May 15, 2024
সাহিত্যফিচার ৩বই নিয়ে আলাপ

নির্জন নিশ্বাস: নারীর বিদ্রোহী শব্দমালা

সাদিয়া মেহজাবিন ।। নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা ও সর্বস্তরের নারীর স্বাধিকার আদায় সম্পর্কিত দর্শনের নাম ‘নারীবাদ’। এই দর্শনের সাথে যুক্ত ও প্রবক্তা অনেকেই তাঁদের সৃষ্টিশীল কর্মের মাঝেও নিজেদের দাবিকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের কবিতাকে বেছে নিয়েছিলেন এর অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে। বিশ্বের খ্যাতনামা এরকমই পঞ্চাশজন কবির পঁচাত্তরটি কবিতা নিয়ে একটি অনন্য অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি, ‘নির্জন নিশ্বাস: নারীবিশ্বের কবিতা’ নামে। এটি অনুবাদ ও গ্রন্থনা করেছেন প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক আলম খোরশেদ।

আলম খোরশেদ পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও শিল্পসাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সমান উৎসাহী তিনি। তাঁর সম্পাদিত লাতিন আমেরিকার ছোটগল্প সংকলন ‘জাদুবাস্তবতার গাথা’ আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের একটি অন্যতম পথপ্রদর্শক গ্রন্থ। সম্পাদনা, অনুবাদ ও মৌলিক রচনা মিলিয়ে তিনি এই অব্দি কুড়িটিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মের মাঝে রয়েছে ভার্জিনিয়া উল্‌ফের অন্যতম গ্রন্থ A Room of One’s own এর অনুবাদ ’নিজের একটি কামরা’, নোবেল বিজয়ী কবি ভিস্লাওয়া শিম্বর্স্কার ত্রিশটি কবিতার অনুবাদ, মূল স্প্যানিশ ভাষা থেকে অনূদিত বোর্হেস ও ভিক্তোরিয়া ওকাম্পোর আলাপচারিতা, হেনরি মিলারের আত্মজৈবিক রচনা Reflections এর বাংলা অনুবাদ, সালমান রুশদির নিকারাগুয়া ভ্রমণ আখ্যান The Jaguar Smile এর অনুবাদ ইত্যাদি।

‘নির্জন নিশ্বাস: নারীবিশ্বের কবিতা’ বইটি মূলত ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত লেখকের একই নামের একটি অনুবাদ গ্রন্থেরই পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণ, যেটি এ বছর পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে প্রকাশনা সংস্থা ‘পাঠক সমাবেশ’ থেকে। অন্যান্য ছোটখাট কিছু পরিবর্তনের পাশাপাশি বর্তমান সংস্করণে সম্পূর্ণ নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১৯৯৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত পোল্যান্ডের কবি ভিস্লাওয়া শিম্‌বর্স্কা ও ২০২০ সালে নোবেলবিজয়ী মার্কিন কবি লুইস গ্ল্যুক। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পোয়েট লরিয়েট আদিবাসী কবি জয় হার্‌জোর কবিতাও এই সংস্করণের অন্যতম আকর্ষণ।

আলম খোরশেদ বইটি উৎসর্গ করেছেন বাংলা কবিতার অবিস্মরণীয় তিন কন্যা মেহেরুন্নেসা (১৯৪২- ১৯৭১), সুরাইয়া খানম (১৯৪৪-২০০৬) ও নাসিমা সুলতানা (১৯৫৭- ১৯৯৭) কে। কবি মেহেরুন্নেসা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ কবি। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ শহীদ হন মুক্তির স্বপ্নে বিভোর থাকা কবি মেহেরুন্নেসা। সুরাইয়া খানম স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। আর আশির দশকের অত্যন্ত প্রতিভাময়ী ও সাহসী একজন কবি নাসিমা সুলতানা, যিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রয়াত হন।

অনুবাদক বইয়ের ভূমিকায় সংক্ষেপে কিন্তু চমৎকাররূপে মেলে ধরেছেন নারীবিশ্বের কবি ও কবিতার মূল্যবান ইতিহাস। সেখান থেকেই আমরা জানতে পারি যে, মানুষের লিখিত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন একটি কবিতা এবং তা একজন নারী, সুমেরীয় সাম্রাজ্যের এক নৃপতির কন্যা এন্‌হেদুয়ানা কর্তৃক রচিত। সেই কবিতায় কান পাতলে শোনা যায় এমন অপূর্ব কাব্যিক উচ্চারণ:

“We sing, mourn and cry before you

And walk toward you along a path

From the house of enormous sighs.”

আগেই উল্রেখিত হয়েছে, ‘‘নির্জন নিশ্বাস: নারীবিশ্বের কবিতা’’ বইয়ে মোট পঞ্চাশজন কবির কবিতা আছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন ছয় মহাদেশের মোট ত্রিশটি দেশের খ্যাতিমান কবিরা। গ্রন্থকার কবিতার সাথে প্রত্যেক কবির সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও দিয়েছেন, যা গ্রন্থভুক্ত কবি ও কবিতার রসাস্বাদনে পাঠকদের সাহায্য করে।

অনুবাদক গ্রন্থের কবিতা ও কবিক্রম সাজিয়েছেন মহাদেশের আদ্যাক্ষর এবং সেই মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত কবিদের জন্মসাল অনুযায়ী। কালপরিসর হিসেবে কেবল বিংশ শতাব্দীকে নির্ধারণ করা হলেও একটি ব্যতিক্রম দেখা যায় খ্রিস্টপূর্বকালের গ্রিক কবি সাফোর অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে। সমপ্রেমে বিশ্বাসী কবি সাফো, নারীবাদী কবিতার অন্যতম পথপ্রদর্শক, যার কারণে তাঁর কবিতার অন্তর্ভুক্তি অপরিহার্য হয়ে ওঠে গ্রন্থে। রক্ষণশীল সমাজের ভ্রুকুটির তোয়াক্কা না করে সাফো সেই তখনই অকপটে লিখেছিলেন তাঁর মনের কথা।

“দেবীরা আশীর্বাদ করুক

তোমাকে, যেন তুমি

শান্তিতে ঘুমাতে পার,

কোনো মেয়েবন্ধুর নরম বুকে।”

সাফো ব্যক্তিজীবনে মেয়েদের একটি আশ্রম পরিচালনা করতেন। তাঁর অধিকাংশ প্রেমের কবিতাই আশ্রমের সেই মেয়েদেরকে নিয়ে লেখা। গভীর অনুভূতিসম্পন্ন সাফো নিজেকে ভালোবাসতেন বলেই লিখতে পেরেছিলেন,

“আমার কোনো অভিযোগ নেই

বাণীদেবী আমাকে দিয়েছে যে ঐশ্বর্য

তা মিথ্যে নয়; মরে যেতে পারি

তবুও বিস্মৃত হব না আমি।”

একদা নারী বলতে কেবল ঘরবন্দি মেয়েদের বোঝানো হতো, যারা কেবল রাঁধবে, সেলাই করবে, ঘর গোছাবে। বইয়ের প্রথম কবি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সাহিত্যিক ও পরিবেশবাদী জুডিথ রাইটের কবিতা ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, যেখানে জুডিথ দেখান, ঘরকন্যা সাজিয়ে নারীদেরকে দিয়ে যা কিছু করানো হচ্ছে তা কেবল খেলা নয়, একটি মারাত্মক ভ্রম। অন্যদিকে, যখন নারীরা তাদের প্রতি সংঘটিত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, তখন তাঁদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে সমাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার ইন্‌গ্রিড জোংকারের দুটো কবিতায় তা স্পষ্ট বোঝা যায়। কেবল অপেক্ষা করা, যৌনতা নিয়ে কথা না বলা, নিজেকে কেবল টেবিলে মেলে ধরা – নারীদের এসব শেখানো হয় নীতিবাক্যরূপে। তাঁর কবিতার প্রত্যেকটি শব্দ যেন ইন্‌গ্রিডের সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। ইন্‌গ্রিড জাগ্রত হতে চেয়েছিলেন বলেই লিখেছিলেন:

“সেটা খুব অনিশ্চিত।

তাদের শরীর পুরোপুরি গজানোর

আগেই ডুবে যায় বলে আমি কি কাঁদব?

তার কোনো মানে হয় না

যে-অন্ধকারের নদীতে কেবল

নিজেকেই দেখে অন্ধকার

আমি তার সাথে কথা বলতে পারি

তোমাকেই যে ভালো জানি আমি।”

দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকানাস ভাষার অন্যতম প্রধান কবি ইন্‌গ্রিড জোংকার নিগ্রহ সহ্য করতে না পেরে, পরবর্তীকালে মাত্র বত্রিশ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।

বিংশ শতাব্দীর নারীরা মুখে কুলুপ এঁটে রঙ মাখে কেবল জুয়ায় নিলামে জিতবে বলে। তারা ভুলে যায় তাদের এই রঙ দিয়ে চারপাশে গণ্ডি এঁকে দেওয়া হচ্ছে, যা অতিক্রম করলেই মেরে ফেলার হুমকি আসবে। সুইডেনের খ্যাতনামা কবি এডিথ স্যোডেরগ্রানের তিনটি কবিতাই এই গণ্ডির ভয়াবহতা নিয়ে। সেই সঙ্গে তিনি ঈগলের থাবা থেকে নিজেদের রক্ষা করতেও দিয়েছেন গভীর সতর্কবাণী। তাই তাঁর উচ্চারণ:

“আমি একজন নারীকে দেখেছি, রংমাখা হাসিমুখ

জীবন নিয়ে জুয়া খেলতে গিয়ে

হেরে গেছে এবং

গণ্ডি এঁকে দেয়া হয়েছে যার চারদিকে

সেটা অতিক্রম করা চলবে না।”

আধুনিক রুশ কবিতার অন্যতম কণ্ঠস্বর আন্না আখ্‌মাতোভা, যার কবিতায় শোনা যায়, বনদেবীর সেই মুখর ধ্বনি যা প্রতিশ্রুতিবিহীন এক মুক্ত সম্পর্কের আহ্ববান জানায়। তিনি লিখেছেন,

“তোমার তরুণী স্ত্রীর কাঁধের ওপর

দিয়ে আমার চোখজোড়া শুধু আর

একবার মাত্র তোমার দুচোখে

চোখ রাখবে এবং সে-ই শেষ।

………………………………………….

আমি যাই, সেই স্বপ্নের উদ্যানখানি খুঁজে নিতে

যেখানে ঘাসেরা বিনম্র নিশ্বাস ফেলে

আর বনদেবীরা মুখর হয় গানে গানে।”

টোভ ডিট্‌লেভ্‌সেনের কবিতা ‘আত্মপ্রতিকৃতি-১’। কবিতার প্রত্যেক শব্দে দেখা যায় আমাদের চিরচেনা ভাবনার বাইরে গিয়ে নিজেকে প্রাধান্য দিয়েছেন টোভ। তাঁর কোনো অভিভাবকের কিংবা পুরুষ বন্ধুর প্রয়োজন পড়ে না। কেননা মানুষ হিসেবে অন্য দশ জনের মত একলা চলতে সক্ষম নারীরা। তাই চুল নখ থালা বাসন পরিষ্কারের কথা ভুলে গিয়ে নিজেকে সুখী করতে শেখা জরুরি। তারই বহিঃপ্রকাশ তিনি করেছেন এইভাবে,

“আমি পারি:

একা হতে,

বাসন ধুতে,

বই পড়তে,

বাক্য তৈরী করতে,

গান শুনতে

এবং অপরাধহীনভাবে সুখী হতে।”

নোবেলবিজয়ী ভিস্লাওয়া শিম্‌বর্স্কার কবিতা ‘একজন নারীর প্রতিকৃতি’ সে সব সত্য বাক্যের কবিতা যেখানে বোঝানো হয়েছে নারীদের এই সমাজ মনোরঞ্জনের বস্তু হিসেবেই দেখে। তিনি ক্লান্ত, কেননা সত্য এখন স্পষ্ট। তাই ভিস্লাওয়া তাঁর কবিতা ‘প্রচেষ্টা’য় জোর গলায় বলেছেন-

“গোলাপই কেবল গোলাপের মত ফোটে, আর কেউ নয়।

আমি নকল পাতা লাগিয়ে চেয়েছি

গোলাপঝাড় হতে, দম আটকে রেখেছি,

গোলাপ হয়ে ফোটার মুহূর্তটির জন্য।”

নারীর ঋতুকালীন রক্তকে সমাজ আদিকাল থেকে আখ্যা দিয়েছে অপবিত্র বলে। কেননা তখন তারা আর তথাকথিত সমাজের কাছে আবেদনময়ী থাকে না। মিশরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসিভাষী পরাবাস্তববাদী কবি জয়েস মনসুরের কবিতা ‘ঋতুবন্ধ নারীর ভাবনা’য় উঠে আসে সেইসব কথাই।

“ঋতুশেষের বিষণ্ণ তরলে নতজানু

এক নারী উল বুনতে বুনতে ভাবে

খাবার টেবিলে শোভা বাড়ানোর জন্য

জবাই করা যত ভেড়া আর সামনে

অপেক্ষমাণ দুর্ভিক্ষের দীর্ঘ বছরগুলোর কথা।”

নারীর চিৎকার ও বিদ্রোহের শব্দ তুলে এনেছেন ইতালির নারীবাদী নাট্যকার ও কবি আমেলিয়া রোসেলি। তাঁর কবিতা ‘সাধারণ ধর্মঘট’ এর সাক্ষ্য দেয় । তিনি লিখেছেন,

“সব আলো জ্বালানো, শান্তিপূর্ণ কিন্তু

ক্ষুব্ধ জনতার চিৎকারের মাঝে গুরুতর

কিছু একটা করতে উদ্যত: অন্য কথায়

ঝুঁকি নিচ্ছ তুমি। আমার বেপরোয়া স্বভাবও

এই ছেলেমানুষির কাছে লজ্জা পেল।”

পুরুষদের ব্যাঙ্গ করেই ‘সৃষ্টিতত্ত্ব’ নামক কবিতাটি লেখেন ইভা তোৎ। বাইবেলকথিত ঈশ্বরের সাত দিবসের কাজের ফিরিস্তির প্রতীকে বুঝিয়েছেন, কিভাবে আমাদের দিয়ে হাল চাষ করে পুরুষেরা ফসল বেচে লাভবান হয় আর দিনশেষে গায় নিজেদের জয়গান। রুশ তরুণী নিকা তুর্বিনার আহ্বান সমস্ত নারীদের জাগ্রত করে, যারা বিচ্ছেদে ভয় পায়, যাদের বিচ্ছেদ নামক শব্দ দিয়ে ধরে রাখা যেতো। তাই তিনি লিখেছেন,

“আর আমি বিচ্ছেদে বিশ্বাস করি না,

অতএব আর কান্না নয়।”

জাপানি কবিতার ১৯০৪- ১৯০৯ সময়পর্বকে বলা হতো ‘আকিকো পর্ব’। ইয়োসানো আকিকোই সেই আকিকো পর্বের বিখ্যাত কবি, যিনি লিখতে পারেন,

“মুসাফির তুমি আমাকে

ভালোবাসার কথা বলে

তোমার মনোরঞ্জন করতে বোলো না।

এই রাজনর্তকীর স্বপ্নেরা যে শূন্য,

শুকনো আর ধূসর।”

ধর্ষণের শিকার এক নারীর আর্তনাদের কথা ভেসে আসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবাদী কৃষ্ণাঙ্গ কবি মায়া অ্যাঞ্জেলুর কবিতা ‘আফ্রিকা’তে। সেখানে তিনি লিখেছেন,

“আর্ত চিৎকার আর বৃথা ব্যাকুলতা

তার মন ছুটে যায় অপার ঐশ্বর্য

আর নিহত নীরব ইতিহাসে;

জাগার সময় হয়েছে এখন তার

যদিও একদা ধর্ষিতা সে।”

এই গ্রন্থের অপর মূল্যবান সংযোজন ২০২০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত মার্কিন কবি ‘লুইস গ্ল্যুকের’ পাঁচ পাঁচটি কবিতা। এরই একটি কবিতায় নিভৃতচারী কবি লুইস গ্ল্যুক কী অবলীলায় লিখেছেন,

“আমার সন্দেহ হয় আমরা যাকে হৃদয় বলি

আপনার সেরকম কিছু রয়েছে কিনা।”

উপসংহারে বলা যায়, ‘নির্জন নিশ্বাস: নারীবিশ্বের কবিতা’ বইটি এই সময়ের একটি প্রণিধানযোগ্য প্রকাশনা, যা একাধারে কবিতাপ্রেমী এবং মানবীবিদ্যায় আগ্রহী মননশীল পাঠকের তৃষ্ণা মেটাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা এই গ্রন্থের বহুল প্রচার ও প্রসার কামনা করি। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আনিসুজ্জামান সোহেল। মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫০ টাকা।