শরতের মেঘদল আর কয়েকটা ঝরা শিউলি
শাহাজাদী বেগম।। পুরো সময়টা জুড়ে একটা ঘোরের মধ্যে আছি, সপ্তাহ পেরিয়ে গেলো তবুও থিতু হতে পারছি না। ফোন- মেসেঞ্জার -হোয়্যাটস আপ ব্যতিব্যস্ত চ্যাটে আর কলে। দিন নেই রাত নেই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে কথা বলতে বলতে। তবুও যেন আশ মিটছে না, কত কথা কত স্মৃতি! আমি প্রতিদিনের সবকিছুই করছি কিন্তু আমি আসলে এখানে নেই। আমার, বিচরণ আমার কৈশোরের দিনগুলোতে।
সেদিন মেসেঞ্জারে রিক্যুয়েস্ট বক্সে একটা মেসেজ এলো। আমার ফ্রেন্ড লিস্ট ছোট, তাই কোন মেসেজ ‘না পড়া’ থাকেনা। শাওন জাহান লিখেছে, “Dear Shahajadi begum. Im looking for a long-lost friend. Her name was shahajadi. And her face resembles with yours. If you dont mind can I ask u something? Did you spend part of your student life in khulna? If you dont mind plz answer.” ততক্ষণে আমার বুকের ভিতর ড্রাম বাজতে শুরু করেছে। মুহুর্তেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো হাল্কা পনিটেইল করা পাতলা, লম্বা এক কিশোরী মেয়ে, প্রায়ই বাবার সাথে স্কুলে আসতো। কমিকস পড়তে খুব পছন্দ করতো। স্কুলের কাছাকাছি রশিদ বিল্ডিং কিংবা তার পাশের বিল্ডিংয়ে থাকতো। কি আশ্চর্য, রশিদ বিল্ডিংয়ের নামটাও মনে পড়ে গেল! সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি কৈশোরের অলি-গলিতে ৩১ বছর পর!
৩১ বছর অনেক লম্বা সময় অথচ আমি আলোর গতিকে হারিয়ে দ্রুত ফিরে যাচ্ছি অতীতে, আসলেই কি অতীত? কীভাবে? আমার এক সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছে এই ৩১ বছর পার করেতে। এক মুহুর্তেই চলে গেছি দৌলতপুর মুহসিন গার্লস হাই স্কুলে! রুবানা আপার কড়া শাসন, পুষ্প আপার দ্রুত কথা বলা, সবসময় সাদা পায়জামার সাথে সাদা পাঞ্জাবী-ফতুয়া পরা বিমল স্যারেরে বাদাম খাওয়া, দলিল স্যারের অংক করানো, আকবর স্যার, টিফিনের সিঙ্গারা, দুপুরের বান, নূরজাহান মাসি, নিরুপমা মাসি, শিলা আপার ইংরেজী ব্যাকরণ, হুজুর স্যারের নামাজ শেখানো, আভা আপার পা ভেঙ্গে গেলে আমরা কয়েকজন দেখতে গেলাম উনার বিএল কলেজের বাসাতে। ফেরার পথে সবায় মিলে স্টুডিওতে ছবি তুললাম, বদলির দিনগুলিতে ছবিটা হারিয়ে গেল! একবার স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমরা ডিসপ্লের জন্য লাঠিনাচ শিখেছিলাম। সেই তালগুলো এখনো মনে আছে। মুহসিন মোড়ে একটা কনফেশনারি ছিল। পাশেই বাটার দোকানের এক কোনে কোন আইসক্রিম পাওয়া যেত। মাঝে মাঝে আমরা একটা দিন ঠিক করে সবাই মিলে বাসা থেকে “পাঁচ” টাকা নিয়ে আসতাম একসাথে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। চোখের কোন ভিজে উঠছে… এইতো সেদিনের কথা!
আমি ততক্ষণে শাওনের প্রোফাইল পিকচার আর আর কভার ফটো তন্ন তন্ন করে খুঁজছি, আর কাউকে পাওয়া যায় কিনা! পেয়েও গেলাম , কিন্তু………।
আমার শৈশব আর কৈশোরের একটা বড় অংশ কেটেছে খুলনাতে। পড়তাম দৌলতপুর মুহসিন গার্লস হাই স্কুলে। ক্লাস নাইনের মাঝামাঝিতে চলে এলাম। কিছুদিন কয়েকজনের সাথে চিঠির যোগাযোগ থাকলো। তারপরেই বন্ধ হয়ে গেলো। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। ফেসবুক আসার পরে একেক সময় একেকজনের নাম দিয়ে সার্চ দিতা্ম, কৈশোরের সেই বালিকারা সকলেই এখন কাঁচা-পাকা চুলের মাঝবয়সী নারী। ছবির সাথে মিল পাওয়া কঠিন। তবুও ভাবতাম একজনকে পাওয়া গেলে সবাইকে পাওয়া যাবে। যেমন করে শাওন আমাকে খুঁজে বের করলো আর আমি সবেইকে পেলাম। সত্যি কি সবাইকে পেলাম? ওকে যখন জিজ্ঞেস করলাম “কার কার সাথে যোগাযোগ আছে?” উত্তর দিল “সব্বার সাথে”। তাতে তো আমার মন ভরলো না। যখন নাম ধরে জানতে চাইলাম, সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা সেখানেই খেলাম… তিথি ! ওহ তিথি! তিথি ২০১৫’র আগষ্টে চলে গেছে না ফেরার দেশে, ২০১০ এ লাজ আর কয়েকদিন আগে ছোটনও। রাজ্যের কান্না এসে জমেছে, আমি ধরে রাখতে পারছি না, আনন্দ-বেদনার কান্না,পাওয়া না পাওয়ার কান্না কিংবা পেয়ে হারানোর কান্না।
তিথির সাথে আমার অনেক স্মৃতি! তিথি আর স্বাতী আপুর নাম দিয়ে কত সার্চ দিয়েছি ফেবুতে, চেনা কিছুই চোখে পড়েনি কখনো। আমি ঝাপসা চোখেও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি দেয়ানাতে ওদের সেই “বকুল বাড়ি”, সম্ভবত ৮৮’র ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল বকুল গাছটা। একবার ওদের বাগানে পিকনিক করেছিলাম। আমি শাড়ী নিয়ে যাইনি দেখে খালাম্মা আমার ফ্রকের উপর ফিতা বেঁধে ওনার শাড়ী পড়িয়েছিলেন। তিথি তখনি অনেক লম্বা ছিল, লম্বা চুল আর খুবই সুন্দরী। বাড়ির সকলের ছোট, প্রচন্ড আদরের। মা-বাবা দুজনেই কলেজে পড়াতেন। বাবা ছিলেন বি এল কলেজে। আমার সবচেয়ে কাছের ছিল রুপু। আমরা দুজন একসাথে স্কুলে যেতাম। তিথিদের বাড়ির অনেকের সাথেই আমার আর রুপুর তখন পরিচয় ছিল। আমি ঠিক দেখতে পাচ্ছি, সকালে মোস্তাক স্যারের কাছে পড়া, ওদের বাসায় ছোট ফ্রিজটা বদলে নতুন একটা ফ্রিজ এলো, খালাম্মা একবার ট্রান্সফার হয়ে কুষ্টিয়াতে গেল, স্বাতী আপুর ছেলে হলো, মলি, রানী ওরা পাশাপাশি থাকতো। ওদের পাশের বাসার তুহিন আপা, সীমা আপা, মুক্তি আপা সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। আমি, রুপু আর তিথি মিলে পন্নীদের বাসায় যাচ্ছি, কৃষি কলেজের ওদিকে সেসবও দেখতে পাচ্ছি, সব মনে পড়ে যাচ্ছে অথচ তিথিই নেই। রাজশাহীতে শোভন ভাইয়ার সাথে দেখা হলো হঠাৎ করে। জানলাম ওর বিয়ের কথা হচ্ছে এয়ারফোর্সের যে ছেলেটিকে সে পছন্দ করে তার সাথেই। আমার চিঠি পৌঁছনোর আগেই ওর ঠিকানা বদল হলো। আর ওকে পাওয়া হল না। আজো পাওয়া হলো না। বন্ধুদের গেট টুগেদারের ছবি দেখছি আর ভাবছি এই ঢাকা শহরেই ওরা একসাথে ঘুরেছে, দ্যাখা হলো না আমার সাথে। সুখী আর লাজ ছিলো মানিক জোড়, লাজও নেই। নেই ছোটনও, অথচ ছোটন আর নাজু ছিল মানিকজোড়।
শরতের মেঘদলের মত ছুটে চলা একদল কিশোরী। ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা ছিল পন্নী , ইয়াসমিন আর কেয়া-পিয়া টুইন। পন্নীর ছিল লম্বা চুল আর কেয়া-পিয়ার ছোট করে কাটা। তিথি-রুপু-পন্নী আর আমি চার জনের অনেক দুষ্টোমী ছিল একসাথে। মলি সবচেয়ে পড়ুয়া, পরীক্ষা দিয়ে বাসায় যেতে যেতে আবিষ্কার করতো পরীক্ষার খাতায় যা লিখেছে সেখানে একমাত্র ভুল হলো একটা বাক্য শেষে দাঁড়ি দেয়নি। সে এতো পড়ুয়া ছিল যে পড়তে পড়তে অসুস্থ হয়ে যেত। পরীক্ষার আগে ওর মা-বাবা বইগুলো আলমারীতে তালা দিয়ে রাখত। ওর ছোট বোন জলি ইট আর মাটি দিয়ে কী সুন্দর শহীদ মিনার বানাতো। সোমা আর মৌসুমী আপুকে, এখনো দেখতে পাই, দুজনেরই গালে টোল পড়তো। সোমাদের বিএল কলেজের ভিতরের বাসা। ঝিনুর ছিল আসম্ভব মুখস্ত শক্তি। ক্লাসে যখন পড়া বলতো আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। রুনুদের বাংলাদেশ বস্ত্রালয়ের কথা মনে আছে। সেও পরে চিটাগাঙে চলে গিয়েছিল। ঝুমুর রোটারী স্কুল থেকে এখানে চলে এলো। শিলার ঝাঁকড়া চুল, সেলিনা পন্ডিতের মত কথা বলতো, চুমকির সেই কালো নেটের ফ্রকটা আমার এতো ভালো লেগেছিল- ওর নিম্মি শিম্মি আপু, আধ ভেজা চুল ছেড়ে রাস্তা পার হয়ে এপাশে স্কুলে আসতো, ইয়াসমিনদের ঔষধ ঘর ছিল আব্বুদের মিলের অফিসিয়াল মেডিসিন কর্নার, ছোটখাট টগর, বড় চোখের ইতি, সন্ধ্যা ঘন কালো কোকড়ানো চুল যেদিন ছেড়ে আসতো একেবারে শ্যামার মত লাগতো। শামীমা অনেক কথা বলতো আর ভীষন দুষ্টু ছিল, ফারহানার স্কুলে থাকতেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, সেতারা আসতো কেবল ফ্যাক্টরি থেকে, শিউলি আর বড় রুনু ক্লাস সিক্সে মনিটর ছিল-ভীষন কড়া, সোনালীর “শাওনো রাতে যদি” গান। সব কিছু এত জীবন্ত হয়ে উঠছে, আমি আবারও সেই দিনগুলোর ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। শাখী ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় একদিন বলল বাসায় ওকে কেউ একজন আল্পনা শেখাতে আসে। আমি জিজ্ঞেস করলাম “আল্পনা কী?” ও একটা এঁকে দেখালো। আমি অবলীলায় বলে ফেললাম, “ওঃ এগুলো আবার শিখতে হয় নাকি!” ও অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। সেই আমার আল্পনা করা শুরু, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আল্পনা নেশা হয়ে গিয়েছিল- সেটা অবশ্য আরেক গল্প। শাখী ছাত্র ইউনিউনের সাথে তখনই জড়িত ছিল কারণ পূর্নেন্দুদার সংশ্লিষ্টতা। ও আমাকে সেসব শেখানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ম্যাক্সিম গোর্কির “মা” ই তখন নিপীড়িতের অধিকার আন্দোলনের গল্প আমার ঝুলিতে। শাখী সমতার যে কথাগুলো বলতো সেসব তখনো বুঝতে পারতাম না। ছাত্র ইউনিয়নের ছেলে মেয়েরা মাঝে মাঝে স্কুলে আসতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে। মজলুমের কবিতা লিখে কয়েকবার আমিও অংশগ্রহন করেছিলাম কিন্তু কখনোই কিছু হইনি। ফেবুর যুগে কতবার সার্চ দিয়েছি কিন্তু কাউকেই ওর মত মনে হয়নি।
সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল রুপু, ঐ সময়ের সব স্মৃতিতেই রুপু আর আমি একসাথে, স্কুল থেকে পড়তে যাওয়া, ঘোরাঘুরি, দুষ্টমী সবই। আমি কালীবাড়ী থেকে রেলীগেটে ওদের বাসায় যেতাম। তারপর একসাথে স্কুলে যেতাম। ওদের টি এন্ড টি কলোনির সেই বাসা। ভাই বোনদের সবার ছোট, আর আমি মা-বাবা দুই বংশের পরবর্তী প্রন্মের প্রথম প্রতিনিধি। ওর সব কিছু বড়রা রেডি করে দিত, আর আমার সবকিছু আমাকে করতে হত। রুবি আপুর বিয়ে হলো- প্রথম টেলিফোনে আকদ, আমার সে কি বিষ্ময়! রুপু তিথিকে দেখে আমার প্রায়ই মনে হত আমার বড় ভাই বোন থাকলে দারুন হত।
আমার কৈশোরের বন্ধুরা আমার রূপান্তরের সাথী। ক্লাস সিক্স আর সেভেনে আমাদের স্কুল ড্রেস ছিল- কলার আর বেল্টওআলা ফ্রক। ক্লাস এইট থেকে সেলোয়ার কামিজ। শিশু থেকে ক্রমশ কিশোরী হয়ে ওঠা একসাথে, হাফ প্যান্ট থেকে একটু একটু করে পায়জামা ধরছি। আমরা বেশিরভাগই একদম পছন্দ করতাম না পায়জামা পড়তে। কিন্তু স্কুলে পড়তে হত, বাসাতেও একটু একটু করে বলতো পরিবর্তনগুলোর কথা। নিজেদের সেই সময়ের ভাল লাগা খারাপ লাগার ভাগাভাগির সাথী ওরাই। তিথির বাবার কাছে অনেক ছাত্ররা পড়তে আসতো। একদিন এক ছাত্র ওকে “আপনি” সম্বোধন করলো। এই প্রথম কেউ ওকে আপনি করে বললো। তখন আমরা ক্লাস এইটে পড়ি। কি ভীষন উত্তেজনা, বড় হবার আনন্দ। আমরা সকলেই যেন একসাথে বড় হয়ে গেলাম, অন্যরা আমাদেরকে আপনি বলে ডাকা শুরু করেছে।
কাঁচা-পাকা চুলের মাঝ বয়সী কিশোরীরা কেমন আছে এখন! কেউ কলেজে পড়ায়, কেউ সাংবাদিক, কেউ লেখক, কেউ কর্পোরেটে, কেউ বিদেশে, কেউ ঘরকন্নায় ব্যাস্ত। রানীর মেয়ের বিয়ে হয়েছে, চুমকির মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, পন্নীর ছেলের তৈরি করা ডিনারের ছবি দেখে নানের গন্ধটা নাকে এসে লাগছে। অথচ ওর সাথে কথা বলার সময় মনে হচ্ছিল স্কুলের সেই মুখ। ঝিনু, শিলা, চুমকি কত কত কথা ওদের সাথে। রুপুর কথার টোন বদলে গেছে একদম। সোমার আক্কেল দাঁত ওঠার ব্যাথায় কথা হল না। আমরা লিখে লিখে কথা বললাম। ভাবিদের জন্য রুনুর রান্নার ছবি জিভে জল আনে সহজেই। কেয়া-পিয়ার খাবার বানানোর ছবি আর ভিডিও দেখে ভাবছি আগামী গেট টুগেদারের খাবারের দায়িত্ব ওদেরকেই দেওয়া যায়, টগরের কভার ফটো ওর বইয়ের প্রচ্ছদে ঢাকা। আর সুখি, গভীর রাত অব্দি কথা বললাম আমরা, কথা তো শেষ হয় না। ওর গলাটা একদম সেই আগের মতই। কথা বলার সময় স্কুল ড্রেস পরা মুখটাই ভাসছিল। কত হিসাব-নিকাশ ওর! ২০১০-২০১৫-২০২০ তিন বন্ধু চলে গেল পাঁচ বছর অন্তর অন্তর, এর পরে কার পালা কে জানে! নারীর জন্য নিরাপদ আর পরিচ্ছন্ন নগরী নিয়ে কথা হল ওর সাথে। এত সুন্দর গোছানো ওর ভাবনাগুলো। বন্ধুদের কেউ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, প্রাণের বন্ধুরা পাশে থেকে সাহস যোগাচ্ছে অবিরত, কেউ আবার পরিবার নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থেকেছে মাসের পর মাস। কারো হাজব্যান্ড চলে গেছে না ফেরার দেশে- সন্তানদের আকঁড়ে ধরে সহজ জীবনযাপনের আপ্রাণ চেষ্টা, কারো জীবনসঙ্গীর করোনাতে কয়েক মাস আইসিইউতে থেকে একদম মৃত্যুর দরজা থেকে অলৌকিকভাবে ফিরে এসে নতুন অনুভূতিতে অভ্যস্ত জীবনে ফেরা- চলছে এমনই সবকিছু, তবুও একসাথে আছে ওরা সুখে-দুঃখে, রাগে -অভিমানে।
আছে ওরা একসাথে,
এক গ্রুপের প্রাণটাতে,
হারিয়ে গিয়েছিল যে,
আবারো যুক্ত হলো সে,
শরতের মেঘদলে,
তিথি, লাজ আর ছোটন
দলছুট হলো যখন,
ঝরে পড়লো অকালে,
শিউলী হয়ে শরতের সকালে।
লেখক: উন্নয়নকর্মী