ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর বারবার মনে করিয়ে দেবে ‘নারীবাদই ভবিষ্যৎ’
নারীবাদ নিয়ে লেখালেখি, অ্যাক্টিভিজম সারা দুনিয়াতেই কঠিন। কঠিনতর এই বঙ্গদেশে। নারীবাদ নিয়ে লিখতে গিয়ে, নারীর প্রাপ্য অধিকার, সম্মান চাইতে গিয়ে, নারী পুরুষ সব লিঙ্গের সমতা দাবি করতে গিয়ে যেভাবে হেনস্তা হতে হয় এদেশে ফেমিনিস্টদের, সেইখানে নারীবাদ নিয়েই আস্ত একখানা পত্রিকা বের করা খুব কঠিন ব্যাপার। যতটা কঠিন মনে করা যেতে পারে, বাস্তবতায় তা আরো অনেক গুণ বেশি কঠিন।
একটি নারীবাদী অনলাইন পত্রিকা, তার লোকবল নেই, অর্থকড়ির সংস্থান নেই, পিছনে বড় বড় মানুষের লবিং নেই – কিন্তু সে তিন তিনটা বছর পার করে ফেলল। আজ নারীবাদী অনলাইন পত্রিকা ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর তিন বছর পার করে চতুর্থ বছরে পা দিলো। কীভাবে সম্ভব হলো?
না, বিরাট অর্থসম্পদের জোর, ক্ষমতা, বিশাল কর্মযজ্ঞ না থাকা সত্ত্বেও ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ঠিক এগিয়ে চললো। সমানের দিকে। তার গতি কমেনি। তার বিদ্রোহী স্বর নরম হয়নি। তার প্রতিবাদের ভাষা দিনে দিনে আরো জোরালো হয়েছে। শক্তিশালী হয়েছে। এ সবই ঘটেছে আমাদের প্রজ্ঞাবান, মেধাবী লেখক এবং পাঠকদের জন্য। তারাই আমাদের শক্তি। তারাই আমাদের প্রাণভোঁমড়া।
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের চলার পথ তাই কখনো থেমে যাবে না। এই পথ চলা ততদিন, যতদিন পর্যন্ত না এই পৃথিবী হবে সমতার পৃথিবী। এই প্রতিবাদ বিদ্রোহ ততদিনের, যতদিন অব্দি নারী পুরুষ সব লিঙ্গের মধ্যে ভেদাভেদ ঘুচে না যাবে। প্রতিবাদের ভাষাই ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের পথ চলার ভাষা। বিদ্রোহের আগুনই আমাদের আলো দেয়। আমরা তাই উজ্জ্বল, ঝলমলে, প্রতিবাদে, প্রজ্ঞায়, আলোয়, অগ্রযাত্রায় সব সময় সামনের সারিতে, মশাল হাতে থাকবো। ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর পথ দেখাবে নারীকে, পুরুষকেও। ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর বারবার মনে করিয়ে দেবে সবাইকে, নারীবাদই আমাদের ভবিষ্যৎ।
ভালোবাসা। ভালো হোক সবার।