November 22, 2024
সাহিত্যকবিতাফিচার ৩

ফেরা

মেহেরুন নূর রহমান।।

 

চোখ তুলে তাকায় মেয়ে, ভীত সন্ত্রস্ত

কালশিটে পরা মুখ, রক্তমাখা ফুলে ওঠা ঠোঁট

এলোমেলো চুল, চোখের পানিতে মাখামাখি মুখ, তবু কি মায়াকাড়া

সামনে দাঁড়ানো বীরপুরুষ, হিংস্র, যেন কোন বন্য পশু

দম্ভ সমস্ত অবয়ব জুড়ে

অহংকারে মাখামাখি মুখ কদাকার

পা দাবড়ায় সেই পশু, হুঙ্কার ছাড়ে

ভয়ে দুহাতে মুখ ঢাকে মেয়ে

জান্তব আনন্দে হেসে ওঠে পশু

সমস্ত শরীর অদম্য উত্তেজনায় কেঁপে ওঠে

এগিয়ে যায় সে মেয়ের খুব কাছে

কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে কুৎসিত কোন কথা

দু’হাত জড়ো করে মেয়ে, প্রার্থনার মত

কি এক আকুতি ঝরে পরে মেয়ের চোখে মুখে

মেয়ের আকুতি উত্তেজিত করে পুরুষ পশুকে আরো বেশি

উত্তেজনায়  বিকৃত হয় তার মুখ

হাত রাখে মেয়ের আঁচলে, টেনে হিঁচড়ে খুলতে থাকে শাড়ি

হঠাৎ শব্দে পাশ ফিরে চায় দুজনে

দরজার পাশে দাঁড়ানো শিশু অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে

অবাক গলায় ডাকে – মা

খেঁকিয়ে উঠে পশু, চিৎকার করে বলে – বের হ

ভীষন ভয়ে ফ্যাঁকাসে শিশু কেঁপে ওঠে থরথর

ঠিক তক্ষুনি কি হয় কে জানে

স্পষ্ট চোখে তাকায় মেয়ে পুরুষটির দিকে

আঁচড়ে রক্তাক্ত করে দেয় তার মুখ

হতভম্ব পুরুষ ছিটকে পরে দূরে মেয়ের লাথিতে

দৌড়ে মেয়ে জড়িয়ে ধরে শিশুকে

তারপর পুরুষটির দিকে তাকিতে তীব্র ঘৃণায় বলে- থুঃ!

পুরুষ সিংহ কুঁকড়ে যেতে যেতে কেঁচোয় পরিনত হয়!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *