November 21, 2024
কলামফিচার ৩

পুরুষ কেন নারীর জন্যে ড্রেস কোড দিতে চায়?

ইমতিয়াজ মাহমুদ ।। কোনো একজন নারীর পোশাকের ধরণ, সেটা শ্লীল কি অশ্লীল বা শোভন কি অশোভন ভালো কি মন্দ সেটা নিয়ে লোকে আলোচনা করতেই পারে। আপনি সিনেমা দেখতে গেলেন, সিনেমা দেখে এসে তো লোকে আলোচনা করেই – সিনেমার পোশাকের ডিজাইন ইত্যাদি মানিয়েছে কি মানায় নি, সিনেমার গল্পের সাথে পোশাক মিলেছে কি মেলে নি, এইসব আলোচনা তো করিই আমরা। অনেক সময় ঘরেও আলোচনা হয় যে, না কুলখানিতে যাচ্ছি, সেখানে এই পোশাক পরা ঠিক হবে কি হবে না, অথবা খুবই আনুষ্ঠানিক ধরণের কোনো সভায় যাচ্ছি সেখানে সবুজ পাঞ্জাবী পরা ঠিক হবে কি হবে না। মেয়েটা স্কুলে যাচ্ছে ওকে হয়তো মা বলছে হিল পরে যাচ্ছিস কেন বা এতো বড় কঝকমকে ইয়ারিং পরেছিস কেন ইত্যাদি। এইসব আলোচনা তো আমরা করিই। সমস্যা হয় যখন একদল লোক বা প্রতিষ্ঠান নারীর জন্যে আলাদা একটা বাধ্যতামূলক ড্রেস কোড বা পোশাক বিধি আরোপ করতে চায়। তখনই এই প্রশ্নটা আসে, কেন ভাই, নারীর জন্যে সাধারণ একটা ড্রেস কোড ঠিক করে দেওয়ার আপনি কে? সমাজ বলেন বা রাষ্ট্র বা নানারকম প্রতিষ্ঠান ওদেরকে কে এই অধিকার দিয়েছে যে নারীর পোশাক নির্ধারণ করে দেবে? কিন্তু এইরকম আচরণ তো পৃথিবী জুড়ে হয়েই আসছে।

শুধু যে আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক অর্বাচীন ছেলেমেয়ে প্ল্যাকার্ড তুলে নারীকে গোটা শরীর ঢেকে পোশাক পরতে বাধ্য করতে চাচ্ছে সেটা তো নয়। এই রকম নসিহত বা দাবিদাওয়া পেশ যারা করে, ওদের মধ্যে পুরুষ যেমন আছে নারীও সেরকম আছে, দেশি যেমন আছে, বিদেশিও সেরকম আছে, মুসলমান যেমন আছে অমুসলমানও সেরকম আছে, ব্যক্তি যেমন আছে প্রতিষ্ঠানও সেরকম আছে। ধর্মগুলি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি আর ওদের অনুসারীদের কথা তো আমরা জানিই। এরা ছাড়াও আপাতদৃষ্টিতে আধুনিক উদারমনস্ক মনে হয় এমন অনেক নারী পুরুষও আপনি পাবেন যারা আপনাকে বলবে যে নারীর তো আসলেই একটু নিজের শরীর ঢেকে ঢুকে ‘শালীন’ পোশাক পরা দরকার ইত্যাদি। এরা সাধারণত যে যুক্তিটা দেয় সেটা হচ্ছে যে নারীর নিজের নিরাপত্তার জন্যেই ঐরকম সর্বাঙ্গ আবৃত করে পোশাক পরা দরকার, নাইলে নাকি পুরুষরা উত্তেজিত হয়ে নারীকে ধর্ষণ করতে আসবে ইত্যাদি। সর্বাঙ্গ আবৃত করে ঐরকম পোশাক পরারই ওরা নাম দিয়েছে শালীন পোশাক। পশ্চিমেও কিছু লোককে এইরকম কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।

মাইয়িম বিয়ালিককে তো আপনারা চেনেন, বিগ ব্যাঙ থিওরি ধারাবাহিকে তিনি নিউরোসাইন্টিস্ট এমার চরিত্রে অভিনয় করেন।  ২০১৭ সনে মি টু আন্দোলন যখন তুঙ্গে সেসময় তিনি আমেরিকার একটা বড় কাগজে প্রবন্ধ লিখে বললেন যে নারীর নিরাপত্তার জন্যেই মডেস্ট বা শালীন পোশাক পরা জরুরি এবং এই জন্যে মুসলিম নারীদের পোশাকের কথা চিন্তা করা যেতে পারে। মানে হচ্ছে যে ওই রকম বোরকা, হিজাব বা সর্বাঙ্গ আবৃত করা অন্য কোনো পোশাক পরলে নারীরা যৌন হয়রানি ধর্ষণ ইত্যাদি থেকে নিরাপদ থাকবে। এইটা যে একটা ফালতু কথা সেটা তো বাংলাদেশের মানুষকে বুঝিয়ে বলার দরকার নাই। আমাদের তনু, নুসরাত এবং অন্যান্য অসংখ্য ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির শিকার মেয়েরা রীতিমত হিজাব বোরকা ইত্যাদি পরিধান করতো। ওদের হিজাব ওদের বোরকা এইসব ওদেরকে ধর্ষণ বা যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করতে পারেনি। বিয়ালিকের কথা যে সত্যি নয় সেটা দেখানোর জন্যে ইংল্যান্ডের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাগজের ১৭ই অক্টোবর ২০১৭ তারিখে সংখ্যায় সুফিয়া আহমেদ একটা সমীক্ষা প্রকাশ করলেন। সুফিয়া আহমেদ হিজাব বোরকা ইত্যাদি পরা বেশ কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। প্রতিটা নারী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ওদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা – হিজাব বা বোরকা পরিহিত অবস্থায়ও ওরা প্রত্যেকে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন শুধু বিলেতে না, নারীরা জানিয়েছেন যে হিজাব বা বোরকা পরে পাকিস্তানে গিয়েও ওরা ধর্ষণ ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।

একটা বাজে ও মিথ্যা মিথ চালু করা হয়েছে যে হিজাব বোরকা ইত্যাদি নারীকে সুরক্ষা দেয়, রক্ষা করে নির্যাতনের হাত থেকে। এইটা তো সত্যি নয়। তাইলে নারীদেরকে এইরকম পর্দায় আবৃত করার জন্যে আমাদের এখানে কিছু লোক এতো উতলা হয়ে যাচ্ছে কেন? বেপর্দা নারী দেখলে ওদের লিঙ্গ উত্থিত হয়ে যায় বলে? না। ওদের লিঙ্গ উত্থিত হয়ে যায় বা কামতাড়না জেগে ওঠে এটা মিথ্যা কথা। মিথ্যা কথা কারণ সংক্ষিপ্ত পোশাকে নারীকে দেখলেই কোনো সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষের কামতাড়না জেগে ওঠে না। এটা স্বাভাবিক না। আর আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে মেয়েরা যারা আধুনিক ও খোলামেলা পোশাক পরেন ওরাও এমন কোনো উত্তেজক পোশাক সাধারণত পরেন না যেটাতে অফিসে ক্যাম্পাসে বা রেলওয়ে স্টেশনে কোনো পুরুষ উত্তেজিত হয়ে উঠবে। তাহলে?

নারীর জন্যে পুরুষ কেন একটি ড্রেস কোড তৈরি করতে চায়? নারীকে পুরুষ কেন বস্ত্র দিয়ে ঢেকে রাখতে চায়? পুরুষের জন্যে যেখানে পোশাকের সেরকম কোনো সামাজিক বিধিবিধান নেই – অন্তত সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখতে হবে সেরকম কোন বিধান নেই, সেখানে কেবল নারীর জন্যেই কেন পোশাক বিষয়ক এতো নিয়মনীতি। আর নারী যদি তাদের উপর আরোপ করা এইরকম ড্রেস কোড ভেঙে বাইরে আসে তাইলে পুরুষরা এবং পুরুষ-দাসী নারীগুলি কেন এতো খড়গহস্ত হয়ে ওঠে?

নারীর জন্যে আলাদা এবং বিশেষ পোশাকের মূল মতলবটা হচ্ছে নারীকে তার জেন্ডার রোল বা সমাজ কর্তৃক কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট করা লৈঙ্গিক ভূমিকা সবসময় স্মরণ করিয়ে দেওয়া। আমরা জানি যে কোনো মানুষই নারী হয়ে জন্মায় না, একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর থেকেই তাকে নারী হিসাবে তৈরি করা হয়। পোশাক একটি শিশুকে নারী হিসাবে তৈরি করার একটি উপাদান। একদম শৈশব থেকেই নারীকে শেখানো হয় এইটা তোমার পোশাক আর ঐটা ছেলেদের পোশাক। শেখানো হয় যে ছেলেরা শক্তিশালী, বলশিল, দুরন্ত। সেজন্যে কোনো মেয়ে যদি একটু দুরন্তপনা করতে চায়, দেখা যায় যে সে ছেলেদের মতোই পোশাক পরছে। পরিবার, প্রতিবেশী ও সমাজ আবার এটা পছন্দ করে না। না, মেয়ে হয়ে কেন ছেলেদের পোশাক পরবে, ওকে হতে হবে নরম, কোমল, কমনীয়, সুশীলা ইত্যাদি। সে ঘরে থাকবে, রান্নাবান্না করবে, বাচ্চা লালন পালন করবে বড় হয়ে। সেই ট্রেইনিং শুরু হয়, আর সেই ট্রেইনিং এরই একটা অংশ হচ্ছে পোশাক। নিতান্ত শিশু একটা বালিকাকে দেখবেন সালওয়ার কামিজ বা ঐরকম পোশাক পরিয়ে সাথে আবার ওড়না ঝুলিয়ে দিয়েছে। প্রতিটা দেশেই পোশাকটা তৈরি হয় সেইভাবেই – পুরুষের সাথে ভিন্নতা চিহ্নিত করার জন্যে আর নারীকে তার জেন্ডার রোলের মধ্যে বেঁধের রাখার জন্যে এবং পিতৃতন্ত্র চায়ই যে নাই সারাজীবন তার জন্যে নির্ধারণ করে দেওয়া ভূমিকাটাই পালন করুক এবং সেইভাবেই পোশাক পরিধান করুক।

আর এই যে নারীদের জন্যে সর্বাঙ্গ আবৃত করে পোশাক পরার বিধান, এটা করা হয়েছে নারীর শরীরের উপর পুরুষের মালিকানার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে। নারীকে মানবেতর প্রাণী এবং ভোগের বস্তু হিসাবে দেখানোর জন্যেই নানাপ্রকার সব ড্রেস কোডের তৈরি হয়েছে। এই যে আমাদের দেশে বোরকা হিজাব নিকাব এইসব বস্ত্র পরিধান করাকে শালীন পোশাকের স্ট্যান্ডার্ড মনে করেন অনেকে, অথবা যারা বোরকা হিজাব এইসব পছন্দ করেন না ওরাও বেশিরভাগই দেখবেন যে নারীর যদি একটু ক্লিভেজ দেখা যায় বা পায়ের একটা অংশ উম্মুক্ত থাকে বা বাহু বা পেটের অংশ দৃশ্যমান হয়, এমন পোশাককে অশালীন বিবেচনা করেন। কেন? একজন মানুষের বুকের মাঝখানটা দেখা যাচ্ছে বা উরু দেখা যাচ্ছে বা বাহু দেখা যাচ্ছে তাতে অসুবিধা কী? ওদের অসুবিধা হলো ওরা তো নারীকে মানুষ বিবেচনা করেন না। ওদের চোখে নারী হচ্ছে কেবলই মাংসের একটি লভনীয় পিণ্ড যার প্রাথমিক কাজ হচ্ছে পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত করা। ফলে নারীর শরীরের যে কোনো অংশ দেখলেই ওদের মনে হয় যে রসগোল্লা দেখতে পাচ্ছি বা তেঁতুল দেখতে পাচ্ছি বা কমলা দেখতে পাচ্ছি – খাবার লোভ জন্মে। এইটাই যে নারীর জন্যে সর্বাঙ্গ আবৃত করে পোশাকের বিধান করার মূল কারণ সেটা তো ওরা প্রকাশ্যেই বলে।

নারীর জন্যে ড্রেস কোডের কথা যারা বলে ওদের একটা বড় মতলব হচ্ছে ধর্ষণ যৌন হয়রানি এইসবকে জাস্টিফাই করা। আমরা যে প্রতিদিন দেখি নারীর প্রতি সকল অপরাধের জন্যে ভিক্টিমকেই অর্থাৎ নারীকেই দোষারোপ করা হয়, এইসব তথাকথিত ‘শালীন’ পোশাকের ধুয়া সেটা ঐ ভিক্টিম ব্লেইমিং এরই একটা ক্ষেত্র মাত্র। এইসব পোশাকের কথা বলে পুরুষ তার অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করে।

এইসব লোক নারীর জন্যে এইসব অবরোধ ধরণের ড্রেস কোডের নাম দেয় ‘শালীনতা’! এটা কেউ কেউ করে মূর্খতা থেকে আর কেউ কেউ করে সচেতনভাবে জেনে বুঝে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামো বজায় রাখার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমাকে আপনারা বলেন, কেউ একজন প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে কার্যত ঘোষণা করছে যে ওর চোখে নারীমাত্রই যৌনকর্মের মেশিন এবং নারীর দৃশ্যমান ত্বক দেখলেই ওর বিশেষ অঙ্গ উত্থিত হয়ে যায় – তাকে আপনি কী বলবেন? এক যুবক প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছে, নারীর হাত পা উম্মুক্ত দেখলেই নাকি সে ‘সিডিউসড’ হয়ে যায়! ওকে আপনি কী বলবেন? ওদের চোখে নারীর কী স্ট্যাটাস সেটা কি ব্যাখ্যা করে বলতে হবে?

নারীকে অবরোধে ফেরত নেয়ার জন্যে যুক্তি হিসাবে যারা দেশীয় সংস্কৃতির কথা বলে, ওরা ভুল বলে অথবা অসততা করে। কেননা বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে নারীর যে পোশাক সেটাতে আর যাই থাক হিজাব কখনো ছিল না। হিজাব জিনিসটা আমাদের দেশে এসেছে খুব হলে পঁচিশ বছর হবে, এর বেশি না। আপনাদের যাদের বয়স তিরিশ বা তার বেশি, আপনাদের মনে থাকার কথা, হিজাব বাঙালি নারীর পোশাকের অংশ কখনোই ছিল না। তাইলে বাঙালি সংস্কৃতি বা দেশি সংস্কৃতির কথা যদি বলেন তাইলে তো হিজাব উঠিয়ে দিতে হয়। আর দেশীয় সংস্কৃতি কবে থেকে হিসাব করবেন? একশ বছর আগে থেকে? পাঁচশ বছর আগে থেকে? নাকি হাজার বছর আগে থেকে? একটু পেছনে যদি যান, তাইলে দেখবেন যে বোরকা পরার বিধান আমাদের দেশে আগে ছিল না। আপনি কি দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বোরকার জমানার আগে থেকে ধরবেন? নাকি পরে থেকে? বাঙালি নারীর পোশাকে আধুনিক অন্তর্বাস কবে থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে? ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা ব্লাউজ পরা শুরু করেছেন, তার আগে বাঙালী নারী কেবল শাড়ী দিয়েই ঊর্ধ্বাঙ্গ নিম্নাঙ্গ দুইই ঢাকতেন। সেখানে ফেরত যাবেন? আর হাতে পায়ে মোজা পরে ঢেকে রাখা এটা তো ভাই বাঙালী সংস্কৃত দূরের কথা, কোন দেশের সংস্কৃতিরই অংশ নয়। শীতের দেশের মানুষ হাতমোজা পরে আবহাওয়ার কারণে সেটা তো ভিন্ন জিনিস, বা ফ্যাশন এক্সেসরিজ হিসাবে কেউ কেউ লম্বা একটা মোজার মতো পরেন, কিন্তু বাহুর উপরের দিক আবার খোলা রাখেন, সেটাও ভিন্ন।

এইসব শুধু উছিলা মাত্র। এইগুলি হচ্ছে আসলে পিতৃতন্ত্রের আর্তচিৎকার। বেগম রোকেয়া যখন অবরোধ ভাঙার কথা বলেছেন তখনও ওরা চিৎকার করেছে। এখনো তাই করে। ওরা দেখছে যে নারী যদি বাইরে আসে, নারী যদি নিজেকে মানুষ হিসাবে পুরুষের সমান মর্যাদা দাবি করে তাইলে তো ওদের যে পিতৃতান্ত্রিক বিধিবিধান, সম্পদ অর্থ ও পার্থিব সকল বিষয়ে পুরুষের যে আধিপত্য সেটা ভেঙে যাবে। পিতৃতন্ত্রের সেই আতঙ্কেরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এইসব দাবি টাবি ইত্যাদি – যে নারীকে অবরোধে ফিরিয়ে নিতে হবে, নারীকে তার নিজের মতো করে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে দেওয়া হবে না।

কিন্তু এই আর্ত চিৎকারে কোনো ফল হবে না। কেননা নারীর মুক্তি পুরোটা না এলেও, সমাজ খানিকটা হলেও এগিয়ে গেছে। নারীকে কেউ এখন আর অবরুদ্ধ করতে পারবে না। এইখানে একটা কথা বলে রাখি, আমাদের দেশের সংবিধানে ও আইনে নারীর জন্যে অনাবশ্যক এইসব তথাকথিত ‘শালীন’ পোশাক চাপিয়ে দেওয়া বা নারীর পোশাক নিয়ে বিধিবিধান করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি- সরকারকে না, পার্লামেন্টকে না, আদালতকেও না। নিতান্ত কেউ যদি পাবলিক প্লেসে ইচ্ছে করেই একদম বিবস্ত্র হয়ে যায় সেটা আলাদা কথা- কিন্তু নারীরা কথায় কি পোশাক পরবে সেটা নিয়ে সাধারণভাবে নির্দেশনা দেওয়া অধিকার কারো নাই। নারী পোশাক পরবে তার নিজের ইচ্ছায়, নিজের পছন্দে।

 

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত কলাম লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *