November 23, 2024
মুক্তমত

পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা এবং আমাদের বোধজ্ঞান

আহমেদ ফারুক মীর ।। 

এক.

যা আসছে তা পুরাতনের চেয়ে ভালো এবং সময়ের জন্য উপযোগী বলেই আমরা নতুনকে স্বাগত জানাই এবং পুরাতনকে বিদায় করি। বাস্তবিক পক্ষে পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকতে আমাদের ভালো না লাগলেও মনে মনে আমরা পুরাতনকে ঘিরে সুখ কিংবা দুঃখ অনুভব করি। জীবনের হঠাৎ সময়ে আমাদের মনে হয়, আগেই হয়তো ভালো ছিলাম। চলে যাওয়া জীবনবোধ হয়তো যাপিত জীবনের চেয়ে মধুময় ছিল। কিন্তু সত্যিটা অন্য রকম। সত্যিটা বাস্তবতার  নিরীখে উপলব্ধি করতে হয়। সত্যিটা আবেগকে দমিয়ে রেখে গতিময়তার সঙ্গে দৌড়ায়। তা না হলে পৃথিবী তার চলনগতি হারিয়ে স্থবির হয়ে থাকতো। মানুষ যুগ যুগ ধরে একই রকম জীবনবোধ এবং জীবনাচরণ নিয়ে সুখি হতো। কেউ আর নিজেকে পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করতো না। ঠিক একইভাবে শিক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও দাদা যা শিখেছেন, বাবা তা শিখতেন, বাবা যা শিখেছেন ছেলে তাই শিখতেন।  শিক্ষাব্যবস্থাকে সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রয়োজনের অনুরূপে সাজিয়ে তোলা হতো না।

বাংলাদেশের প্রাচীনতম মুখস্ত বিদ্যাকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাকে জীবনমুখী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে গত কয়েক বছর যাবৎ। যেকোনো বিষয়ে নতুন কিছু আরম্ভ করলে প্রথম অবস্থায় সেই ব্যবস্থার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটি দিকই লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। নানান আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় চারদিকে। কয়েক বছর ধরে ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা সমালোচনার কোনো শেষ নেই। এতদসত্ত্বেও পূর্বেকার শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলার থাকে।

যদি পূর্বেকার শিক্ষা ব্যবস্থা ইদানীংকার শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ে উন্নত হতো তাহলে প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তান এখন যে শ্রেণিতে পড়ছে সে শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে সন্তানের চেয়ে বেশি জানতেন। একইভাবে এখনকার শিক্ষাব্যবস্থা পূর্বেকার তুলনায় উন্নত হলে সেই সময়ে যারা পড়াশুনা করেছেন তাদের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই এখনকার ছেলে মেয়েরা বেশি জানবে। সুতরাং বাস্তবতা লক্ষ করলে আমরা বোধহয় দ্বিতীয় বিষয়টির সত্যতাই প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে দেখতে পাবো। সন্তানের বয়সে থাকাকালীন সময়ের কথা মনে করলে দেখা যায় সন্তান এখন যা জানে এবং পারে একই বয়সে থাকার সময় পিতা মাতা তার জানাশোনা এবং পারদর্শিতার ধারে কাছেও ছিলেন না। অথচ অনেক প্রবীণ এবং শিক্ষিত ব্যক্তিরাও আজকের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন, তাদের সময়ে কতই না ভালো শিক্ষা-দীক্ষা ছিলো। যদি তাই হয় তাহলে এখনকার প্রজন্ম তাদের পিতা-মাতার চেয়ে জানাশোনায় এত অ্যাডভান্সড কেন? সত্যি বলতে পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে থাকার এই স্বভাব অতীতের প্রতি মানুষের এক ধরনের যুক্তিহীন আবেগের কারণে হয়ে থাকে। ফেলে আসা জীবনের প্রতি এই ফ্যান্টাসির জন্যই আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ লিখেছিলেন, “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম” অথবা “মুছে যাওয়া দিনগুলো আমায় যে পিছু ডাকে”। কিন্তু কেউ কি আর সেই জীবনে ফিরে যেতে পারে? পারলেও কি আর যেতে চায়?

যদি আগের দিন সত্যিই ভালো হতো কেউ তাহলে হাত পাখা বাদ দিয়ে ফ্যান, ফ্যান বাদ দিয়ে এসি ব্যবহারকে প্রাধান্য দিতো না। কেউ হ্যারিকেন বাদ দিয়ে ইলেক্ট্রিক লাইট ব্যবহার করতো না। সকালে উঠে জঙ্গলে মলত্যাগ করা বাদ দিয়ে আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন টয়লেট তৈরি করা হতো না। যারা ইতোমধ্যে আধুনিক বাথরুমে গোসল করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন তারা কি আবার খোলামেলা পুকুরঘাটে গোসল করার কথা ভাবতে পারেন? আমার মনে হয় শখের বশে ছাড়া কেউ এই বিষয়ে রাজি হবেন না। অথবা ভাবুন, একই ঘরে মা-বাবা একপাশে, অন্যপাশে ছেলে-ছেলের বউ, আর এক দিকে বড় বড় ছেলেমেয়ে নাতী নাতনীরা ঘুমাচ্ছে, কেমন হবে? অথচ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এই চিত্র গত কয়েক বছর আগেও কত স্বাভাবিক ছিল ! যদি কেউ আগের সেই ভালো দিনগুলোতে ফিরে যেতে চান তাহলে আজই আবার দালান-কোঠা বাদ দিয়ে অমনতরো জীবনযাপনে প্রবেশ করতে পারেন।

দুই.

সময়ের সাথে ব্যবস্থার পরিবর্তনই টিকে থাকার মূল হাতিয়ার। যারা এই পরিবর্তনের ধারায় চলতে পারে তারাই টিকে থাকে, বাকিরা তলিয়ে যায়। এবং শত বছর পরে এসেও বিবর্তনবাদ এজন্যই এতো আলোচিত। এক সময়ের অসংখ্য বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারণে এখন বিলুপ্ত। আবার নিজেদেরকে সময় ও মানুষের চাহিদার অনুকূলে পরিবর্তন করতে থাকার কারণে বহু কোম্পানি এখনও টিকে আছে। সুতরাং পরিবর্তনযোগ্যতাই প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখে।

পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে আমরা শামিল হতে পারছি না বলে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে গিয়ে তাদের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। তারা জাপানিদের জীবনযাত্রা দেখে আকাশ থেকে পড়ে কেন? কারণ বাংলাদেশে ছাত্রছাত্রীরা গ্লোবাল সিটিজেন হিসেবে এখনও তৈরি হয়ে ওঠেনি। এমনকি তারা জানেও না গ্লোবাল সিটিজেন কী? আমরা এখনও আমাদের সন্তানদের কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে পারিনি। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রাচীন নীতি এবং পদ্ধতি বাদ দিয়ে গ্লোবাল এডুকেশন নিশ্চিত করা সময়ের চাহিদা। রান্নাবান্না, কাপড় কাঁচা কিংবা বাজার করার মতো কাজগুলো উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওতপ্রোত অংশ। সুতরাং এগুলো পাঠ পরিকল্পনার অংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। হাতের কাজ করায় কোনো অগৌরব নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম নিজের কাজ করাকে অসম্মানজনক মনে করে। কারণ এই বিষয়গুলো যে সার্বজনীন তাদেরকে তা শেখানো হয়নি এবং এগুলো পাঠ্যাংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সুতরাং এখন সময় এসেছে নতুন করে ভেবে দেখার।

জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন সম্পর্কে আমাদের জানা শোনার অভাব আছে বলে আজকের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এতো এতো জল্পনা-কল্পনা, আলোচনা-সমালোচনার বেশির ভাগই নেগেটিভ সেন্স থেকে এসেছে এবং এই নেগেটিভ ভাবনার বেশিরভাগই অভিভাবকদের ব্যক্তিগত আবেগের বহিঃপ্রকাশ। মূল বিষয় হলো, যারা শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং আধুনিকায়ন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন তাদের মাথায় পরিবর্তনের উপযোগ এবং পদ্ধতি কোনোটাই এখনও প্রবেশ করেনি এবং তারা তা প্রবেশ করাতেও অস্বীকৃতি জানান। কারণ তারা এখনও তাদের যুগের মুখস্ত বিদ্যাকেই শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রপার জাস্টিফিকেশন ভেবে বসে আছেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের অভিভাবক এবং অধিকাংশ শিক্ষকই মুখস্ত বিদ্যার সময়কার। যার কারণে তারা আজকের পরিবর্তনকে সহজে মেনে নিতে চান না এবং আরও খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে তারা পরিবর্তিত আজকের শিক্ষাব্যবস্থার ঘাড় মটকে দিতে চান। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ঘাড় মটকাতে চাওয়ার বৃহত্তর কারণ হলো বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে তাদের অপারগতা এবং অনেকটা পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত একগুঁয়েমি। আসলে ওই সকল শিক্ষক শিক্ষার বর্তমান পরিবর্তিত ব্যবস্থার সাথে সমান তালে নিজেদেরকে ছুটিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না।

এর বাইরেও আরও কিছু কারণ আছে যেগুলো আসে অসাধু কোচিং ব্যবসায়ী, মুখস্ত গাইড ব্যবসায়ী এবং এক্সট্রা টাইমে পাঠদান করে এক্সট্রা ইনকামের সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তিদের দিক থেকে। অথচ ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর ৫০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের বর্তমান কারিকুলামে সফলভাবে পাঠদান করা হচ্ছে।

তিন.

বাংলাদেশের সীমাবদ্ধ সম্পদ, অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা এবং নানান প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে হয়তো স্বল্প সময়ের মধ্যে এই শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা কিছুটা কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু সকলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকালে আমরা গ্লোবালি থিংকিংকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে লোকালি ইপ্লিমেন্ট করতে পারবো বলে মনে হয়। দেশের সীমাবদ্ধ সম্পদ ও অবকাঠামোর মধ্যে আমরা উন্নত দেশের আদলে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজিয়ে তুলবো, যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উন্নত দেশে গিয়ে হঠাৎ করে ধাক্কা খেতে না হয়।

২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই শিক্ষা ব্যববস্থাকে পরীক্ষামূলকভাবে এবং ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের কাজ এখন অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। মোট ছয়টি গবেষণা শেষে ২০২১ সালে এসে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইতোমধ্যে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে, যার নাম জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা – ২০২১, যা ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে শেষ হবে। আমার মনে হয় এই রূপরেখা সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে বিরূপ মন্তব্য করা অনুচিত। যদি কেউ মনে করেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় তারা ভুল পথে আছেন। কারণ আমরা পারবো না বলে যদি পূর্বের মতোই বসে থাকি তাহলে আমাদের সন্তানেরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে। আমাদের সন্তানেরা কখনোই গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে আপগ্রেড হতে পারবে না। সুতরাং পৃথিবীর এগিয়ে যাওয়া সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে গেলে এই শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।

আমার মনে হয়, শিক্ষামন্ত্রীসহ বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে যারা নীতি নির্ধারক আছেন তারা জানাশোনা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের লাখ লাখ সমালোচক, শিক্ষক এবং অভিভাবকের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে আছেন। সুতরাং তাদের ওপর ভরসা রেখে তাদেরকে সহযোগিতা করাই পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আসল সহায়ক হবে। শিক্ষাকে শুধু সনদ নির্ভরতা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে জীবনমুখী করে তোলা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে আমরা কোনোদিনই উদ্ভাবক হতে পারবো না। পরীক্ষার খাতায় মুখস্ত বিদ্যা ঝেড়ে দিয়ে এসে বড়জোড় প্রশাসক হতে পারবো। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের এখন প্রশাসকের চেয়ে বেশি দরকার উদ্ভাবক। সুতরাং আসুন, আমরা পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হই। আমরা আমাদের সন্তানদের প্রশাসকের বদলে উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলি। শিক্ষাকে সনদমুখীতা থেকে জীবনমুখীতার দিকে নিয়ে যাই।

এই ক্ষেত্রে আরও একটি কথা না বললেই নয়, সেটি হলো শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষক এবং অভিভাবকের জন্য প্রেষণামূলক পাঠ দরকার বলেও মনে হয়। যাতে তারা সময়ের চাহিদাটুকু বুঝতে পারে। যাতে তারা “টার্ন টু দ্যা ব্যাক” চিন্তা থেকে ফিরে “ওয়াক উইথ দ্যা টাইম” এর দিকে ঝুঁকতে পারে। এছাড়াও শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রে এখনও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গিয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতার সমাধান অতিদ্রুত হয়ে যাবে বলে অনেকেই মনে করেন। শিক্ষাকে যুগোপযোগীকরণের স্বার্থে সর্বক্ষেত্রে মোটিভেশনের পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুগোপযোগী শিক্ষাবিষয়ক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আরও জরুরি হয়ে পড়েছে যেসব শিক্ষক এই ব্যবস্থাকে কার্যকরী করবেন তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তোলা। যত দ্রুত এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা যাবে তত দ্রুত নানান মহলের বিতর্ক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয়। এটুকু ব্যবস্থা নিশ্চিত হলেই আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

 

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত মুক্তমত লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *