December 23, 2024
কলামফিচার ৩

ফেমিসাইড বা নারীহত্যা প্রসঙ্গে

ইমতিয়াজ মাহমুদ।। ফেমিসাইড কথাটার আমাদের এখানে নারীবাদী আন্দোলনের লেখায় আমি কখনো দেখিনি। ইংরেজিতে ওরা Femicide বলে, বাংলায় নারীহত্যা বলা যায়। এই লেখায় Femicide অর্থে নারীহত্যা শব্দটাই ব্যবহার করি, যদি ভবিষ্যতে কোন উত্তম বিকল্প পাওয়া যায় তাইলে তখন দেখা যাবে। Femicide বা নারীহত্যার কথাটা বলছি কারণ আমার মনে হচ্ছে যে নারীহত্যা নামে একটি স্বতন্ত্র অপরাধ আমাদের পিনাল কোডে অন্তর্ভুক্ত করা এবং এর জন্যে আলাদা শাস্তির বিধান করার বিষয়টা এখন আমাদের বিবেচনা করা দরকার। কেননা আমরা তো মাঝে মাঝেই এমনসব মৃত্যু দেখছি যেখানে নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে আর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাচ্ছে যে নারীটির পরিবারের কেউ, তার স্বামী বা প্রেমিক বা সেই রকম ঘনিষ্ট কেউ নারীটির প্রতি এমন কোনো আচরণ করেছেন যেটা থেকে মৃত্যুটা ঘটেছে- কিন্তু প্রচলিত আইনের সীমাবদ্ধতার জন্যে প্রকৃত দায়িত্ব যার হবার কথা তাকে ধরা যাচ্ছে না।

নারীহত্যাকে আলাদা একটি অপরাধ হিসাবে দেখতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে যে প্রশ্নটার মুখোমুখি হতে হবে সেটা হচ্ছে যে- ভাই, হত্যা তো হত্যাই, তাইলে নারীহত্যা বা Femicide এটাকে নরহত্যা বা Homicide থেকে আলাদা করে দেখবার দরকারটা কী? নরহত্যা নিয়ে পিনাল কোডে যে কয়টা অপরাধ আছে সবগুলিতেই ভিক্তিম নর হোক বা নারী হোক সেই নিয়ে তো আলাদা বিধান বা বৈষম্য করা হয় না। তার উপর আবার বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নারীদেরকে হত্যা করা হলে তার জন্যে আবার আলাদা আইন আছে- যেমন যৌতুকের দাবিতে হত্যা ইত্যাদি। তাইলে আবার নারীহত্যা নামে একটি নতুন অপরাধ বা একসারি নতুন অপরাধের কথা আসছে কেন? সেইটাই আলোচনা করি- শুরুটা করি চলেন Femicide বা নারীহত্যা বলতে আমরা কী বুঝাতে চাই সেটা দিয়ে।

Femicide বা নারীহত্যা বলতে আক্ষরিকভাবে কী বুঝায় সেটা তো বুঝতেই পারছেন- নারীহত্যা। কিন্তু নারীহত্যা তো মানুষ হত্যারই অংশ বা প্রতিটি নারীহত্যাই তো মানুষ হত্যাই। আর মানুষ হত্যা নিয়ে তো একসারি অপরাধ আমাদের পিনাল কোড বা দণ্ডবিধিতে আছেই। পিনাল কোডের ২৯৯ থেকে ৩১১ পর্যন্ত ধারাগুলি মানুষ মারা সংক্রান্ত নানাপ্রকার বিধান। এখানে একদম খুনের উদ্দেশ্যে খুন, খুন হিসাবে বিবেচিত হবে না এরকম দণ্ডার্হ নরহত্যা, আত্মহত্যার প্ররোচনা, অবহেলাজনিত হত্যা এইসব থেকে শুরু করে আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত নানারকম অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা আছে, এবং সেইসব অপরাধের বিপরীতে কোনটার জন্যে কী শাস্তি হবে সেইসব বিধানও বলা আছে। তাইলে নারীহত্যা আবার আলাদা কী? নারীহত্যা হচ্ছে হচ্ছে সেই হত্যাকাণ্ড, যেখানে একজন নারী বা বালিকা বা নারীশিশুকে হত্যা করা হয় ভিক্টিম নারী বলেই। অন্যভাবে বললে, নারীর লৈঙ্গিক পরিচয়টা যেখানে মৃত্যুর কারণ, সেগুলিকে বলতে পারেন নারীহত্যা।

আমাদের দেশে পুলিশ বা RABএর গুলিতে যারা মারা যায় সেগুলির সংখ্যাতে পুরুষদের একধরনের একটা একচেটিয়া আধিপত্য আছে। কিন্তু এমনিতে প্রতিদিনের অপরাধ তালিকায় হত্যার সংখ্যাগুলি যদি আপনি দেখেন, বিস্তারির পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই তবে খবরের কাগজ, টেলিভিশন ইত্যাদি দেখলে যা মনে হয়, দেখবেন যে নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি হবে। এই যে বিপুল সংখ্যক নারী ও বালিকা প্রতিদিন নিহত হয়, এর একটা বড় অংশ প্রাণ হারায় ওদের স্বামী বা স্বামীর পরিবার অথবা প্রেমিক বা প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রত্যাখ্যাত প্রেমিক বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আছে এই রকম কোন পুরুষ বা ধর্ষকের হাতে।

আমরা প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে দেখতে পাই, স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নারী খুন, অশোভন প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তরুণী খুন, যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ খুন বা ধর্ষকের হাতে নারী খুন। ধর্ষকের হাতে যারা নিহত হয়, ওদের মধ্যে আবার থাকে নানা বয়সী নারী। একদম নাড়ী না শুকানো কয়েক মাসের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী পর্যন্ত সকল বয়সী নারীরই হত্যার সংবাদ আমরা দেখেছি। এইসব হত্যার একটা বড় অংশ হচ্ছে এমন সব নারীহত্যা, যেখানে নারীটি নিহত হয় এমন একজনের হাতে যার সাথে নিহত নারীটির ছিল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বা ঘাতক পুরুষটির উদ্দেশ্য ছিল নারীটির সাথে একটি আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন করা। এমনিতে সাধারণ একটি খুন বা নরহত্যার সাথে নারীহত্যার মূল পার্থক্যটাই হচ্ছে যে নারীহত্যার ক্ষেত্রে নারীটিকে হত্যা করা হয় পুরুষকর্তৃক তার উপর নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানা সুলভ সম্পর্ক স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়ে।

Femicide কথাটা এমনিতে ইংরেজি ভাষায় খুব নতুন শব্দ নয় বটে, কিন্তু আমরা এখন যেটাকে নারীহত্যা বলছি সেই অর্থে সুস্পষ্ট করে Femicide কথাটার ব্যাবহার হচ্ছে খুব বেশিদিন ধরে নয়। Femicide কথাটাকে আইনগত ও সমাজতাত্ত্বিক একটা সংজ্ঞা দেওয়ার কৃতিত্বটা দেওয়া হয় ডায়ানা রাসেলকে। তিনিই প্রথম সত্তরের দশকে এই কথাটা লেখেন যে, নারীহত্যা মানে হচ্ছে, “the killing of females by males because they are females.” এই সংজ্ঞায় কেন তিনি Women এর পরিবর্তে Females ব্যবহার করলেন সেটা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এইভাবে যে, Female বললে যেরকম পুরো স্ত্রীলিঙ্গ- শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, Women ব্যবহারে সেটা হয় না। নারী বা স্ত্রীলিঙ্গের সব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যেই তিনি Women-এর পরিবর্তে Female শব্দটা নিলেন। আমরা যখন বাংলায় এই প্রসঙ্গে নারী কথাটা ব্যবহার করবো, সেটাতেই তাইলে নারী বলতে কেবল পূর্ণবয়স্ক নারী নয়, নারী শিশুকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বা স্ত্রীলিঙ্গের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নারীহত্যা প্রসঙ্গটা দ্বিতীয় তরঙ্গ নারীবাদী আন্দোলনের সময়ও ইউরোপে ও আমেরিকায় আলোচনায় ছিল। ডায়ানা রাসেলের যে সংজ্ঞার কথা বলছি, সেটাও তিনি সত্তরের দশকেই বলেছেন। কিন্তু নারীহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেকে এবং সাংবাদিকদের ব্যবহার্য একটি শব্দ থেকে নারীহত্যাকে একটি আইনি ধারনায় রূপান্তরটা হয়েছে পরে। এই রূপান্তরটার পেছনেও ডায়ানা রাসেলএর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি নারীহত্যা কথাটা সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করলেন এইভাবে যে, নারীহত্যা হচ্ছে নারীর বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে পরিচালিত যে কোনো সহিংসতা, যার মধ্যে আছে সকল প্রকার যৌন নির্যাতন, হোক সেটা কথা দিয়ে বা শারীরিকভাবে, যেমন ধর্ষণ, নির্যাতন, যৌনদাসত্ব (বিশেষ ভাবে বেশ্যাবৃত্তির ক্ষেত্রে), পরিবারের মধ্যে বা পরিবারের বাইরে শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন, শারীরিক এবং মানসিক আঘাত, যৌন হয়রানী (ফোনে রাস্তায় অফিসে বা ক্লাসরুমে), মেয়েদেরকে জোর করে বন্ধ্যা করানো বা প্লাস্টিক সার্জারি করানো বা গর্ভপাত করানো এ রকম যত প্রকার অত্যাচার রয়েছে সেগুলির চূড়ান্ত পর্ব। যখনই নারীর প্রতি এই রকম কোন সন্ত্রাসের ফলে নারীটির মৃত্যু হয়, সেটাই Femicide বা নারীহত্যা। ডায়ানা রাসেলের সংজ্ঞায় অত্যাচার নির্যাতনের তালিকাটা আরেকটু বড়, আমি সংক্ষিপ্ত করেছি। মোদ্দা কথা হচ্ছে যে, নারীর প্রতি সহিংসতা বা অত্যাচার নির্যাতনের যত রকমভেদ পা প্রকারভেদ আছে, তার কোন একটিতে যদি নারীর মৃত্যু হয় তাইলে সেটাকে নারীহত্যা হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে।

উদাহরণ হিসাবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাটা নিই। মুনিয়ার সাথে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি ঐ লোকটার একটা সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কটা কী, সেই জটিলতায় না গিয়ে সহজ করে বলি, ওদের মধ্যে একটা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল, ইংরেজিতে যেটাকে বলে ইন্টিমেট রিলেশন, সেইটা। সেই সম্পর্কের সূত্রেই এই লোকটা মেয়েটাকে হয়রানী বা নির্যাতন বা অত্যাচার বা সেরকম কোন আচরণ করেছে। একটা ফোনালাপ তো আমরা শুনেছি, সেইটাও যদি হয় তাইলেও যথেষ্ট, এর বাইরেও হতে পারে যে লোকটি ক্রমাগত মেয়েটাকে হয়রানী করেছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে বা মারধোর করেছে। এইসবের চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে যে মেয়েটা সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে।(এমনও হতে পারে যে এই লোকটা হয়তো মেয়েটাকে নিজে মেরেছে বা লোক দিয়ে মারিয়েছে- সেই সম্ভাবনা না হয় বাদই দিলাম)। আমরা নারীহত্যা যেভাবে সংজ্ঞায়িত করছি সেই অনুযায়ী তাইলে এই অপরাধটা একটা নারীহত্যা হিসাবেই বিবেচিত হবার কথা। আমাদের আইনে তো নারীহত্যা আলাদা অপরাধ না, অপরাধের শ্রেণি হিসাবে বিবেচিত নয়, ফলে ওর বিরুদ্ধে এখন নারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

নারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার যে অপরাধটা, এটাও একটা বিশেষ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে- ৯ক ধারা। ২০০৩ থেকে এই ধারাটা আছে। এই ধারাটার কিছু অসুবিধা আছে। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করতে হবে দেখাতে হবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মৃত নারীটির “সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত (Wilful) কোন কার্য দ্বারা” নারীটির সম্ভ্রমহানী ঘটিয়েছে এবং এর “প্রত্যক্ষ কারণে” নারীটি আত্মহত্যা করেছে। এইটা প্রমাণ করা খুব কঠিন। আমার হাতের কাছে কোন পরিসংখ্যান নাই, কিন্তু আমার ধারনা ২০০৩ সনে এই আইন হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এই ধারার অধীনে সম্ভবত কোন চূড়ান্ত সাজা কারো হয়নি অথবা হলেও সেই সংখ্যাটি নগণ্য। লক্ষ্য করুন, পুরুষের কাজটি হতে হবে নারীটির সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে, সেটা হতে হবে ইচ্ছাকৃত এবং সেটা দ্বারা নারীটির সম্ভ্রমহানী হতে হবে। আমি আপনাদেরকে বলে দিতে পারি, আইনের সকল উপাদান পূর্ন করে সকল সন্দেহের ঊর্ধ্বে এই রকম মামলা প্রমাণ করা খুবই কঠিন। অসম্ভব বলব না, কিন্তু খুবই কঠিন। আর নারী ও পুরুষ এই দুজন যদি হয় ইন্টিমেট পার্টনার, যারা পরস্পরের সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতো- ওদের ক্ষেত্রে এরকম অপরাধ প্রমাণ করা আরও কঠিন।

তার পরিবর্তে যদি নারীহত্যা নামে একটা অপরাধ হতো, যেটার সংজ্ঞায় থাকতো যে একজন নারীর বিরুদ্ধে তার ইন্টিমেট পার্টনার কর্তৃক যদি যেকোনো প্রকার সহিংসতা পরিচালিত হয়, হোক সেটা বাচনিক বা শারীরিক, (উদাহরণ হিসাবে অনেকগুলি সহিংসতার  বর্ণনা আইনে দেওয়া যায়) আর তার পর যদি নারীটি নিহত হয়- হোক সেটা আত্মহত্যা বা হত্যা, তাইলে এর দায় বর্তাবে পুরুষটির উপর- তাইলে আজকে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি লোকটির বিরুদ্ধে নারীহত্যার মামলা হতো এবং সেটা প্রমাণ করা কোন জটিল কাজ হতো না।

এই কারণেই প্রস্তাবনাটা যে, নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌতুক দাবি এইরকম যত রকম অপরাধ আমাদের আইনে আছে বা আমাদের আইনে নতুন করে যুক্ত হবে, সেইসব অপরাধের যে কোনো একটার কারণে যদি কোনো নারীর মৃত্যু ঘটে- সেটা আত্মহত্যা রূপে হোক বা অন্য যে কোনোভাবে, সেটার দায় দায়িত্ব পুরুষটিকেই নিতে হবে। বিশেষ করে যেখানে নারীটি ও পুরুষটির মধ্যে স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকা বা অন্য যে কোন প্রকারের ইন্টিমেট পার্টনার ধরনের সম্পর্ক থাকে। নারীর প্রতি সহিংসতার দৃশ্যমান কারণ অন্য যে কোন কিছুই হোক, প্রকৃত কারণটা তো একটাই- নারীকে অবদমিত করে রাখা বা নারীর উপর আধিপত্য বজায় রাখা। এটা একজন নারীর বিপরীতে একজন পুরুষের অপরাধই হোক, বা একজন নারীর বিরুদ্ধে পরিবার বা সমাজের সহিংসতাই হোক- উদ্দেশ্য থাকে ঐটাই। এই জন্যে ডায়ানা রাসেলের সেই কথাটাও আমার ঠিক মনে হয় যে, সেই অতীতের ডাইনি বলে পুড়িয়ে মারা থেকে শুরু করে, হালের বহু সমাজের নারী শিশু হত্যা বা তথাকথিত পারিবারিক মর্যাদার নামে নারীকে মেরে ফেলা, এইগুলি থেকে আমরা দেখতে পাই যে নারীহত্যা চলে আসছে বহু বহু দিন থেকে।

সময় এসেছে যে আমরা এই ব্যাপারটার স্বীকৃত দিই এবং আমাদের আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন বা সংযোজনের জন্যে দাবী তুলি। না, নারীহত্যার অপরাধটা আলাদা করে চিহ্নিত করে আইন তৈরি করলেই সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান আসবে না। কিন্তু বিপ্লব কবে হবে আর পিতৃতন্ত্র কবে ভাঙবে তার জন্যে তো বসে থাকলে হবে না। এই যে মুনিয়া নামের বাচ্চাটার মৃত্যু হল, এই ধরনের ক্ষেত্রে মৃত্যুর দায়টা যদি প্রকৃত অপরাধীর উপর আরোপ করে যথাযথ শাস্তি বিধান করতে হয়, তাইলে তো এক্ষুনি এই রকম আইন সংশোধনের প্রয়োজন আছে।

 

 

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত কলাম লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]