December 23, 2024
ফিচার ৩মুক্তমত

নারীর শরীর পুরুষের মর্জি হতে পারে না

কায়সুল আলম খান।। ‘মাই বডি, মাই চয়েস’ একটি ফেমিনিস্ট স্লোগান যার বাংলা তর্জমা হল ‘আমার শরীর, আমার সিদ্ধান্ত।’ আধুনিক ও সভ্য মানুষের ব্যাক্তিগত শারীরিক স্বায়ত্ত্বশাসন ও পছন্দের স্বাধীনতার প্রশ্ন থেকেই নারীবাদীরা এই ধারণার প্রবর্তন করেন। মূলত নারীর গর্ভপাতের স্বাধীনতার প্রশ্ন থেকে এই স্লোগানের উৎপত্তি, বর্তমানে এর প্রেক্ষাপট অনেক বিস্তৃত। নারীর যৌনসঙ্গী পছন্দের স্বাধীনতা, প্রজনন স্বাস্থ্য, সন্তান নেওয়ার স্বাধীনতা অর্থাৎ জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও গর্ভপাতের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে শুরু করে অ্যান্টি-বডি শেইমিং এর মত ইস্যুও বর্তমানে ‘আমার শরীর, আমার সিদ্ধান্ত’ আন্দোলনের মাঝে স্থান করে নিয়েছে।

ঐতিহাসিকভাবে জানা যায় ১৭/১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যখন পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটে তখন সবল ও ক্ষমতাবান পুরুষরা মূলত দুর্বল ও নিপীড়িত পুরুষদের উপর দাসত্ব অর্পনের চেষ্টা করে। ক্ষমতাবানদের দ্বারা সাধারণ মানুষের ব্যাক্তিগত শারীরিক সম্পত্তির উপর কর্তৃত্ব স্থাপনের মাধ্যমে নতুন ধারার দাস প্রথার জন্ম হয়। মূলত তখন একদল ভিন্ন চিন্তার মানুষ এই নগ্ন প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং এর মাধ্যমে ‘মাই বডি, মাই চয়েজ’ মতবাদের জন্ম হয়। পরবর্তীতে বিংশ শতকের ৭০ এর দশকে নারীবাদীরা নারীর শারীরিক ও মানসিক অধিকার নিশ্চিতে একই টার্ম ব্যবহার করা শুরু করেন, যা বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় নারীবাদী স্লোগান হিসেবে প্রতিনিয়ত বিস্তৃতি লাভ করছে।

পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের শারীরিক ও যৌন অধিকারের দাবিতে কাজ করে চলেছেন। দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল তুলেছেন ইতিমধ্যে। অন্যদিকে প্রাচ্য, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় নারীবাদী আন্দোলন এখনো সেভাবে গড়ে উঠতে পারে নি। তবুও আমরা দেখতে পাই পাকিস্তান, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এখন ‘মাই বডি, মাই চয়েস’ ধারণাটি নানাভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে। নারীরা তাদের প্রজনন ও যৌন স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছেন। নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করে নিতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাবহত রেখেছেন। ভারতের জনপ্রিয় নারীবাদী পত্রিকা ‘ফেমিনা’য় নারী অধিকার নিয়ে নানারকম লেখালেখি হয়। আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে ২০০৩ সালে সেখানে প্রকাশিত হয় এই ‘মাই বডি, মাই চয়েস’ স্লোগানের দক্ষিণ এশীয় ধারা ‘মেরা জিসম, মেরি মার্জি।’ ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া মোহি আদাজানিয়া নির্মিত এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত শর্টফিল্ম ‘মাই চয়েস’ এ দেখানো হয় ভারতীয় নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা, যৌনতা, বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো।

দক্ষিণ এশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতেও প্রসারিত হয়েছে মাই বডি, মাই চয়েস আন্দোলন। ইউরোপের দেশগুলোর মাঝে ব্রিটেন, সুইডেন, অষ্ট্রিয়া প্রভৃতি দেশের নারীবাদীরা কাজ করছেন এই ইস্যু নিয়ে। এছাড়া উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা মহাদেশসহ পুরো পৃথিবীর নারীর অধিকার আদায় ও শারীরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে এই আন্দোলন।

মানব ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা পুরুষদের মতই গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাদের প্রতি সমাজের যেন কোন দায়বদ্ধতা নেই। ধর্ম, সমাজ কিংবা অর্থনীতি যে কোন বিচারেই নারীরা অবহেলিত। পুরুষ প্রবর্তিত ও প্রচারিত ধর্ম বরাবরই নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছে। ফলে ধর্ম নারীর শারীরিক ও যৌন স্বাধীনতা পুরুষের মর্জির উপর ন্যস্ত করেছে। সেখানে পুরুষই আসল খেলোয়াড়, নারী কেবলই খেলার সামগ্রী। একইভাবে সমাজ বা রাষ্ট্র নারীর যৌন পছন্দের অধিকারকে খর্ব করেছে। ধর্ম ও সমাজ নারীকে আবদ্ধ করেছে বিবাহ নামক এক অতি প্রাচীন ধ্যান-ধারণার আবর্তে। নারীর শারীরিক পছন্দের মত সাধারণ ব্যাপারও আজ তার হাতে নেই। সৌন্দর্যের বোধ নারী নিজের রুচিবোধ থেকে নিশ্চিতের পরিবর্তে সমাজের বেঁধে দেওয়া ফ্রেমের মধ্য থেকে ধারণ করতে বাধ্য হচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞানের অবদানে নারীর কসমেটিক সার্জারি, সিজারিয়ান অপারেশন সবই হচ্ছে মূলত পুরুষকে খুশি করার নিমিত্তে। তার বুক, কোমর, নিতম্বের মাপ কেমন হবে তাও নির্ধারণ করে দিচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। প্রকৃত শিক্ষার ছোঁয়া থেকে দূরে অবস্থান করে বেড়ে ওঠা এক শ্রেণির নারী নিজেদের সেই ফ্রেমের মাঝে আবদ্ধ করে ফেলছে। ফলে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে এক ধরণের অসুস্থ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। তাতে লাভবান হচ্ছে পুঁজিপতিরা। আর নারীরা হচ্ছেন শোষিত।

মানুষ আজ চাঁদের মাটিতে পা রেখে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা করছে। রাশান ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা থেকে ইন্দো-আমেরিকান কল্পনা চাওলা মহাকাশের বুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সত্য, কিন্তু এখনো শত কোটি নারী পুরুষতান্ত্রিক পৃথিবীর কাছে সন্তান জন্মদানের এক মাধ্যম বা যন্ত্র মাত্র। পুরুষতান্ত্রিক এই পৃথিবীর মানুষরূপী প্রাণিগুলো বিশ্বাসই করে না যে নারীরও যৌন পছন্দ আছে। তিনি হেটারোসেক্সুয়াল হতে পারেন আবার হোমো কিংবা বাই-সেক্সুয়াল একজন মানুষ হতে পারেন। অসভ্য এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে লেসবিয়ান কিংবা বাই-সেক্সুয়ালদেরকে অসুস্থ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করা অতি সাধারণ বিষয়। এছাড়াও শারীরিক সংসর্গের প্রশ্নে নারীর যৌন সম্মতি বা কন্সেন্টের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও এই পৃথিবীর একটি অংশে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় হিসেবে গ্রাহ্য হয়।

২০১৯ সালের নভেম্বরে নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের পরিসংখ্যান বলছে প্রতিদিন ৩৩ হাজার মেয়েকে জোর করে বিয়েতে বাধ্য করা হয়। ৪ মিলিয়ন মেয়ে শিশুকে প্রতি বছর স্ত্রী যৌনাঙ্গ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হয়, আনুমানিক ২৩২ মিলিয়ন মহিলা যারা গর্ভাবস্থা প্রতিরোধের জন্য আধুনিক গর্ভনিরোধকে পছন্দ করেন তারা কোনো না কোনো কারণে এটি গ্রহণ করতে পারছেন না। ইউএনএফপিএ’র ২০১২ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘শুধুমাত্র ৫১টি দেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকার ক্ষেত্রে মহিলাদের অবস্থানের বিষয়ে মূল তথ্য পাওয়া সম্ভব। যেসব দেশে তথ্য প্রাপ্ত ছিল তার মধ্যে মাত্র বিবাহিত ৫৭ শতাংশ নারী বিবাহিত বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীর সাথে যৌনমিলন, গর্ভনিরোধক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু আফ্রিকান দেশ মালি, নাইজার ও সেনেগালের মাত্র ৭% নারী তাদের যৌনমিলন, যৌন নিরোধক ব্যবহার ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রাখেন। গর্ভপাতের মত বিষয়ে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখনো সীমাবদ্ধ। প্রায় সমস্ত বিশ্ব জুড়েই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রাষ্ট্রীয় আইন এ ক্ষেত্রে তার হাতকে বেঁধে রেখেছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফঘানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলো, মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং পশ্চিম আফ্রিকান দরিদ্র দেশগুলোতে গর্ভপাতের প্রশ্নের নারীর মত প্রকাশের ক্ষমতার সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। অন্য দিকে পশ্চিমা দেশের নারীরা নিজেদের অধিকারের পক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ সরব থাকার কারণে আজ নিজেদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর স্বনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মত দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোতে নারীরা নিজেদের শরীর, প্রজনন স্বাস্থ্য কিংবা যৌন সঙ্গী পছন্দের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। ধর্ম, সামাজিক সংস্কার নারীদের দু’পায়ে পরিয়ে দিয়েছে এক অদৃশ্য বেড়ি। ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ কোনো প্রেমিক জুটিকে প্রাপ্য সম্মান দিতে প্রায়শ কার্পন্য করে। বিবাহবহির্ভূত যৌনতা এখানে মহাপাপ! অথচ প্রাপ্ত বয়ষ্ক একজোড়া মানুষের পরষ্পরের প্রতি বিশ্বাস, আত্মসম্মান বোধ এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে, সেটিই স্বাভাবিক। যার যার শরীরের ব্যাপারে, যার যার ভালোবাসা কিংবা সন্তান নেওয়ার মত ব্যাপারে সে নিজের অন্তরের ডাক শুনবে সেটিই কাম্য।

যৌন স্বাধীনতার পাশাপাশি পোশাকের স্বাধীনতাও ভীষণভাবে প্রণিধানযোগ্য। সমাজ ও ধর্ম নারীর পোশাককে নানা রকমভাবে নির্ধারণ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলের আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ঢিলাঢালা পোশাককে ধর্মের আবরণে ফেলে বোরকায় পরিণত করা এবং তা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলন করা তেমনই একটি উদাহরণ। একই রকমভাবে ওড়নার মত এক বিড়ম্বনাময় পোশাককে সমাজ ও ধর্ম চাপিয়ে দিয়েছে নারীর উপর। অথচ বোরকা, হিজাব কিংবা ওড়নার কোনটিই আরামদায়ক কোন পোশাক নয়। নারীর কর্মের ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করতে, গতিকে স্থিমিত করতেই বরং এর ভূমিকা রয়েছে। নারীকে তাই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ভাবতে হবে যে তার পোশাক কে পছন্দ করে দেবে। নারীবাদী আন্দোলন ‘আমার শরীর, আমার সিদ্ধান্ত’ এর মাধ্যমে নারীরা সেই কাজটিই শুরু করেছেন।

উপমহাদেশীয় কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো পুরুষকে নারীর বডিগার্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ দেশগুলোতে নারীরা দিনে একা বের হতে পারলেও রাতের বেলায় তাদের চলাচল হয়ে যায় সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে আফঘানিস্তান, ইরান কিংবা সৌদি আরবের মত দেশগুলোতে প্রায় দিন-রাত যে কোন সময়েই নারীর স্বাধীনভাবে বের হওয়ার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। এ সব দেশগুলোতে ধর্ষণ, যৌন হয়রানির মত অপরাধ যা ৯৯% ক্ষেত্রেই পুরুষরা করে থাকেন, তার ভয়ে সবসময় আড়ষ্ট হয়ে থাকতে হয় নারীকে। এর বাইরে রয়েছে বৈবাহিক ধর্ষণের মত প্রথা যার সাথে এসব দেশের নারীরা এতটাই অভ্যস্ত যে আজ তা যেন স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। অপশিক্ষিত সমাজে মনে করা হয় বিবাহের পর পুরুষটি তার স্ত্রীর উপর সমস্ত অধিকার লাভ করবেন। নারী তার অধীনস্ত হয়ে চলাচল করবেন। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের উপর নির্ভর করবেন। সমাজ ও ধর্ম তাদের শরীরসর্বস্ব প্রাণি মনে করায় মূলত চলাচল স্থিমিত করা হয় নারীদের। এভাবে কর্ম জগতে পিছিয়ে পড়ন নারী। নিজেদের শারীরিক-মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকার ফলেই নারীর আজ এই পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। অথচ এর দায় সম্পূর্ণভাবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের। নারী যখন অথর্ব মানুষে পরিণত হন, তখন তার দায় সম্পূর্ণরূপে পরিবেশের কিংবা সমাজের। তাদের জীবন হয় চার দেওয়ালের মাঝে আবদ্ধ। বন্দিত্বের দশায় শেষ হয়ে যায় মানব জীবনের প্রায় সমস্ত সম্ভাবনাগুলো।

আশার কথা এই যে আধুনিক নারীরা এই অপপ্রথার বিরোধিতা করতে আজ পথে নেমেছেন। রাজপথে আন্দোলন করছেন। এই সব অপপ্রথার বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন। সেমিনার, কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন। সিনেমা, শর্টফিল্মে উঠে আসছে নারীদের প্রতিবাদি বক্তব্য। তারা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন নারীবান্ধব এক মানবিক পৃথিবী, যেখানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ থাকবে না। সেই পৃথিবীতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের নিজের শরীর ও যৌনতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। শরীর যার, শারীরিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও থাকবে একান্তই তারই। আর এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্যবাদি এক আধুনিক সমাজ। এই সমাজ প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ হল আজকের আমার শরীর, আমার পছন্দ আন্দোলন।

 

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত মুক্তমত লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]