বিচারকের পুরুষতান্ত্রিক পরামর্শের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, বিবৃতি
ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ডেস্ক ।। ঢাকার রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার রায় দেয়ার সময় বিচারকের পর্যবেক্ষণ ও পুলিশকে দেয়া পরামর্শকে পুরুষতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নারী অধিকারকর্মীরা। সোমবার দুপুরে উচ্চ আদালতের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশে অংশগ্রহন করেন নারী সংহতি, নারীমুক্তি, সমগীত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এবং স্বতন্ত্র নারী আন্দোলনের কর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদন ধর্ষণ মামলার একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না। আরও অনেক তথ্য প্রমাণ থাকে ধর্ষণ মামলার জন্য, যা গুরুত্বপূর্ণ। তারা ধর্ষণের মতো একটি ফৌজদারী অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করার কোনো সময়সীমা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নেই বলে উল্লেখ করেন। বক্তারা আরো বলেন, বিচারকের এমন মন্তব্য নারীর অধিকারকে খর্ব করে। একজন বিচারককে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পুরুষতান্ত্রিক পদ পদবি এবং সিদ্ধান্তের অবসান হয় না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারী আন্দোলন কর্মী দিলশানা পারুল, নাইমা খালিদ, সীমা দত্ত, রোকসানা সুমি, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।
গত ১১ নভেম্বর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় দেয়ার সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে যেন মামলা না নেয়া হয়, কারণ ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়। এতে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অভিযোগকারী দুই তরুণী `আগে থেকেই যৌন কাজে যুক্ত‘ এরকম অনভিপ্রেত মন্তব্যও করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ ও সমালোচনা শুরু হয়। ফলে গত রোববার মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। তাকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠিও দেয়া হয়েছে।