাঙতে হবে। সিন্ডেরেলার গল্পের সাথে সাথে সেই গল্পও শোনাতে হবে যেখানে একটি মেয়ে উদ্ধার করছে কোন ছেলেকে। মেয়েদের সাহসিকতার গল্প, সাফল্যের গল্প শোনাতে হবে। নিজের সমস্যার সমাধান যেন তারা নিজেরাই করতে পারে সে সুযোগ তাদের দিতে হবে। তুমি মেয়ে তাই তুমি এটা করতে পারবে, কিন্তু ওটা করতে পারবে না এসব বলা বন্ধ করতে হবে। কথায়, গল্পে, কাজে ছেলে-মেয়েদের পার্থক্য করা, ছেলেদের বড় করে তুলে ধরা- এসব বন্ধ করতে হবে।
ছেলে শিশুদেরও বড় করা দরকার এমনভাবে যেন তারা নিজেদেরকে মেয়েদের উদ্ধারকর্তা, ত্রাণকর্তা এসব না মনে করে। তারা যেন মেয়েদের স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে। মেয়েদের সমকক্ষ মনে করে এবং সম্মানের সাথে সহঅবস্থান করতে পারে। তাদের ছেলে হিসেবে আলাদা কোন সুযোগ সুবিধা দেয়া বন্ধ করতে হবে। ছেলে মেয়ে দুজনের সাথেই একই রকম আচরণ করতে হবে।
প্রিয় মা-বাবারা, আপনারা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনারাই পারেন আপনাদের পুত্র এবং কন্যাকে কোনরকম বৈষম্য ছাড়া মানুষ করতে যেন তারা আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠে, এবং কোন ভয় বা অস্বস্তি ছাড়া সমভাবে জীবনযাপন করতে পারে এবং জীবনকে উপভোগ করতে পারে।
[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত কলাম লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]