September 20, 2024
ফিচার ২বন্ধুর হাত

সে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছে!

বন্ধুর হাত একটি পরামর্শ বিভাগ। এখানে আপনি আপনার আইনগত, সামাজিক ও মানসিক সমস্যার বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে লিখতে পারেন। প্রশ্ন সর্বোচ্চ একশ শব্দে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখবেন। এই বিভাগ নারী পুরুষ সকলের জন্য।

আজ আইনী সমস্যার সমাধান দিয়েছেন নাহিদ শামস্, আইনজীবী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।

প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে ২০১৩ সালের মার্চে। বিয়ের আগে থেকেই আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২/৩ বছর ভালো ছিলাম। এরপর আমাদের পরপর ২টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান হবার পর থেকেই আমার স্বামীর মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। চাকরিসূত্রে আমরা আলাদা জেলায় বসবাস করতাম। সে অনিয়মিতভাবে যোগাযোগ করতে থাকে। এমনকি সংসারের খরচ দেয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। একসময় বুঝি সে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর তার সাথে মনোমালিন্য শুরু হয় এবং পরে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। তার পরিবারের সদস্যরা আমার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এখন  আমি তার কাছ থেকে তালাক চাই। আমার কাবিনে নির্ধারিত মোহরানা  এবং আমার দুই সন্তানের ভরণপোষণও চাই।

কীভাবে আমি এসব পাবো, দয়া করে জানাবেন। আমি খুবই দুশ্চিন্তায় ও কষ্টে আছি।

শবনম সুলতানা, গেন্ডারিয়া, ঢাকা

উত্তর : আমাদের দেশের ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। আপনার কাবিননামার ১৮ নং কলামে যদি আপনার স্বামী আপনাকে তালাকের তাওফীজের ক্ষমতা দিয়ে থাকেন, সেই ক্ষমতায় আপনি নিজেই তালাক দিতে পারবেন। এছাড়া আপনার নির্ধারিত মোহরানা ছাড়াও তালাক পরবর্তী ৩ মাসের ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন। আপনার অতীত ভরণপোষণও দাবি করবার অধিকার রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য আপনি পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। আপনার দুই পুত্র সন্তানের ভরণপোষণ দাবি করে একই আদালতে মামলাটি দায়ের করা যাবে। অথবা কোন মানবাধিকার সংস্থা যেখানে নারীদের আইনগত সহায়তা দেয়া হয়, সেখানে অভিযোগ দায়েরের পর মধ্যস্থতার মাধ্যমে আপনার সব আইনগত অধিকার আদায় করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার স্বামীকে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধান চাইতে হবে, যা আদালত পর্যন্ত না যেয়েও সমাধানযোগ্য। ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *