ভুল করে নিজের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দিওনা
নুজহাত তাহসিনা।। আমাদের সবারই খুব পরিচিত একটা ওয়ার্ড হচ্ছে সেক্সুয়াল অ্যাবিউস। খুব ছোটবেলায় যে আমরা এর মানে বুঝে ফেলি তা কিন্তু না। আমরা যখন ২১/২২ বছরের হই ঠিক তখন আমরা এই শব্দটার আসল মানেটা বুঝি। আর অনেকের কাছেই এই শব্দটার মানে একটা আতঙ্ক, একটা ঘৃণা।
আমরা অনেকেই যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হই। বিভিন্ন বয়সে একটা ছেলে/মেয়ে এর শিকার হয়। টিনএজার ছেলে/মেয়েরা এর শিকার হয় সবচেয়ে বেশি এবং তারপর থেকেই অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি হয়। অনেকেই ভাবে যে হয়তো তার নিজের দোষে এর শিকার হয়েছে। যার ফলে নিজের মধ্যে এই কথাটা পুষতে থাকে, অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে না। নিজেই নিজের মধ্যে এই ব্যাপারটা বয়ে নিয়ে বেড়ায়। অনেকেই মানসিকভাবে খুব ভেঙে পরে। মা-বাবা বা বড় কারো সাথেই এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়, লজ্জা পায়। আর এইখানেই কিন্তু শেষ না। এরপর থেকে শুরু হয় তার নিজের যে দৈনন্দিন কাজের রুটিন তার ব্যাঘাত ঘটা। অনেকের এই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনা বলে শুরু হয় পড়াশুনায় অমনোযোগী হওয়া। সবসময় একটা ভয়ে থাকা যে আমি এক একটা জায়গায় গেলে কিছু হবে না তো আমার সাথে? এতে করে খুব মানসিক চাপে থাকে। তবে আমাদের দেশে ছেলেদের থেকে মেয়েরাই বেশি যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হয়। এর কারণ একটাই, মেয়েরা নিজেদের অনেক দুর্বল মনে করে। তারা সবসময় ভাবে যে যদি কোনো প্রতিবাদ করি তাহলে যদি কোনো ক্ষতি হয়! একটা ছেলে না যতটা কষ্ট পায়, তারচে একটা মেয়ে তারচে অনেক বেশি ভোগে। এবং সারাটা জীবন এই ঘটনাগুলো বার বার তার মনে পড়তে থাকে। আর নিজের মধ্যে কষ্ট পেতে থাকে। এর জন্য আমাদের দেশে একটা মেয়ে যেকোনো সময়ই ভয় পায় একা বাইরে যেতে।
কেন এমনটা হয়?
একটু লক্ষ্য করে দেখি, পরিবারগুলাতে সেক্সুয়াল অ্যাবিউসের ব্যাপারে কেউ কোনো দিন কোনো কথাই বলে না, যেন এইটা কোনো বিষয়ই না। এইরকম কোনোদিনই কিচ্ছু কারো সাথে হয়না।
কীভাবে তাহলে একটা বাচ্চা কিংবা একটা টিনেজার এই সিচুয়েশনকে মোকাবেলা করবে?
সবসময় কি বাবা,ভাই, বন্ধু বাঁচানোর জন্য আসবে?
যখন কেউ থাকবে না, তখন?
আসলে যদি সঠিক গাইডেন্স পায়, তাহলে যেকোনো ছেলে/মেয়ের মধ্যে সেই সাহসটা আছে যে তারা অধিকাংশ পরিস্থিতি নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। হ্যাঁ, যে পরিস্থিতিগুলোতে বাবা, ভাইয়ের সাহায্য লাগবে তখন তো তারা আমাদের পাশে আছেই। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত অন্য কারো সাহায্য লাগে আমার মতে ততক্ষন নিজেই নিজের প্রতিরক্ষা করা উচিত। আমরা যদি চুপ থাকি তাহলেই তারা আমাদের নীরবতার সুযোগ নেয়। যেটা একদমই উচিত না।
আমরা কি কখনো দেখেছি একটা পাখি আকাশে ওড়ার জন্য অন্য পাখির কাছ থেকে পাখা ধার চায়? তাহলে কেন আমরা একটা মুক্ত আকাশের পাখি হতে পারবো না! কেন সবসময় একই ভয় মনেই মধ্যে নিয়ে বসে থাকবো! আমরা কেন নিজের প্রতিরক্ষা নিজে করবোনা! আমরা সবাই তো শুধু মুক্তির খোঁজেই ছুটি। সবাই তো একটু মুক্তি চাই, নিজের মতন করে চলতে চাই।
“Let the bird fly on their own
Let them be alart ,be free
Let them not be like soft flowers, but like solid iron.”
আমাদের দেশে ধর্ষণ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক কম বয়সী মেয়েরা কিংবা ছোট ছোট বাচ্চারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে অনেক বেশি। যারা কেবল টিনএজ-এ পা দিয়েছে তাদের মধ্যে কারু সাথে যখন এই মারাত্মক ঘটনাটা ঘটে, হয় তখন তারা ভয় এ কাউকে কিছু বলতে পারেনা। আর মা বাবাকে তো ভুলেও বলতে পারেনা। কারণ তারা অনেক ভয় পায় তারা ভাবে যে আমার সাথে এতো বাজে একটা জিনিস হলো আমি কাউকে কীভাবে এটা বলবো?
এর কারণ কি? কেন একটা মেয়ের সাথে এমন হয়?
কারণ আমাদেরপরিবারগুলোতে ঠিক যেমন যৌন হয়রানি নিয়ে কিছু বলা হয় না, যৌনশিক্ষাও দেয়া হয়না । আর দুর্ঘটনাক্রমে মেয়েটা যদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায় তখন মেয়েটা কারো সাথে এই ব্যাপারটা শেয়ার করতে ভয় পায়। কারণ গর্ভধারণ আমাদের দেশে ট্যাবু। টিনএজার অবস্থায় গর্ভধারণ অথবা কোনো ইন্টিমেন্ট রিলেশন আমাদের দেশে ট্যাবু। বাবা মায়েরাও বাচ্চাদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে পরিস্কার করে কথা বলেন না। তখন দেখা যায় বাচ্চাদের জীবনে একটা বিপদ আসে অথবা তারা না জেনে বুঝে একটা ভুল করে ফেলে অথবা ধর্ষণের শিকার হয়। তখন তারা সংকোচ বোধ করে বা ভয় পায় মা বাবার সাথে কথা বলতে। কারণ বাবা মা তো তাদেরকে এই ব্যাপারে কিছুই শেখায় নি। এমন একটা ভাব যে সত্যিই ঐ যে বাংলা সিমেনাগুলাতে হয়না যে বাচ্চারা জিজ্ঞেস করে- মা মা আমরা কীভাবে আসলাম? কোথা থেকে আসলাম? মা তখন বলে- আল্লাহ আমাদের কোলে তোমাকে দিয়ে গেছে। তো যেহেতু আমাদের এশিয়ান দেশগুলোতে এইভাবেই শেখানো হয় তাই বাচ্চারা বাবা মায়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে।
আমি একটা প্রেমিক প্রেমিকার গল্প শেয়ার করি।
ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার নিউ জার্সিতে। গল্পটা যদিও বিদেশি কিন্তু গল্পে যে মেয়েটার অর্থাৎ মিশেল-এর কথা বলবো তার পরিবার খুব ধার্মিক। ওদের ভিতরে এইসব ট্যাবু ছিল। তারা তাদের বাচ্চার সাথে প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক- এই ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলতো না। কিন্তু তার বাবা মা এমনও না যে না তুমি প্রেম করতে পারবানা। এটা আমাদের ধর্মে নাই এমনটা না। ওর বাবা মা ওকে বলছে যে প্রেম করো আর যাই করো ওই ন্যাস্টি জিনিসগুলা করবানা বিয়ের আগে, এইগুলা করা উচিত না। কাহিনীটা বলছি যখন ছিল মিশেলের ১৬ বছর বয়স। ও তখন হাইস্কুল এর ছাত্র। তখন ও স্কুল এ পড়ার পাশাপাশি একটা চাকরি করতো রাতে বেলা। পার্টটাইম জব আর কি একটা রেস্টুরেন্ট, এ তো ওর বাবা মা জানতোও। রেস্টুরেন্ট এ অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করবে বলে রাতে অনেক সময় বন্ধুদের বাসায় থাকতো। কিন্তু ওর বাবা মা বুঝেও না বোঝার ভান করতো যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আছে, এটি তারা জানেন না। তো যেহেতু মিশেল একটা টিনএজার, তো তার মাথায়ও এটা ছিল যে কাজটা খারাপ হচ্ছে অথবা ভালো। তার বাবা মা তাকে শত বাধা দেয়া সত্ত্বেও মিশেল তার প্রেমিকের সাথে ঘুরে বেড়াতো। আর মিশেল যে ছেলেটার সাথে প্রেম করতো তার নাম ছিল জন, ও কলেজ স্টুডেন্ট ছিল। তো কিছুদিন পরেই মিশেল এর স্কুলে প্রম নাইট এর প্রোগ্র্যাম। আমাদের দেশে আমরা ক্লাস পার্টি করি তেমনি একটা কিছু। প্রম নাইট নিয়ে নুতুন করে বলার কিছু নাই। এটা আমরা সবাই জানি। তো প্রম নাইট একটা টিনএজার এর জন্য বলতে গেলে অনেক স্পেশাল কিছু। সবাই খুব এক্সসাইটেড থাকে কী পরবে, কার সাথে যাবে এইগুলা নিয়ে। তখন মিশেল জনকে বলে যে তুমি প্রম নাইট-এ আমার পার্টনার হয়ে আমার স্কুলে আসবা। তো জন একটু বিরক্ত হয় ও বলে আমি আমি হাই স্কুল ছেড়ে দিয়েছি কয়েক বছর হয়ে গেছে, আমি কেন এই ছোটদের প্রোগ্র্যাম এ যাবো। তো এটা নিয়ে তাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হয়। পরে খুব রেগে মেয়েটা বলে যে তুমি আমাকে নিয়ে যাবে নাহলে আমি অন্য কোনো ছেলে নিয়ে যাবো। তো তখন জন একটু চিন্তায় পড়ে যায়, পরে রাজি হয়ে যায় মিশেল এর সাথে যেতে। মিশেল এটা শুনে খুব খুশি হয় আর প্ল্যান শুরু করে কী পরবে, কী করবে, প্রায় ৫/৬ মাস আগে থেকেই। তো একদিন মিশেল ওর বাবা মায়ের সাথে বসে আছে। বসে বসে টেলিভিশন দেখছিলো। তো তারা এমন একটা খবর দেখছিলো যেখানে এমন একটা মেয়ে খুব কম বয়সে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় আর সেটা মা-বাবা’কে বলতে পারেনা। চুপি চুপি পেটের মধ্যেই বড় করতে থাকে আর যখন বাচ্চাটা হয় তখন সেই কাপলটা বাচ্চাটাকে মেরে ফেলে। পরে যখন তারা ধরে পরে যায় তখন তাদের জেল হয়। এইটা দেখার পর মিশেল নিজেও খুব ভয় পেয়ে যায় যে কীভাবে এমন করতে পারে। এইদিক দিয়ে যেইটা হয় মিশেলের মা বাবা উনারা যখন এটা দেখছে আর বলে যে- ছিঃ ছিঃ এইরকম যারা করে তারা তো নরকে জাবে, এইরকম ছেলে মেয়ে হওয়াই উচিত না।
তো তখন এই ঘটনাটা দেখে মিশেল একটু ঘাবড়ে যায়। কারণ কিছুদিন ধরে ওর পিরিয়ডটা মিস যাচ্ছিলো। মানে ঠিক মতো হচ্ছেনা, মান্থলি সাইকেলিংটা মিস যাচ্ছে। ও যে ভয়টা পায় যে আমার কিছু হলো নাতো! তো পরদিন এটা ও জনের সাথে শেয়ার করে। শুধু বলে যে আমার এইরকম সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিন ধরেই মিস যাচ্ছে, আমি কি প্রেগনেন্ট?
এই কথা শুনে জন খুবই ভয় পায় ও বলে যে আমি নিজেই তো অনেক ছোট, আমি কীভাবে এমন একটা জিনিস নেবো, তুমি কোনো পিল খাও নাই? জন অনেক ভয় পেয়ে যায়। এটা দেখে মিশেল আর বেশি ভয় পেয়ে যায়। তো মিশেল ভাবে যে আমি যদি সত্যিই প্রেগনেন্ট হয়ে যাই আর এইজন্য যদি আমাকে জন ছেড়ে চলে যায় আমার কি হবে। তখন ও জন কে শান্ত করার জন্যই বলে যে, না না আমি ফান করসি, আমার হয়তো হিসাবে ভুল হচ্ছিলো।
এরপর মেয়েটা বাসায় এসে চেক করে, দেখা যায় ও আসলেই প্রেগনেন্ট। তখন আর ওর মাথা কাজ করে না। কাউকে শেয়ার করতে পারছে না আর মিশেলের যে বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল রেবেকা, ওর সাথে জনেরও খুব ভালো সম্পর্ক, রেবেকাকেও এটা বলতে পারেনা। মিশেল গর্ভবতী হয়েছে ফেব্রুয়ারির দিকে আর ওদের প্রোগ্র্যাম নভেম্বরের দিকে। মিশেল এই ব্যাপারটাকে এতো পাত্তা না দিয়ে ও ওর মতো আনন্দ করেছে। কয়েক মাস কাটলো। মিশেলকে দেখলে একদমই বোঝা যেতোনা যে ও প্রেগন্যান্ট। মিশেলের মা মিশলকে কয়েকবার ড্রেস চেঞ্জ করতে দেখেছে কিন্তু তার একবারের জন্যও মনে হয়নি এমন কিছু। মা ভেবেছে হয়তো খাওয়াদাওয়া বেশি হচ্ছে তাই এমন দেখাচ্ছে। মিশেল হয়তো হেলথ গেইন করছে। এইভাবেই দিন চলতে চলতে চলে এসেছে সেই প্রম নাইট। প্রম নাইট যেইদিন ঐদিন সকালেই কাকতালীয়ভাবে মিশেলের ওয়াটার ব্রেক করে। তার মানে দিনই ওর ডেলিভারির ডেট। যেহুতু মিশেল নিজেকে মেন্টালি এমন ভাবে বুঝিয়েছে যে ও প্রেগন্যান্ট না। ও যদি চুপি চুপি গর্ভপাত করাতে চাইতো, তাহলে ওর ঐদিনই হসপিটালে চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ও এমন কিছুই তখন আর করেনি ওর প্রম নাইট এর যে ড্রেসটা ওটা পরে রেডি হয়ে গেসে যাওয়ার জন্য। ওরা সবাই মিলে একটা গাড়ি ভাড়া করে একসাথে যাচ্ছে প্রোগ্রামে আর প্রোগ্রামটা হচ্ছে একটা একটা হোটেলে। তো গাড়ি দিয়ে যখন ওরা সবাই যাচ্ছিলো অলরেডি ওর ব্যাথা উঠেছে।বন্ধুরা জিজ্ঞেস করলে মিশেল তখন বলে, আজকে বাজে কিছু হয়তো খেয়েছি তাই শরীরটা ভালো লাগছেনা, ঐখানে গিয়ে ফ্রেশ হলে ভালো লাগবে।
মিশেল জনকে বলে, আমি একটু ওয়াশরুমে যাবো, আমার খারাপ লাগছে, আমি একটু পরে আসছি। পরে ওর ব্যাথাটা আরো বাড়তে থাকে। তো ও ভিতরে অনেক আওয়াজ করছিল। অনেকে অনেক আজেবাজে কথা চিন্তা করে। প্রায় আধা ঘন্টার উপরে ও ওয়াশরুমে, ওর বেস্ট ফ্রেন্ড রেবেকা ওকে খুঁজতে আসে। ওকে নক করে বলে যে মিশাল তুমি কি ওয়াশরুমে? পরে মিশাল বলে যে আমার পেটে ব্যাথা। একটু টাইম লাগবে। এই আধা ঘন্টার ভিতরে ও ডেলিভারি দিচ্ছে আর ওই সময় ওর অনেক রক্ত যায় আর এটা দেখে ওয়াশরুম এ থাকা অনেক মেয়েই ভয় পেয়ে যায়। মিশেল খেয়াল করে যে ওয়াশরুমে অনেক তোয়ালে আছে, ও সেটা এনে নিজে যতটুকু পারে ক্লিন করার চেষ্টা করে। তো কিছুক্ষনেই মধ্যেই ওর ওয়াশরুমেরভেতরেই বেবিটা হয়। এরপর মিশেল যে ভয়ংকর কাজটা করে তা হল, ওয়াশরুমের ট্র্যাশ ক্যানগুলার স্টিল দিয়ে নাড়ি কেটে ট্র্যাশক্যানে বাচ্চাটিকে ফেলে দেয়। এরপর ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নিজের মেকআপ ঠিক করে বাকিদের সাথে জয়েন করে।
মিশেল এইটা চিন্তা করে করেনি যে ও একটা বাচ্চাকে ট্র্যাশ ক্যানের ভিতর ফেলে দিয়েছে। ওর চিন্তা ছিল যে একটা টিউমার মানে ওর শরীরের একটা বাড়তি অংশ ফেলে দেয়ার মতো এটা, ওর মস্তিষ্ক এইভাবেই চিন্তা করেছিল।
এই বিষয়টা নিয়ে পরে অনেকে অনেক সমালোচনা করেছে। কিছুক্ষন পরেই লোকজন ওয়াশরুমটা ক্লিন করে ট্র্যাশগুলা নিয়ে যায়। সে সময় বাচ্চাটাকে তারা আবিস্কার করে। পুলিশ আসে, ডাক্তার আসে। কিন্তু বাচ্চাটা আগেই মারা গেছে।
পুরো ঘটনায় মিশেলের বাবা মা ভীষণ শকড হন। পুরা স্কুল কলেজে অনেক কথা বলা শুরু হয়। মিশেলকে ১৮ দিন রাখা হয় হসপিটালে। এরপর ওকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওকে ফার্স্ট ডিগ্রী মার্ডারার হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কারণ ও জীবিত একটা মানুষের প্রাণ নিয়েছে। আদালতে বিচারক পুরো কাহিনীটা শুনে মিশেলকে বলেন, তুমি নিজেকে খারাপ ভেবো না। বিচারক মনে করেন যে, যদি এই মেয়েটিকে সুযোগ দেয়া হয় ও হয়তো বা ভালো হতে পারবে। মিশেল টিনএজার, আর সব দিক বিবেচনা করে তিন বছরের জেল দেয়া হয়।
একটা গল্প আর আমার কিছু মতামত আমি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।
মানুষের জীবনে সমস্যা আসে। মানুষ মাত্রই ভুল করে, যদি ভুল হয়ে থাকে এই রকম তখন পরিবারের সাথে শেয়ার করা উচিত। নিজেরা কোনো স্টেপ নিতে গিয়ে নিজের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দিওনা।