November 22, 2024
নারী'র খবরবিদেশ

সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত হলো আফগানিস্তানে

ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর ডেস্ক।। সন্তানের পরিচয়পত্রে এবার থেকে মায়ের নামও যুক্ত হবে আফগানিস্তানে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এক নতুন বিলে স্বাক্ষর করেন, যার ফলে এখন থেকে সন্তানের পরিচয়পত্র মায়ের নাম যুক্ত করতে আর কোনো বাধা রইলো না। বিবিসি’র খবর।

আফগানিস্তানে সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলো বিভিন্ন নারীবাদী অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ। এর আগে আফগানিস্তানের আইন অনুযায়ী সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নাম যুক্ত হতো না।

আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে কোনো দলিল-দস্তাবেজেও নারীর নাম ব্যবহার করাকে অপমানজনক বলে মনে করা হয়। এমনকি বিয়ের আমন্ত্রণপত্র বা চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপনাপত্রেও নারী রোগীদের নাম লেখা হয়না। তবে তিন বছর আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি প্রচার অভিযান চালু হয়। হ্যাশট্যাগ #WhereIsMyName আন্দোলনটি দেশটি ব্যাপকমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। আফগানিস্তানের বহু সেলিব্রেটি ও পার্লামেন্টের সদস্য এ আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়ান। এরই ফলস্বরূপ এবার আফগানিস্তানে সন্তানের আইডি কার্ডে মায়ের নাম যুক্ত করার আইন করা হলো।

#WhereIsMyName ক্যাম্পেইনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালেহ ওসমানী বিবিসিকে বলেন, ‘এই ফলাফলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই বিজয় অবিরাম প্রচার-প্রচারণা এবং অ্যাক্টিভিস্ট ও দেশের নাগরিকদের মধ্যে ঐক্যের ফল’।

তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের সরকারও নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। আমি প্রেসিডেন্ট ও তার সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছিলেন’।

আফগানিস্তানের মন্ত্রীসভার আইনবিষয়ক কমিটি এ ব্যাপারে মন্তব্য করে, ‘সন্তানের আইডি কার্ডে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম সংযুক্ত করার এই সিদ্ধান্তটি লিঙ্গ-সমতা ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে এক বড় পদক্ষেপ’।

কাবুল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মরিয়ম সামা টুইটারে #WhereIsMyName ক্যাম্পেইনের অ্যাক্টিভিস্টদের অক্লান্ত প্রচারণা চালানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম সফল হয়েছে’।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে সরকার থেকে তালিবানের পতনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও দেশটিতে নারীদের দুর্বিষহ জীবন পার করতে হচ্ছে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর পর এই দুই দশকে নারীদের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন নারীবাদী অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ।