হিজাব খুলে উড়িয়ে দিয়ে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ডেস্ক ।। ইরানের মোরাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে মারা যাওয়া মাহসা আমিনির দাফনের সময় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় ক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় কয়েকশ নারী মাথার হিজাব খুলে প্রতিবাদে শামিল হন। বিবিসির খবর।
শনিবার ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে আমিনির নিজ শহর সাকেজে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মাহসা আমিনির জানাজায় উপস্থিত হওয়া শোকার্তরা স্বৈরশাসকের মৃত্যু হোক বলেও স্লোগান দেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালাচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রতিবাদে অংশ নেওয়া নারীরা ইরানে বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের প্রতিবাদে তাদের মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলেন। অনেকেই স্কার্ফ খুলে মাথার উপর ঘুরিয়ে স্লোগান দেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড় এড়িয়ে মাহসা আমিনির জানাজায় উপস্থিত হতে শনিবার ভোরেই কয়েক হাজার স্থানীয় দাফনস্থলে জড়ো হন। এক পর্যায়ে কিছু বিক্ষোভকারী স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যান। বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিসের দাবি, এসময় নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায়।
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম ইরানের সানন্দাজ থেকে তেহরান যাওয়ার পথে সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি। গ্রেফতার অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে মাহসা আমিনির পরিবারের দাবি, পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে মারধর করেছিল, গ্রেফতারের আগে তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন।
ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তবে হিজাব পরলেও প্রায়ই সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগ তোলে নীতি পুলিশ। মাহসা আমীনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপর ইরানের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। তবে শনিবার তার নিজ শহরে দাফনের সময় নারীরা হিজাব খুলে যে প্রতিবাদ করলেন তা অভাবনীয়।
এদিকে, ইরানের টুইটারেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ। রোববার ফার্সি ভাষায় #মাহসাআমিনি ইরানে অন্যতম শীর্ষ হ্যাশট্যাগ হয়ে উঠেছে।