লিঙ্গ নিরপেক্ষ ফ্যাশনই ভবিষ্যত; বাড়ছে চাহিদা
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ডেস্ক।। ফ্যাশন জগতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে লিঙ্গ নিরপেক্ষ পোশাকের। বিশ্লেষকদের মতে, লিঙ্গ নিরপেক্ষ পোশাকই হতে যাচ্ছে ফ্যাশনের ভবিষ্যত। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে নামকরা রিটেইলারগুলোতে লিঙ্গ নিরপেক্ষ পোশাক বা ফ্যাশন পণ্যের চাহিদ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
সাধারণত কোনো পোশাকের দোকানে গেলে দেখা যায়, পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। অনলাইনে কোনো ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকলেও দেখা যায়— শিশু, কিশোর, পূর্ণবয়স্কদের মতো নারী-পুরুষ নামে আলাদা বিভাগ। তবে এর বাইরেও সম্প্রতি লিঙ্গ নিরপেক্ষ পোশাকের বিভাগও চোখে পড়ে।
মার্কিন রিটেইলার প্যাকসান ২০২১ সালে ‘লিঙ্গ নিরপেক্ষ’ পোশাকের মার্কেটিংয়ের উপর আলাদা জোর দিয়েছে। তারা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে লিঙ্গ নিরপেক্ষ নামে বিভাগ চালু করেছিল। ক্রমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবারের গ্রীষ্মকালীন পোশাকের মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় লিঙ্গ নিরপেক্ষ পণ্যের মার্কেটিংয়ে।
অ্যাবেরক্রোমবি অ্যান্ড ফিচ নামক অপর আমেরিকান রিটাইলার কোম্পানি ২০১৮ সালে ‘এভ্রিবডি কালেকশন’ নামক বিভাগ চালু করে। লিঙ্গ নিরপেক্ষ পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৫ থেকে ১৪ বছর বয়েসি শিশুদের পোশাকের জন্য এ বিভাগ চালু করে তারা। চলতি বছরের মে মাসে তারা সমকামী, উভকামী, ট্র্যান্সজেন্ডারসহ সব লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষের জন্য একটি বিভাগ চালু করে। এতে টি শার্ট, শর্টস, হুডি, জ্যাকেট, টুপি, স্যান্ডেল, পারফিউমসহ প্রত্যেকটি পণ্য লিঙ্গ নিরপেক্ষ।
মোটকথা হলো, লিঙ্গ নিরপেক্ষ পোশাক বা ফ্যাশন পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে রিটেইলার কোম্পানিগুলোও লিঙ্গ নিরপেক্ষ পণ্যের বাজারজাতকরণে মনোযোগী হচ্ছে।
২০২০ সালে মার্কেটিং অ্যান্ড কনসাল্টিং ফার্ম উন্ডেরমেন থমপসন এক জরীপে দেখায়, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়েসি ৭০ শতাংশ তরুণ-তরুণী মনে করেন, একজন মানুষের পরিচয় নির্ধারণে আগের মতো এখন আর লিঙ্গ পরিচয় অতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না।
এসব ব্যাপারে মার্কিন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শন গ্রেইন কার্টার সিএনএনকে বলেন, একটি প্রজন্মের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বিশ্বাস ফুটে ওঠে ওই প্রজন্মের ফ্যাশনের মধ্যে দিয়ে। যদি ঐতিহ্যবাহী রিটেইলারগুলো টিকে থাকতে চায়, তাহলে এই প্রজন্মের মূল্যবোধের প্রতিফলন তাদের নিজেদের মধ্যেও ঘটাতে হবে।