September 20, 2024
সাহিত্যগল্পফিচার ৩

মুক্তি

তানজিয়া রহমান।। একটা চাকরির খুব দরকার। নাহলে হঠাৎ কবে একদিন মরে যেতে হবে যে! আর সহ্য হচ্ছে না। আমিও তো মানুষ। প্রাণ তো এখনো আছে এই দেহে। আর কত এর ওর মুখের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নেবো, সয়ে যাবো!

মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়েই তো ষোল পেরোতে না পেরোতেই বিয়ের পীড়িতে বসেছিলাম। অভাবের সংসারে চার সন্তানের খরচ দিয়ে পারছিলো না। অভাব হতো না। হিসাব ছাড়া খরচ আর পরিকল্পনা ছাড়া এত সন্তান জন্ম দিয়েছিলো বলেই হয়তো এই অভাব ছিলো। সে যাই হোক।

সবে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। দীর্ঘ ছুটিতে মায়ের সাথে সারাক্ষণ থেকে নানা কাজ শিখি। কিছুদিন পরেই বিয়ের তারিখ পাকা হয়। পরীক্ষার আগে থেকেই নানা জায়গা থেকে সম্বন্ধ আসতো। মা বাবা বলতো পরীক্ষা দেয়ার পর ভেবে দেখবো। পরীক্ষার পর যখন সম্বন্ধ আসতো তখন আর তাদের ফিরিয়ে দিতো না৷ আলমারি থেকে শাড়ি বের করে বোনরা মিলে সাজিয়ে হাতে একটা খাবারের ট্রে দিয়ে পাত্রপক্ষের সামনে নিয়ে যেতো। আমি ট্রে থেকে সবার হাতে খাবার তুলে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তারা বসতে বললে বসতাম। হাঁটতে বললে হাঁটতাম। তারা আমার চুল দেখতো, হাত টিপে দেখতো, শাড়ি উঁচু করে পা দেখতো, নানা প্রশ্ন করতো তারপর হাতে কিছু টাকা দিয়ে বলতো- আচ্ছা ভিতরে যাও। এইভাবে দেখতে দেখতে একদিন এক পাত্রপক্ষ আমাকে পছন্দ করলো। আমাকে পর্দার আড়াল থেকে পাত্র দেখানো হলো। তারা সেইদিনই আংটি পরিয়ে যাবে বললো। মা বাবাও রাজি হয়ে গেলো। রাতেই আংটি বদল হলো। খাওয়া দাওয়া হলো। খাওয়া শেষে একমাস পর বিয়ের তারিখ ফেলে পাত্রপক্ষ চলে গেলো। সবাই মহাখুশি। চিল্লাতে চিল্লাতে সবার কাছে বলে আমার আয়নাকে দেখতে এসে আংটি পড়াইছে। তাদের মেয়ে এত পছন্দ হইছে যে তারা একমাস পরেই মেয়েকে নিয়ে যাবে।

পাত্রপক্ষের সম্পর্কে শুধু গল্প শুনে আর তাদের রসালো কথা শুনে মেয়ের মতামত ছাড়াই তক্ষুনি বিয়েতে রাজি হয়ে গেল সবাই। পাত্র আমার থেকে আঠারো বছরের বড় হওয়া সত্যেও। পাত্র যে ধনী আর আমাকে তারা পড়াশোনা করাবে। তারা মেয়ের মতো রাখবে আমাকে। এর থেকে আর কী লাগে!

কেনাকাটা, বাড়ি ঘর সাজানো গুছানো করতে করতে একমাস পেরিয়ে গেলো। ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেবে। বাড়ি ভরা আত্মীয় এসেছিলো বিয়েতে। বিয়ের দিন তুমুল হৈচৈ। বরের দুলাভাইয়ের কাছে খাবার পছন্দ হয়নি। দুলাভাইকে শান্ত করে তার জন্য আলাদা মেহমানদারী করা হলো। সামান্য খাবার নিয়ে এত কিছুর পরেও আমার বিয়ে হয়ে গেল।

বিয়ের পরেও অনেকদিন পর্যন্ত আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নানা আক্ষেপ। স্টেজ সাজানো ভালো হয়নি, মেয়েরে কি দুইটা গয়না দিছে তাও ডিজাইন পুরানো, মেয়ের লাগেজে বেশি জিনিস দিছিলো না, ফার্নিচারের কাঠ ভালো না এইসব কি কি বলছিলো একেকজন একেকটা। সেই খারাপ কাঠের ফার্নিচারই আজ চৌদ্দ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি। কই আজও তো কোনো সমস্যা হলো না।

আমার স্বামী বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি খুব একটা যেতো না। আমাকে দিয়ে আসতো আবার আসার সময় যেয়ে নিয়ে আসতো। একা যাওয়া আসা করতে দিতো না। শাশুড়ি বলে দিতেন, মানিক তোমাকে রেখে চলে আসবে। তোমার বাবার বাড়ি তো কারেন্ট চলে যায় ঘন ঘন। ওর কষ্ট হবে। এভাবে বাবার বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি করতে করতে ছয় মাস পার হয়ে গেল হেসে খেলে। শ্বশুর বাড়ির সব আসতে আসতে বুঝে নিয়েছি। এই যেমন- ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে রান্না ঘরে ঢুকতে হবে। নয় জন সদস্যের রুটি বানাতে হবে আর একটা ভাজি করতে হবে। সবার জন্য ডিম পোচ বা সিদ্ধ করতে হবে। নাস্তা খাওয়া শেষ হলে চা করে দিতে হবে। এরপর শুরু হবে দুপুর আর রাতের খাবারের বন্দোবস্ত। কাটাকুটি, মসলা বাটা, রান্না করা, টেবিলে দেয়া। তারপর ঠিক আড়াইটা বাজলে সবাই একসাথে খেতে বসা। খাওয়া শেষে টেবিল গুছানো। আর সন্ধ্যায় সবার জন্য চা বানানো। তারপর রাতের খাবার গরম করে টেবিলে দেয়া আর রাত সাড়ে নয়টায় সবাই একসাথে খেতে বসা। খাওয়া শেষে টেবিল গুছানো, বেঁচে যাওয়া খাবার ফ্রিজে রাখা। এসব আগে শাশুড়ি আর আমি করতাম। দিন যেতে থাকলো আর সব আমার একার দায়িত্ব হতে থাকলো। একজন কাজের লোক আছে। উনি শুধু হাড়ি পাতিল, থালা বাটি মাজেন আর ঘর ঝাড়ামোছা করেন।

এছাড়া স্বামীর আলাদা দেখভাল তো আছেই। সে নিজের কাপড় কাচতে পারে না, নাড়তে পারে না, গুছাতে পারে না, মশাড়ি টানাতে বা তুলতে পারেনা, রান্নাঘরের কোনো কাজ পারে না এমন কি চা করেও খেতে পারে না। গোসলের সময় তার পোশাক তোয়ালে হাতে তুলে দিতে হয়, গ্যাস্টিকের সমস্যা হলে সে ওষুধও তাকে আমার দিতে হয়।

এসব শিখে করতে করতে সবাই চাপ দিচ্ছিলো বাচ্চা নিয়ে নিতে। প্রথম বাচ্চা নাকি তাড়াতাড়ি নিতে হয়। দ্বিতীয়বার দেরি করে নিলে সমস্যা নেই।

সবাই বলছিল, বাড়ি ভরা মানুষ। তুমি শুধু বাচ্চা খাওয়াবা আর বুকে নিয়ে ঘুমাবা। আর সব আমরা করবো। দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাবে। সবার কথায় আর স্বামীর ইচ্ছায় বিয়ের আট মাসের মাথায় আমার মাঝে নতুন আরেকটা প্রাণ আসে। বাড়িতে এত বছর পর বাচ্চা আসবে। সবাই আনন্দিত। কত আহ্লাদ সবার আমাকে নিয়ে। এভাবে দেখতে দেখতে বাবু পেটে সাত মাস হয়ে গেলো। ঘটা করে সাত দিলো। মা সাত পদের পিঠা, মাছ, নিয়ে চলে আসলো। আট মাসের শেষের দিকে বাবু পৃথিবীতে চলে আসলো৷ সিজার করে ছেলে হয়েছে। গায়ের রঙ ফর্সা না। সবাই বলে উঠলো সোনার আংটি বাঁকাও ভালো।

বাবু আসার পর একমাস মা আমার কাছে ছিল। এক মাস পর আর কাউকে পাশে পাইনি। পেয়েছি, ওই দুপুরের রান্নার সময়টুকুতে কেউ নিয়ে খেলেছে। তাও তো কতবার চুলা বন্ধ করে ছুটে যেতে হয়েছে। হাগু, হিসু পাল্টানোর কেউ ছিল না। রাত জাগা, খাওয়ানো, গোসল করানো, কাঁথা ধোয়া, নাড়া, তুলে ভাজ করা। সব নিজে করেছি। এভাবেই দেখতে দেখতে বাবু বড় হয়েছে। সব যেহেতু আমাকেই করতে হবে, তাহলে কিছু করতে হবে না বলে আগে এতো বুঝ দেয়ার কী প্রয়োজন ছিলো? আমি আর দুই- চার বছর পর নিজের মতো করে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বাচ্চা নিতাম।

বাবু বড় হওয়ার পরে বাবার বাড়ি যাওয়া আরো কমে গেলো। তখন শ্বশুরবাড়ি থেকে বলতো, চারদিক খোলামেলা, নাতি ওখানে গেলে ব্যাথা পাবে। ততদিনে চার্জার ফ্যান কেনা হয়েছে তাই হয়তো কারেন্ট থাকে না বলতে পারেনি। কিন্তু বাবু নানা বাড়ি খুব পছন্দ করে। গ্রামের বাড়ি তো। খোলা, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল আছে আশেপাশে। সে জন্যই হয়তো যেতে পারতাম। তবু তার দাদা দাদির হাজার বার ফোন। কী করো, বাবু কই, দেখে রেখো এই সেই।

ওহ! পড়াশোনার কথা তো বলা হয়নি। বিয়ের পর কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু প্রথম বর্ষ শেষ করে আর কলেজে যেতে পারিনি। বাবু পেটে বলে বাসার কেউ যেতে দিলো না। তারপর বাবু হওয়ার এক বছর পর দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হই। পরে সারাদিন কাজ করে রাতে বাবুকে পায়ে নিয়ে ঘুম পাড়াই আর হাতে বই নিয়ে পড়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেই। এভাবে কোনো মতে পাশ করি। পরে ওই কলেজে অনার্সে ভর্তি হলেও আর পড়িনি। বাচ্চা সামলে, ঘর সামলে পড়ার আগ্রহ চলে গেছিলো। সবার বললো জামাইয়ের পয়সা আছে চাকরি করতে হবে না জীবনে। তাহলে আর পড়ার কী দরকার। আমিও আর পড়লাম না।

আমার শাশুড়ি ভালো। বড় আদর করে। কিন্তু নানা শাসন। আমি সাজলে উনার ভালো লাগে না, টিপ পড়লে ভালো লাগে না। দুপুরে, সন্ধ্যায় খোলা চুলে বাইরে বের হলে চিল্লান। নুপুর পরলে বলেন, ‘বাড়ির বৌ এমন নুপুর পরে ঝুনঝুন করে গেলে কেমন খারাপ শুনা যায় জানো! তোমার শ্বশুর এখনো বেচে আছেন তার সামনে তুমি এমন ঝুনঝুন করে হাটো।’ আমি সালোয়ার কামিজ ছাড়া কিছু পড়লেই উনার চোখ লাল হয়ে যায়। শাড়ি পড়লে পেট দেখা যাবে, বৌদের কুর্তি পড়তে নেই, ফিটিং জামা পড়লে গায়ের গঠন বুঝা যায়, সালোয়ার কামিজেও সমস্যা। সালোয়ারে ডিজাইন দিলে সেটা মন্দ, কামিজের হাতায় ডিজাইন দিলে সেটা মন্দ। একবার খুব স্কার্ট পরার শখ হলো। বাসায়ই একদিন পরলাম। বাবা গো! কী বলবো, আধা ঘণ্টাও পরে থাকতে পারিনি৷ উনি নরম সুরে বললেন, এসব পতিতারা পরে। তুমি পরবা না। এক্ষনি পাল্টে আসো।

পাল্টে আসলাম। স্বামীর সাথেই একদিন বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। স্বামীর আড়ালে শাশুড়ি আমাকে ডেকে বললো, ‘তোমার কি লজ্জা নেই? স্বামীর সাথে এইভাবে বৃষ্টিতে ভিজছিলা কেন?’ মাথা নিচু করে বলেছিলাম, ‘আম্মা, আপনার ছেলের সাথেই তো ছিলাম।’ এরপর উনার প্রেশার বেড়ে গেছিলো। এসব নাকি উনি ভালোবাসেন বলেই করেন। এমনকি অসুখ হলেও সকালে আর সন্ধ্যা প্রতিদিনের মতো বিছানা ছাড়তে হবে। নাহলে নাকি অমঙ্গল হয়। আমাকে মেয়ের মতো ভাবেন তাই শাসন করেন। একবার হুট করে বোরকা বানিয়ে দিলেন। গরমে আমি বোরকার ভিতর সিদ্ধ হতে থাকি। একদিন বোরকা পরে রোজা রেখে বাবুর বাবার সাথে ঈদের কেনাকাটা করতে যেয়ে গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপর বাবুর বাবা বাড়ি এসে চিল্লাচিল্লি করার পর বোরকা থেকে নিস্তার পেয়েছিলাম। শাশুড়ি অনেক অভিমান করেছিলেন। বৌয়ের জন্য ছেলে মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। এইদিনও উনার দেখতে হলো এইসব বলে কান্নাকাটি করছিলেন।

আমার গয়না, বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা শাশুড়ির আলমারিতে। আমার কাছে থাকলে হারিয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই উনার কাছে রেখেছেন। মাঝে মাঝে কানের দুল পাল্টে অন্যটা পরতে হলেও উনার কাছে যেতে হয়। উনি সময় করে আলমারি খুলে আমাকে ডাকবেন তারপর গিয়ে একটা জমা দিয়ে আরেকটা আনতে হয়। এতো ঝামেলার জন্য একটা দুলই পরি এখন। আমি কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে শাশুড়ি উনার পছন্দ মতো পোশাক বাছাই করে দেন। কিভাবে কী সাজবো সব উনি বলে দেন। উনি বলে দেয়ার পর উনার কথা মতো না সাজলে খারাপ দেখায় বলে আমি অনিচ্ছায় উনার মন মতো সাজি।

শাশুড়ির বয়স বেড়েছে। উনার শাসন, কুসংস্কারও বেড়েছে। আজকাল ছেলের কাছে নালিশ করেন। প্রতিদিনই কিছু না কিছু নালিশ করেন। আমি বাবুকে স্কুলে দিতে যেয়ে আসতে দেরি করি, যাওয়ার সময় সেজেগুজে যাই, আজকাল কেনাকাটা বেশি করি, মুখে মুখে কথা বলি এসব কি কি যেন বলেন। বাবুর বাবার প্রতিদিন এসব নালিশ ভালো লাগতো না বলে মায়ের কাছে গিয়ে কম বসতো। এতে শাশুড়ি বলতেন আমি হয়তো কি জাদুটাদু করে উনার ছেলেরে উনার কাছ থেকে দূরে সরাচ্ছি।

একটানা নালিশ শুনতে শুনতে বাবুর বাবারও আমার উপর সন্দেহ জাগলো। সেও আমাকে পদে পদে প্রশ্ন করা শুরু করলো। আমি উত্তর দেয়ার পর আড়ালে বাবুর কাছেও একই প্রশ্ন করে। উত্তর মিলে নাকি শুনে। একদিন তার জন্মদিনে উপহার দেবো বলে একটা টিশার্ট কিনে ব্যাগেই রেখে দেই। সে আমার ব্যাগ থেকে সেই টিশার্ট বের করে তুমুল ঝগড়া করলো। নোংরা কথা ছুড়ে দিলো। তার টাকায় অন্য লোককে গিফট দিচ্ছি বললো। সেই লোক কে জানতে চাইলো। তার মা ঠিক কথাই বলতো। আমি খারাপ, নোংরামি করছি তাদের বাসায় আরও কত কি! আমি কিছু বলতে পারলাম না। সে আমাকে এত সন্দেহ করে যে আমার ব্যাগে পর্যন্ত তল্লাশি করে। ছিহ! রাগে মার কাছে চলে যাই।

কয়েকদিন পর সে আমাকে ফিরিয়ে আনতে যায়। টিশার্টের ভিতর শুভেচ্ছা জানিয়ে একটা চিরকুট ছিলো। সেটা দেখতে পেয়ে তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিয়েছিল। সবাই বুঝালো ছেলের মুখের দিকে চেয়ে চলে যাও। এবার সব ভুলে যাও। আমি চলে গেলাম। কিন্তু ওই তার মনে সন্দেহ আর আমার মনে একটা ঘৃণা আছে না তার প্রতি! প্রায়ই ঝগড়া হয়। ছেলেও সব বুঝে এখন। ওর মনে একটা প্রভাব পড়বে এসবের। রাগ করে বাবার বাড়ি গিয়ে থাকলেও তারা পাঠিয়ে দেয়। লোক খারাপ বলবে আরও কত কি। কোথাও যাওয়ার নেই।

এখন দুটো পথ খোলা। এক হচ্ছে চাকরি খুঁজে নিজের মতো থাকা আর দুই হচ্ছে মরে যাওয়া। বাবা মা বড় লোক ছেলে দেখে বিয়ে দিছে না পড়াশোনা করিয়েই। আর আমিও এত কিছু সামলে আর পড়া চালিয়ে যেতে পারিনি। সেহেতু চাকরি পাওয়া জটিল। যদি নাই পাই তাহলে নিজেকে চিরতরেই মুক্তি দিতে হবে।