November 2, 2024
জীবনের গল্পফিচার ৩

পর্ব-১৪: টিকে থাকাই জীবন, বেঁচে থাকাই জীবন

শাহাজাদী বেগম পেশাগত জীবনে একজন উন্নয়নকর্মী, ১৮ বছর ধরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। উনি বাংলাদেশে যৌনকর্মী ও শিশুদের মানবাধিকার রক্ষা, এইচআইভি ও এইডসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, পাচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গবেষনার কাজ করছেন। এই কাজগুলোর জন্য তাকে দেশের যৌনপল্লীগুলোতে অসংখ্যবার যেতে হয়েছে।  সেই অভিজ্ঞতাগুলোকেই গল্পে রূপান্তর করে লেখা  হয়েছে “গুহান্তরাল”, ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে ধারাবাহিক আকারে প্রকাশ হচ্ছে। 

আজ পড়ুন এর চৌদ্দতম পর্ব।।

নদীতে ঝাঁপ দিয়েই দুজনে সাঁতরাতে থাকে, কোন দিকে যাচ্ছে তার কোন হুঁশ নেই রিতা-গীতার।   খানিক বাদে পিছনে তাকালো রিতা, গীতা সাথে সাথেই আছে। পাড় থেকে বেশ কিছুটা দূরে এসে পড়েছে তারা, যৌনপল্লীর আগুন তখন গগনচুম্বি। সেই আলোয় গাংয়ের পানিও আগুনরঙ্গা।  দুজনেই থামে, বেশ কিছুক্ষন সেখানেই পানিতে ভেসে থাকে। যতক্ষন পানিতে আছে ততক্ষন আগুনের ভয় নেই। কিন্তু এভাবে বেশিক্ষণ ভেসে থাকা যাবে না। রিতা উল্টা সাঁতার দেয় পাড়ের দিকে, গীতা ওকে অনুসরণ করে। পাড়ের কাছাকাছি গলা সমান পানিতে দুজন দাঁড়িয়ে থাকলো যৌনপল্লীর দিকে মুখ করে। তখনো চিৎকার ভেসে আসছে। কতগুলো ছেলেমেয়ে ঘুমিয়ে ছিল মায়ের কাছে। কী অবস্থা তাদের কে জানে! কতক্ষন ওভাবে দাঁড়িয়ে ছিল জানেনা, কোন একটা সময় মনে হলো শরীর আর নিতে পারছে না। দুজনেই ডাঙ্গার দিকে এগোতে থাকে। পুরোপুরি  ডাঙ্গায় উঠতে পারলো না, ঢালু পাড়ের কাদামাটিতেই লুটিয়ে পড়লো দুজন। কোনরকমে শরীরটাকে ঘুরিয়ে চিৎ হতে পারলো, তারপর আর কিছু মনে নাই। উপরে তারাভরা আকাশ, পিছনে একমাত্র যৌনপল্লীর স্তিমিত আগুন আর হাঁটুঅব্দি পানিতে ডোবা অবস্থাতেই দুই তরুনীর ঘুমন্ত বা মৃত পড়ে থাকা শরীর।

দমকল এসেছিলো প্রায় শেষের দিকে, তাতে যৌনপল্লীর লাগোয়া দোকান ও কাছাকাছি বাড়িগুলো রক্ষা পেলো। রিতা-গিতা সেসব টের পায় না। ভোরের দিকে রিতার চোখের পাতা নড়ে ওঠে, সে তাকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু চোখের পাতা এত ভারি হয়ে আছে যে প্রথমবারেই পারলো না। কয়েকবারের চেষ্টায় যখন চোখ মেললো আবছা আলোয় কিছুই বুঝতে পারলো না। আবার চোখ বন্ধ করলো, মরার পরে রাজ্যের ঘুম চোখে নাকি ক্লান্তি- কে জানে। অনেক্ষন ধরে মনে করার চেষ্টা করলো, মনে পড়লো রাতের আগুন আর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া। আবার চোখ মেলে তাকায়, চোখের সামনে খোলা আকাশ, ভোরের আলোয় চারপাশটা তখনো আবছা। বুঝতে পারে, সে আকাশের নিচে কোন খোলা জায়গায় শুয়ে আছে। তার মানে সে মরেনি, বেঁচে আছে, সে বেঁচে আছে, বেঁচে আছে সে- ভাবতে ভাবতেই স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে ওঠে। সে  আকাশের দিকে তাকিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চায় কিন্তু মুখ ফুটে কোন কথা বের হয় না, বরং চোখের কোন বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু ইবাদত হয়ে ভেজা মাটিতে প’ড়েই মিশে যায়।

বেঁচে থাকাই তো জীবন, মরে গেলে তো সবই শেষ হয়ে গেল। বেঁচে থাকলে স্বপ্ন দেখা যায়, চেষ্টা করা যায়। বেঁচে থাকলে তবেই তো সে আর গীতা আবারো চেষ্টা করে টাকা গুছিয়ে পিঠা বিক্রি করতে পারবে। তখনই গীতার কথা মনে হয়। সে নড়াচড়া করার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না, সমস্ত শরীর ব্যাথা। সে মাথা কাত করে ডানে বামে তাকানোর চেষ্টা করে। বাম দিকে সব ধোঁয়ার মত ঝাপসা দেখায় কিন্তু ডান দিকে আরেকজনকে শুয়ে থাকতে  দেখে। হাত দুটো নাড়াতে গিয়ে একদম অবশ লাগে, এতটুকু শক্তি নেই। একটা দুটো করে আঙ্গুল নাড়ায়, আস্তে আস্তে ডান হাতটা দিয়ে পাশে শুয়ে থাকা শরীরটা স্পর্শ করে- গীতা, গীতা শুয়ে আছে তার পাশে আকাশের দিকে মুখ ক’রে। ডান হাত দিয়ে গিতার গায়ে হাত দেয়, সে গীতার ভারী নিঃশ্বাস টের পায়। গীতাও বেঁচে আছে, তার সাথেই আছে- আবারো সৃষ্টিকর্তার প্রতি মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে।

রিতা উঠে বসতে চায়, কয়েকবারের চেষ্টায় পেরেও যায়। এবার সে বুঝতে পারে নদীর পারের ঢালুতে ভেজা মাটির মধ্যেই তারা শুয়েছিল। পায়ের নিচের দিকটা পানিতে ডোবানো, সারা গায়ে কাদামাটি লেগে আছে। এভাবেই তারা ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছিল কিংবা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। রিতার বাম উরুর কোন একটা জায়গা জ্বলে যাচ্ছে। বাম হাতে স্পর্শ করার চেষ্টা করতেই ব্যাথা লাগে, মনে হয় কেটে গেছে। রিতা পানিতে নেমে পরিষ্কার হতে চায়, শরীরে  একদম শক্তি নেই, তবুও মাটিতে ছিচড়ে ছিচড়ে নদীতে গিয়ে নামে। পানিতে শরীরটাকে বেশ হালকা লাগে। সে ঝুপ ঝুপ করে কয়েকটা ডুব দিয়ে ফেলে। হাত দিয়ে গা কচলে কাদা পরিষ্কার করে। গোসল শেষে পাড়ের দিকে কিছুটা উঠে আসতেই সে বিষয়টা বুঝতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় গীতা একটা সেমিজ আর পায়জামা পড়ে ছিল, রিতা ব্লাউজ আর পেটিকোট পরেছিল। রাতের দৌঁড়, নদীতে ঝাপ, সাঁতরে মাঝ নদীতে যাওয়া, আবার পাড়ের দিকে ফেরার পথে রিতার পেটিকোটের ফিতাটা কখন কোথায় খুলে গেছে সে টের পায়নি। তার পরনে এখন শুধুই ব্লাউজ। সাথে সাথে সে পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে পড়ে।

কী করবে সে এখন! ভোরের আলো ক্রমশই বাড়ছে, আর কিছু পরেই নদীতে লোকজন আসা শুরু করবে। তার আগেই তাকে কিছু একটা করতে হবে। এদিকে খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে, খাবারের খোঁজে বের হতে হবে। কিন্তু এই অবস্থায় কোথায় যাবে সে। কাপড় খোলাই তার পেশা- কত পুরুষের সামনে কাপড় খুলেছে তার  কোন হিসাব নেই, কিন্তু সেটাতো তার ঘরের মধ্যে। অনেক্ষণ রিতার মাথা কোন কাজ করে না। কিন্তু সে জানে উপায় একটা বের হবেই। সে কিছুতেই হেরে যাবে না। বেঁচে যেহেতু আছে, বুদ্ধি একটা বের করতেই হবে।

এদিকে ভোরের আলো ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। এখান থেকে ঘাট বেশ দূরে, সেখানে অনেক নৌকা, ট্রলার বাঁধা থাকে। আশেপাশের এলাকার নারিকেল ও সুপারীর ব্যাবসায়ীরা এখানে কয়েকদিনের জন্য আসে। তখন তারা যৌনপল্লীতেও ফুর্তি করতে আসে। রিতা অনিশ্চিত দৃষ্টিতে ঘাটের দিকে তাকায়। তার মনে হয় একটা বড় নৌকা ঘাট থেকে খানিক সরে এসে তাদের থেকে একটু দূরে বাঁধা আছে। নিশ্চয় নৌকাতে মাঝিরা আছে। ওখানে একবার যেয়ে দেখবে নাকি, খাবারের একটু ব্যবস্থা যদি করা যায় ! কিন্তু এই অবস্থায় কীভাবে যাবে!

তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে গীতার কাছে উঠে এসে নিজের কোমর থেকে নিচের পুরোটা শরির কাদা মাখালো। ভোরের আলোয় কেউ দেখলে হঠাৎ কিছু বুঝতে পারবে না। গীতা তখনো জেগে ওঠেনি। রিতা খুব কষ্টে ঠেলে গিতাকে পাশ ফিরিয়ে শোয়ায় যেন সূর্য উঠলে চোখে না লাগে। এবার আস্তে আস্তে পাড়ে উঠে আসে, তারপর নৌকাটাকে উদ্দেশ্য করে পাড় ধরে হাঁটতে থাকে।

চিত্তরঞ্জন বাবু নারিকেলের ছোটখাট ব্যাপারী। নৌকা বোঝাই করে নারিকেল নিয়ে এখানে আসে, সেসব বিক্রি করে আবার ফিরে যায়। সবকিছু মিলে দিন তিনেক থাকতে হয় এই শহরে। চিত্তবাবু ধর্মপ্রাণ, মিতব্যায়ী ও সংযমী মানুষ। নৌকাতেই রাত্রিযাপন করে। সাথে থাকে সুভাষ ও গনেশ  মাঝি, তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত ছেলেপেলে। এবারের কারবার শেষে আজ বাড়িতে ফিরবে। কালরাতেই তাই নৌকাটিকে ঘাট থেকে বের করে দূরে এনে রেখেছে। আজ সকাল সকাল এখান থেকেই যাত্রা শুরু করবে।

নৌকাটা এখন রিতার স্পষ্ট দৃষ্টিসীমার মধ্যে। একজন লুঙ্গি পড়া লোক নৌকা থেকে নেমে পাড়ের উপর বসে দাঁতন করা শুরু করলো। রিতা আস্তে আস্তে তার পিছনে এসে দাঁড়ায়, লোকটা টের পায় না।

‘দশ টাকায়  “……বেন”?’

চমকে পিছনে তাকায় গণেশ, সে কিছুই বুঝতে পারে না, ভাবে ভুত দেখছে!  অর্থপূর্ণ চোখে রিতা তার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘টাকাটা আগে দিতে হইবো কিন্তূ। টাকা দিয়া রুডি খামু, ক্ষিদা লাগছে।’

গনেশ এতক্ষণে ধাতস্থ হয়। রাতে যৌনপল্লীতে আগুল লেগেছিল সেটা এখান থেকে স্পস্ট দেখেছে সে। এবার সেও জহুরীর দৃষ্টিতে মাপে রিতাকে। ভেজা ব্লাউজে শরীরের আকৃতি স্পষ্ট। কিন্তু একি মেয়েটাতো কাদার পায়জামা পড়ে আছে! ১০ টাকায় এমন মাল… এই ভোরে… নৌকার এই পাশটায়… কেউ টের পাবে না… কপাল মনে হয় আজ খুব ভালো ভাবতে ভাবতে রিতাকে বলে, ‘পানিতে নাইমা গা ধুইয়া আয়, টাকা আনতেছি”। বলেই গনেশ নৌকার ভিতরে যায়।

টাকাটা মাথার কাছে রেখেই পাড়ের উপড়ে শুয়ে পরে দুজন। রিতার গায়ে এতটুকু শক্তি নাই কিন্তু তবুও সে আপ্রাণ চেষ্টা করে গনেশকে খুশি করতে। এই খদ্দের তার জন্য লক্ষী, এই টাকা দিয়েই সে আর গীতা আজ খেয়ে বাঁচবে। নৌকার ঠিক উল্টো দিকে কোমর পানিতে নেমে চিত্তরঞ্জন সূর্যদেবকে হাতজোড় করে প্রণাম করছে আর মনে মনে শ্লোক আওড়াচ্ছে। সূর্যপূজা শেষে ঝুপ ঝুপ করে ডুব দিয়ে পাড়ে উঠে আসতেই চূড়ান্ত পর্যায়ের গালাগালি গনেশের কানে আসে। আর সেদিকে তাকাতেই দৃশ্যটা চোখে পড়ে। গনেশ উঠে বসতেই দেখে ব্যাপারি তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সে লাজুক হেসে নদীতে নেমে পড়ে। রিতার তখন ওঠার শক্তি নেই, সে ব্যাপারির  দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। চিত্তরঞ্জন শান্ত চিত্তে দুইচোখে রিতার আশে পাশে খুলে রাখা কাপড় খুঁজছিল। রিতার মাথার কিছুটা উপরে একটা দশ টাকার নোট আর তার পাশে ভেজা ত্যানার মত  কিছু একটা ছাড়া আর কোন কাপড় চোখে পড়লো না। তার কাছে মনে হল এই মেয়ে প্রকৃতির সন্তান। তার মনে পড়ে রাতে যৌনপল্লী পুড়ে গেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ব্যাপারি নৌকার  ভিতরে ঢোকে। ব্যবসার কাজ  শেষে কাল সে কেনাকাটা করেছে- মার জন্য সাদা থান,  মেয়ে দুটোর জন্য জামা, বউয়ের জন্য দুটো সুতির শাড়ি আর  কাজের ছেলেটার জন্য দুটো গামছা। সেগুলোর ভেতর থেকে একটা শাড়ী আর একটা গামছা নিয়ে বাইরে আসে। গামছাটা খুলে রিতার শরীর ঢেকে দেয় আর শাড়িটা পাশে রেখে নৌকার ভিতরে ঢুকে যায় চিত্তরঞ্জন ব্যাপারি। রিতার চোখ বেয়ে কৃতজ্ঞতার অশ্রু ঝরতে থাকে অবিরাম। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করে কিন্তু এবারো পারে না, তাই মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে আবারো ধন্যবাদ জানায়। তার মনের জোর বাড়তে থাকে, টিকে থাকাই জীবন, বেঁচে থাকাই জীবন!

বাগেরহাটে শুক্লার আত্নহত্যা, আসাদের পালিয়ে থাকা, যৌনপল্লীতে আগুন,  তিনশিশু আর এক বৃদ্ধার মৃত্যু, গুরুতর আহতদের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর, পুড়ে যাওয়া পল্লীতে তাঁবুর নিচে যৌনকর্মীদের কয়েকদিনের থাকা-খাবারের ব্যবস্থা করা, ক্যাম্প করে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নতুন জীবনযাত্রা শুরুর জন্য দাতা সংস্থার সাথে যোগাযোগ- এগুলো সবই চেষ্টা করছে কতগুলো স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি সংস্থা ও নেটওয়ার্ক মিলে, কমিটি করে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছে। সরকারি সেবা দপ্তর ও নীতি নির্ধারনী পর্যায়েও মিটিং সিটিং চলছে। স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। এর মাঝে “দ্য গার্ডিয়ান”ও একটা রিপোর্ট করে ফেললো। যৌনকর্মীদের জন্য এমার্জেন্সি রেসপন্স কিংবা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাড়া পাওয়াও অনেক কঠিন। তবে স্থানীয় কলেজের ছেলে মেয়েরা মিলে একটা স্বেচ্ছাসেবী দল করেছে। ওদেরকে দিয়ে বেশ কিছু কাজ করানো যাচ্ছে। এই তরুনদের দেখে সুরমার মনের মধ্যে আশা জাগে নতুন পৃথিবীর। একদিন এরাই দেশটাকে বদলে দেখাবে। দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেল পটুয়াখালী ভিজিটে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠলো না।

(চলবে)

[চলবে]

পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব- পর্ব-২: খানকিগো আবার দাফন কীসের?

পর্ব-৩: টাঙ্গাইলের পুণ্যভূমিতে পাপীষ্ঠাদের আর জায়গা হবে না

পর্ব-৪: ‘ভালো হইতে চাইছিলাম, দিলেন কই?’

পর্ব-৫: ‘আমরা তো খারাপ কাজ করি, তাই দোয়া চাই আল্লাহর কাছে’

পর্ব-৬: ‘পিন্দনের কাপড় খুইলা টাকা কামাই, পিন্দনেরই কাপড় কেনার লাইগা’

পর্ব-৭: ‘সমাজে যেমুন ব্যাডারা বউরে পিডায়, আমাগোও বাবুরা মারে’

পর্ব-৮: ‘সারাদিন ভালবাসলো, সন্ধ্যায় যৌনপল্লীতে নিয়া বেইচা দিয়া গেল’

পর্ব-৯: ‘‘এই যৌনপল্লীর মাইয়াগো উন্নতি করতে চাই”

পর্ব-১০: “একজন খদ্দের না পাইলে ভাত পাবো কোম্মে”

পর্ব-১১: ‘আমি ভালোবাসি মাইয়াগো, ব্যাডাগো সাথে শুইলে আমার গা গোলায়!’

পর্ব-১২: “এসএসসি’র নিবন্ধনের সময় মাইয়ারে নিজের বইলা স্বীকৃতি দিলো”

পর্ব-১৩: “যৌনপল্লী না থাকলে সমাজে কোন পরকীয়া, সুইসাইড থাকবে না”

পর্ব-১৪: টিকে থাকাই জীবন, বেঁচে থাকাই জীবন

পর্ব-১৫: যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বঙ্গবন্ধুরে মারল; এইসবের মইধ্যেও ওগো মাইয়া মাইনষের শরিল লাগে

শেষ পর্ব: আমার আকাশে পাখি হয়ে উড়বেন?