এখনও পুরুষই ক্ষমতার কেন্দ্রে: জাতিসংঘ মহাসচিব
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ডেস্ক।। বিশ্বে আজও ক্ষমতা পুরুষদের হাতে এবং পুরুষশাসিত সংস্কৃতির সাথে কেন্দ্রীভূত। মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের ৭৬-তম অধিবেশন উপলক্ষে জাতিসংঘ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘ নিউজের অ্যাজামতা মাসোইয়ের কাছে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে বৈশ্বিক উষ্ণতা, বিশ্ব নেতৃত্ব, আফগান সংকট থেকে শুরু করে নারী অধিকার বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন গুতেরেস।
বিশ্বের অনেক দেশে এখনো নারীরা একাধিক ফ্রন্টে পিছিয়ে আছে। জাতিসংঘে লিঙ্গ সমতার বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে অনেক কিছু করেছে। কিন্তু অনেক সমালোচক অভিযোগ করেন যে জাতিসংঘ জোরালোভাবে এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে না।
২০৩০ সালের মধ্যে লিঙ্গ সমতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আপনি কোন পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত দেখতে চান?মাসোইয়ের এই প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, ‘জাতিসংঘের বিভিন্ন শাখা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নারী প্রতিনিধিত্ব; নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করা নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়ে কাজ করছেন তারা। কিন্তু তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নারী এখনও ঘরে এবং প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার। সংঘর্ষ এলাকায় এটি আরও প্রকট। সুতরাং সমতার বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার করছি। তবে একটি মূল প্রশ্ন থেকেই যায় আর তা হল ক্ষমতার প্রশ্ন। বিশ্বে আজও ক্ষমতা মূলত পুরুষদের উপর এবং পুরুষশাসিত সংস্কৃতির সাথে কেন্দ্রীভূত,’ বলেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব এরপর নারীদের নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে লড়াই করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা সাধারণত দেওয়া হয় না, ক্ষমতা নেওয়া হয়। সুতরাং, নারীদের নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করা উচিৎ। একইসঙ্গে আমাদের এমন পুরুষ দরকার যারা বুঝতে পারে যে শুধুমাত্র সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতার মাধ্যমেই বিশ্বের উন্নতি হবে এবং বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবো আমরা। লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমাদের সেই পুরুষদের প্রয়োজন।’
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘের ১৮০টি উচ্চ ও নেতৃত্বস্থানীয় পদে সমান সংখ্যক নারী ও পুরুষ রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠানে এমন লিঙ্গ সমতা আনার দাবি জানান তিনি। আর ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমেই নারী-পুরুষ সমতা নির্ধারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই নেতা।