May 15, 2024
অনুবাদসাহিত্যফিচার ৩

বিদ্রোহী মেয়েদের জন্য শুভরাত্রির গল্প: আমিনা গুরিব ফাকিম

Good night stories for rebel girls বইটির লেখক এলেনা ফাভিলি ও ফ্রানসেসকা ক্যাভালো। প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত পেঙ্গুইন প্রকাশনা সংস্থা। মূলত কিশোর বয়সীদের লক্ষ্য করে লেখা এই বইটি। বিশ্বজুড়ে যে মেয়েরা ইতিহাসের নানা সময়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে বা রেখে চলেছে, তাদের সম্পর্কে ছোট ছোট গল্পের মতো করে লেখা। সন তারিখ তথ্য কম দিয়ে নাটকীয় করে তোলার চেষ্টা আছে, যাতে পড়ে মজা পাওয়া যায়। 

প্রতিটি গল্পের সঙ্গে একটা ছবি, সেটাও বেশিরভাগ নারী শিল্পীদের আঁকা।  

‘বিদ্রোহী মেয়েদের জন্য শুভরাত্রির গল্প’ নামে বইটি ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করেছেন মেহেদী হাসান, ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের পাঠকদের জন্য

আমিনা গুরিব ফাকিম

জৈববৈচিত্র্য বিষয়ক বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ
মরিশাস
জন্ম : অক্টোবর ১৭, ১৯৫৯

ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ জাতি-রাষ্ট্র মরিশাস।

এখানে বাস করতো একটা মেয়ে যে গাছপালা সম্পর্কে কৌতূহল নিয়ে জন্মেছিল। জানতে চাইতো গাছপালার আদি-অন্ত। তার নাম ছিলো আমিনা। আমিনা পড়ালেখা করেছিলো জৈব-বৈচিত্র্য বিষয়ে।

আমিনা শত শত সুগন্ধি এবং চিকিৎসা-ভেষজ আর ফুলের বৈজ্ঞানিক রহস্য বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি এগুলোর গুণাগুণ অধ্যয়ন করেছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গ্রাম্য বৈদ্যদের কাছ থেকে শিখে নিয়েছেন কীভাবে ওরা নিজেদের চিকিৎসায় এসব গাছপালা ব্যবহার করে তা।

আমিনার জন্য গাছপালা ছিল বন্ধুর মতো।

তার প্রিয় গাছ ছিল বাওবাব, কারণ এটা খুবই দরকারি একটা গাছ, এটা শরীরে পানি জমিয়ে রাখে, এর পাতা শরীরের প্রদাহ সারিয়ে তোলে, এবং এর ফল ( মানুষ যাকে মাংকি আপেল বলে) মানব দুধের চেয়ে বেশি প্রোটিন ধারণ করে।

আমিনা মনে করতো গাছপালা থেকে অনেক কিছু জানার আছে। যেমন, বেঞ্জোইন: “বেঞ্জোইনের পাতাগুলি বিভিন্ন আকার এবং প্রকৃতির হয়। সাধারণত প্রাণী এমন গাছপালা খাবে না যা তারা চিনতে পারে না। তাই তারা এই উদ্ভিদটিকে চিনতে না পেরে ফেলে রেখে দেয়। নিজেকে রক্ষা করার বেশ স্মার্ট তরিকা, তাই না?”

আমিনা উদ্ভিদকে জীবন্ত, জৈবিক গবেষণাগার, মানুষ এবং অন্যান্য প্রজাতির জন্য অত্যাবশ্যক তথ্যে পূর্ণ বলে মনে করেছিলে।

আমিনা গুরিব মরিশাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিটা দিন সে  তার দেশের প্রতিটি বাসিন্দার নিরাপত্তার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতো। প্রতিটা বাসিন্দা মানে মানুষ, প্রাণীকূল এবং অবশ্যই গাছপালা।

আমিনা বলতো, “যখনই একটি বন কাটা হয়, আমরা একটা পরিপূর্ণ গবেষণাগার হারিয়ে ফেলি। এমন একটি গবেষণাগার হারাই  যা আমরা কখনও পুনরুদ্ধার করতে পারি না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *