তৃতীয় লিঙ্গ
নুসরাত সুলতানা।।
তোমায় দেখে জেগেছিল নারী হওয়ার সাধ
ঘরে বাইরে উঠেছিল চরম প্রতিবাদ।
দেহ-মনের চলছিল কি ভীষণ দ্বন্দ্ব
চারিদিকে ফিসফাস, নিগূঢ় সন্দেহ!
বাবার আনা শার্ট, দেখতে যদিও বেশ।
মায়ের শাড়ির ভাঁজে ছিল স্বপ্নের রেশ
লুকিয়ে রাখা চোখের কাজল, তুমিই ছিলে কারণ
ভাবটা এমন চেপে যা বাপ, স্বীকার করা বারণ
ঘর দেবে তাই পর করেছি যাদের ছিলাম আপন
দিয়েছিলাম স্বপ্নবীজ, তোমার হাতে বপন
জানলাবিহীন এ কেমন ঘর! কারা এসব জন?
ভালাবাসা পেয়েছিলাম, যদিও খানিকক্ষণ
নারী না পুরুষ? কে গড়েছ? তুমিই বিধাতা?
শুনে রাখ! ক্ষমা পাবে না, তুমি অভাগা
নিজের মনে বেখেয়ালে গড়েছিলে ভুল
দিন যখন মেশে রাতে, দিতে হয় মাশুল
দেহের সাথে দেহ মিশিয়ে নিচ্ছি প্রতিশোধ
কথা দিলাম আসবো আবার, মেটাবো সব ক্ষোভ
বীর্য নেই, ঘুচে গেছে মাতৃত্বের স্বাদ
মানুষ হয়ে আসবো ফিরে, করব প্রতিবাদ
চিৎকার করে বলবো, ‘না, নেই বিশেষ অঙ্গ
মেনে নেবে কি এভাবেই, মানুষ আমি-
নাম হোক না ‘তৃতীয় লিঙ্গ’!
( একজন তথাকথিত ‘তৃতীয় লিঙ্গে’র মানুষের জীবনের সত্যতা অবলম্বনে)