April 29, 2024
কলামফিচার ২

তালাক এবং তালাকের পরে যা কিছু

তাসনিয়া আল সুলতানা ।। একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক। রিমির (ছদ্মনাম) বয়স ৩২। সে উচ্চশিক্ষিত, বিবাহিত, গৃহিনী এবং ৬ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জননী। রিমি অবশ্য চাইলেই চাকরি করতে পারতো, কিন্তু স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ইচ্ছা সে যেন সংসারে পুরো সময় দেয়। তাছাড়া রিমির স্বামী বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ম্যানেজার পদে নিয়োজিত আছে। তার একার কামাই দিয়ে পুরো সংসার দিব্যি চলছে, তাহলে কী দরকার রিমির চাকরি করার? এতসব ভেবে সে কেবলমাত্র সংসার ধর্মে মনোনিবেশ করতে লাগলো। কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধলো তখন, যখন রিমি জানতে পারে তার স্বামী একজন অফিস কলিগের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত। মূহুর্তের মধ্যে রিমির সাজানো গোছানো সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেল।  স্বামীর কাছে এসব কিছুর কৈফিয়ত চাইলে রিমিকে তার স্বামী অশ্রাব্য ভাষায় গালগালাজসহ মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি আর বেডরুমের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে উভয়পক্ষের পারিবারিক বৈঠক পর্যন্ত গড়ায়। পারিবারিকভাবে অভিভাবক পর্যায়ের সবাই রিমির আর তার স্বামীর সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা করলে রিমি নিজেই সেখানে বাঁধ সাজে। সে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে এরকম অসুস্থ এক পরিবেশে বিকৃত মানসিকতার লোকের সাথে সংসার করা কিছুতেই সম্ভব নয়। রিমি তার ৬ বছরের একমাত্র কন্যাসন্তানকে তার সাথে নিয়ে যেতে চাইলে তার স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, রিমি যেখানে যাবে যাক; তার সন্তানকে যাতে রেখে যায়। কিন্তু রিমিও নাছোরবান্দা। সে তার সন্তানকে নিজের কাছেই রাখবে।

রীতিমতো সকলের সাথে যুদ্ধ করে রিমি তার একমাত্র কন্যাকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে আসে। এর মধ্যে রিমি তার স্বামীর ঠিকানায় তালাকের নোটিশ প্রেরণ করে। কিন্তু তার স্বামী কোনোভাবেই নিজের মেয়েকে মায়ের কাছে অর্থাৎ রিমির কাছে রেখে দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। এজন্য সে তার পরিবারসহ বারবার রিমির বাসায় হানা দেয়, কন্যাসন্তানকে সাথে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু প্রতিবারই রিমি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সন্তানকে সে একাই লালন পালন করবে। ইতোমধ্যে রিমি তার স্বামীর বিরুদ্ধে দেনমোহর, ইদ্দতকালীন ভরনপোষণ এবং সন্তানের ভরনপোষণের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করে। কিন্তু এক্ষেত্রে রিমির স্বামী তাকে অপবাদ দেয়, কাবিননামা নিয়ে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যেই স্বামীর ঘর ছেড়ে দিয়ে রিমি বৈবাহিক বন্ধন ছিন্ন করেছে। তাছাড়া সে এটিও স্পষ্টাকারে জানিয়ে দেয়, মেয়েকে কোনোভাবেই মায়ের কাছে থাকতে দেওয়া যাবে না। এজন্য একজন আইনজীবীর সাহায্যে দেওয়ানী আদালতে নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব আদায়ের জন্য রিমির স্বামী মামলা দায়ের করে।

দু’পক্ষের করা দুটি মামলায় হার-জিত কার হল সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে একটু আইন নিয়ে আলোচনা করা যাক।

প্রথমত, বিয়ে হল একটি সামাজিক বৈধ চুক্তি, যে চুক্তির দরুন একজন পুরুষ ও একজন নারী আইনগত এবং সামাজিকভাবে পরষ্পর দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করেন। অর্থাৎ বিয়ে নামক এই চুক্তির মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ এবং যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে, বৈবাহিক সম্পর্কে সন্তান জন্মদান, লালনপালন সহ নানাধরণের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, যার প্রতিপালন স্বামী-স্ত্রীর যৌথভাবে অংশগ্রহণ ব্যতীত সম্ভব নয়।

কিন্তু এই বৈবাহিক সম্পর্ক কি জন্ম-জন্মান্তরের? অনেক সময় গল্প-উপন্যাস কিংবা নাটক সিনেমায় বৈবাহিক সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে, স্বামী স্ত্রীর বৈবাহিক বন্ধন চিরজনমের; কেবলমাত্র মৃত্যুই পারে এর বিচ্ছেদ ঘটাতে। আসলেই কি তাই? উত্তর হ্যাঁ এবং না- দু’ধরণেরই হতে পারে। “হ্যাঁ” হল বছরের পর বছর ধরে চলে আসা আমাদের সামাজিক রীতিনীতি ও প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে, আর “না” হল আমাদের দেশের প্রচলত আইনের ভিত্তিতে। এখন এই দু’ধরণের উত্তরের মধ্যে আপনি কোনটা বেছে নিতে চান সেটি একান্তই আপনার নিজস্ব বিষয়। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে আইন নিয়ে একটু জেনে নেওয়া ভালো।

মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৭ ধারায় বৈবাহিক চুক্তি ভঙ্গ অর্থাৎ তালাকের কথা বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করতে চান, সেক্ষেত্রে উক্ত ধারা অনুসারে সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান কিংবা শহরাঞ্চল হলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবরে বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখপূর্বক একটি তালাকের নোটিশ প্রেরণ করতে হবে, যার এক কপি স্ত্রীর ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তালাকের নোটিশ প্রাপ্তির পর থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে সালিশী পরিষদ গঠন করা হয়। উক্ত সালিশী পরিষদে ৩০ কার্যদিবস অন্তর অন্তর মোট ৩টি শুনানী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়পক্ষের সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হয়। যদি উভয়পক্ষের একপক্ষও যদি সংসার করতে সম্মত না হন, তবে তালাকের নোটিশ প্রদানের ৯০ দিন পর উক্ত তালাক কার্যকর বলে আইনগতভাবে বিবেচিত হবে।

এখন প্রশ্ন থেকে যায়, স্ত্রী কি তার স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারে? উত্তর হল, একজন স্ত্রী চাইলে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারে। বিয়ের কাবিননামার ১৮ নং দফায় “স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা” নামক অপশন রাখা হয়, যেখানে কাজীরা সচরাচর “হ্যাঁ, বনিবনা না হইলে”- এরকম একটি বাক্য লিখে থাকেন। কিন্তু স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতার বিষয়টি আইনে আরও অনেক বেশি বিস্তৃত, যেটি শুধুমাত্র কাজীর লেখা শুধুমাত্র একবাক্যে শেষ হয়ে যায় না। ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের ২ ধারায় কোন কোন ক্ষেত্রে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারে সে বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

আমাদের সমাজে একটি বদ্ধমূল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। সেটি হল, স্ত্রী স্বামীকে তালাক প্রদান করলে স্বামীকে স্ত্রীর বরাবরে দেনমোহরের টাকা আর পরিশোধ করতে হয় না। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একজন স্বামী যেকোন অবস্থাতেই তার স্ত্রীর প্রতি দেনমোহর পরিশোধ করতে আইনগতভাবে বাধ্য। যদি এর ব্যতিক্রম ঘটে, তবে স্ত্রী তার দেনমোহর এবং ভরনপোষণের জন্য সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। অর্থাৎ স্ত্রী দেনমোহরের দাবি করলে, স্বামীর সেটিকে ব্যবসা ভাবার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ তা করে থাকেন তবে তিনি দেশের প্রচলিত আইন এবং ধর্মের অবমাননা করেন বলে ধরে নিতে হবে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দেনমোহর এবং ইদ্দতকালীন ভরনপোষণ দাবি করার সময়সীমা ৩ বছর; বিচ্ছেদের পর উক্ত সময়সীমার মধ্যে কোনো স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে ব্যর্থ হলে তিনি তার দেনমোহর এবং ইদ্দতকালীন ভরনপোষণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক সম্পাদন হয়ে যাওয়ার পর যে বিষয় নিয়ে সবথেকে বেশি টানা-হেঁচড়া হয়, সেটি হল সন্তানের অভিভাবকত্ব। বিচ্ছেদের পর সচরাচর স্বামী স্ত্রী প্রত্যেকেই নিজের সন্তানকে নিজের কাছেই রাখতে চান। কিন্তু এক্ষেত্রেও আইনের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। অভিভাবকত্ব এবং প্রতিপাল্য আইন ১৮৯০ এর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, অভিভাবক বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যার উপর কোন নাবালকের শরীর, সম্পত্তি বা উভয়ের তত্ত্বাবধানের ভার রয়েছে এবং যিনি নাবালকের ভরনপোষণ প্রদানে আইনগতভাবে বাধ্য। এই আইন অনুযায়ী একজন নাবালকের স্বাভাবিক এবং আইনগত অভিভাবক হলেন তার পিতা। আইন অনুযায়ী, মা আইনগত অভিভাবক নন, তবে তিনি নাবালক সন্তানের নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত তাকে নিজের কাছে রাখার জিম্মাদার। এক্ষেত্রে ছেলে শিশু হলে ৭ বছর এবং মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মা সন্তানকে তার নিজ জিম্মায় রাখায় অধিকারী। এখানে মেয়ে “প্রাপ্তবয়স্ক” হওয়া বলতে Age of Puberty বা বয়সন্ধিকালের সময় পর্যন্ত বোঝানো হয়েছে।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন অনুযায়ী একজন মা সন্তানের জিম্মাদার হলে তিনি কি কখনও সন্তানের অভিভাকত্ব চাইতে পারবেন না? উত্তর হল, অবশ্যই পারবেন। তাকে দেওয়ানী আদালতে নাবালক সন্তানের শরীর এবং সম্পত্তির অভিভাবকত্ব দাবি করে মামলা দায়ের করতে পারবেন। অভিভাবকত্ব ও প্রতিপাল্য আইনে পিতাকে অভিভাবকত্বের ক্ষমতা দেওয়া হলেও এই আইনের ১৯ ধারামতে, অভিভাবক হিসেবে পিতাও অযোগ্য হতে পারেন। বিশেষ করে তিনি যদি চারিত্রিকভাবে অসৎ হন, নিষ্ঠুর আচরনের অধিকারী হন, মাদকাসক্ত হলে কিংবা প্রকাশ্যে লাম্পট্য করলে, দুঃস্থ বা নিঃস্ব হন, অধার্মিক হলে, ভরনপোষণ প্রদানে গড়িমসি করলে- এসব কারণে তিনি সন্তানের আইনগত অভিভাবক হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সন্তানের যদি ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা থাকে তবে অনেক সময় আদালত ওই সন্তানের মতামতকেও গুরত্ব প্রদান করে থাকেন। তবে সন্তান যার কাছেই থাকুক না কেন, বাবা বা মা কাউকেই সন্তানের সাথে সাক্ষাৎ করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, সন্তানের অভিভাবকত্ব কার কাছে যাবে এটি অনেকাংশেই নির্ভর করে আদালতের সিদ্ধান্তের উপর। একজন মা যতদিন পর্যন্ত সন্তানের প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, আদালতের সিদ্ধান্ত ওই সন্তানের জন্য কতখানি মঙ্গলজনক সে বিষয়েও একটি প্রশ্ন থেকে যায়। যেহেতু একজন মা তার গর্ভ থেকে তার সন্তানকে জন্ম দেয়, সেহেতু প্রাকৃতিকভাবে মায়ের পরিচয়ই একজন সন্তানের প্রথম পরিচয় হওয়া উচিত। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে মাকে কেবলমাত্র সন্তানের জিম্মাদার হিসেবেই রাখা হয়েছে, ঠিক যেমন অন্যের সম্পত্তি দেখাশোনা করার মতোই।

এবার আসি রিমি ও তার স্বামী প্রসঙ্গে। দেনমোহর যেহেতু একজন স্ত্রীর আইনগত অধিকার, সেহেতু আদালতের সিদ্ধান্ত দ্বারা রিমি তার এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। আর রিমির স্বামীর করা অভিভাকত্বের মামলায় যদি তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে রিমি নীতিহীন জীবনযাপনসহ সন্তানের প্রতি অবহেলা করছেন, কিংবা ধর্মান্তরিত হয়েছেন অথবা ২য় বিবাহ করেছেন তবে রিমি তার সন্তানের জিম্মাদারিত্ব হারাবেন এবং তার ৬ বছর বয়সী একমাত্র কন্যাসন্তানকে রিমির স্বামীই নিজ তত্ত্বাবধানে রাখবেন। সোজা কথায়, যদি আদালতে রিমির চরিত্রে কালিমা লেপন করা যায়, তবে রিমি তার সন্তানের জিম্মাদারিত্ব হারাবেন। চরিত্রের কথা এজন্যই বলছি, কারণ এসমস্ত মামলায় সচরাচর বাবা আপ্রাণ চেষ্টা করেন, তার সন্তানের মাকে চরিত্রহীন হিসেবে প্রমাণ করতে। কারণ নারীর চরিত্রে কালিমা লেপন করার মতো সহজ কাজ এই পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।

তবে এতো দুর্ভাগ্যের মাঝেও সামান্য একটি আশার আলো হল, চলতি বছরেই মহামান্য উচ্চ আদালতের একটি যুগান্তকারী রায় ঘোষিত হয়েছে। সেটি হল, একজন মা তার পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের আইনগত অভিভাবক হতে পারবেন। উক্ত রায় অনুসারে বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সব ফর্মে এখন থেকে অভিভাবকের ঘরে মা, বাবা অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম লেখা থাকবে। যদিও এটি পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের ক্ষেত্রে, তবে পূর্বে এই পিতৃপরিচয়হীন সন্তানদের ক্ষেত্রেও একজন মা সন্তানের আইনগত অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি পেতেন না। এজন্য মহামান্য উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত একজন মা হিসেবে সন্তানের অভিভাবকত্ব আদায়ের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করাই যায়। এখন ব্রিটিশ আমলের সেই পুরাতন আইন থেকে বের হয়ে বাবা এবং মাকে আইনগত অভিভাবক হিসেবে আইন সমান অধিকার দেন কিনা, সেটাই হল মূল দেখার বিষয়।

তাসনিয়া আল সুলতানা: স্টাফ আইনজীবী, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *