কংগ্রেস ওম্যানকে ‘ফাকিং বিচ’ বললেন কংগ্রেস ম্যান
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ডেস্ক।। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেস ওম্যান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস ম্যান টেড ইয়োহো। পরে কংগ্রেসে এ ব্যাপারে দুই আইনপ্রণেতা বক্তব্যও রাখেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেসে প্রবেশ করার সময় দুই জনপ্রতিনিধির সাক্ষাৎ হয়। এ সময় ৩০ বছর বয়সী ডেমোক্রেটিক দলের কংগ্রেসওম্যান আলেক্সান্দ্রিয়ার সঙ্গে রিপাবলিক দলের টেড ইয়োহোর এক বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। দুই মার্কিন আইনপ্রণেতার তর্কের এক পর্যায়ে আলেক্সান্দ্রিয়াকে ‘ফাকিং বিচ’ বলে কটাক্ষ করেন টেড ইয়োহো। উপস্থিত একজন সাংবাদিক দুই আইনপ্রণেতার এমন বাগবিতণ্ডার ঘটনা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমসহ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান টেড ইয়োহো। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বুধবার কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় তিনি তার ৪৫ বছরের বিবাহিত জীবন ও দুই কন্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তবে টেড ইয়োহো ‘ফাকিং বিচ’ কথাটি উচ্চারণ করেননি বলে জানান তার বক্তব্যে। যদিও উপস্থিত এক সাংবাদিক এর আগে জানিয়েছিলেন, বিশিষ্ট ওই রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান প্রতিপক্ষ দলের কংগ্রেসওম্যানকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর ওই শব্দযুগল ব্যবহার করেছেন।
তবে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কের জনপ্রতিনিধি আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ। তার বক্তব্যে তিনি টেড ইয়োহোর কড়া সমালোচনা করেন এবং একদিন আগে কংগ্রেসে দেওয়া টেড ইয়োহোর দুঃখ প্রকাশের ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তার বক্তব্যে আলেক্সান্ড্রিয়া বলেন, এই ইস্যুটি মাত্র একটি ঘটনার নয়, এটি একটি সংস্কৃতি। নারীর প্রতি সহিংসতা ও হিংসাত্মক ভাষার ব্যবহার মূলত একটি পূর্ণাঙ্গো ক্ষমতা কাঠামোর মদদেই হয়ে থাকে।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পলোসি এ ঘটনার ব্যাপারে বলেন, এটি আমাদের সমাজের মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
ক্যালিফোর্নিয়ার কগ্রেসওম্যান বার্বারা লী বলেন, আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে বলতে পারি, জীবনভর অপমান, বর্ণবাদ ও সেক্সিজমের শিকার হয়েছি। এমনকি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার পরেও আমার প্রতি এমন আচরণ থামেনি।