September 20, 2024
ফিচার ৩মুক্তমত

কতটা শিক্ষার্থীবান্ধব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন?

আরজু আফরিন ক্যাথি।। ‘টুইন সিটি সিকিউরিটি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলে মূলত পাঁচটি কারণে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক, সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দূরে থাকা পিতা মাতার মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্বস্তির জন্য। দুই, ভবিষ্যতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একটি নিরাপদ ক্যাম্পাসে আগমনে অনুপ্রাণিত করতে। তিন, সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত সকল ধরনের ঝুঁকি কমানো। চার, বিচিত্রতা রক্ষা, এবং পাঁচ, ছাত্রছাত্রীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা, যা তাদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে সহযোগিতা করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় কি-না, কারিক্যুলাম কতটুকু আন্তর্জাতিক মানসম্মত, ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে জীবনমান, গণরুমের চিত্র, রেজিস্টার বিল্ডিংয়ের জমিদারী, ছাত্র-রাজনীতি এসব কিছু নিয়ে নয়;  ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা বিষয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কতটা তৎপরতা আমি দেখেছি সেটুকুই লেখার চেষ্টা করবো শুধু। আমার এখনো স্পষ্ট কানে ভাসে, যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কুর্মিটোলায় ধর্ষণ করা হয়, বাসা থেকে টেলিফোনে আমাকে আর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমার বোনকে বলা হয়েছিলো, ‘তোমাদের নিয়ে ভয় পাই, সাবধানে থেকো’। প্রচণ্ড স্বাধীনচেতা একটা পরিবারের জন্য এই একটা বাক্য যে কতটা ভারি, তা শুধু আমিই জানি। সেদিন চাপা কান্নায় গুমোট হয়েছিল টিএসসির আকাশ। আর আমি একা নই – বাবা মায়ের এমন আশংকার বিপরীতে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারো শিক্ষার্থী।

এ ঘটনা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, সেসবের বর্ণনা দেব না। শুধু আরেকবার মনে করিয়ে দিতে দিতে চাই, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন পরোক্ষভাবে দায়ী।  কারণ ছাত্রছাত্রীদের বারংবার অনুরোধের পরেও এই র‍্যুটে যাওয়া বাসটির জন্য একটা নিরাপদ স্টপেজ প্রশাসন নিশ্চিত করতে পারেনি। এটা নিঃসন্দেহে ব্যর্থতা তো বটেই, উদাসীনতাও।

আরেকটা ঘটনা বলি, মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত লাল বাসের নাম ‘ইদ্রাকপুর’। দিনের/মাসের/বছরের কত ঘণ্টা সময় যে বাসে যাতায়াতকারী এই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নষ্ট করে, কল্পনাও করা যায় না। ট্রাফিক জ্যাম? না, এটাই মূল সমস্যা না। চানখারপুল থেকে ফ্লাইওভারে উঠে গেলে এই বাসটা সরাসরি সাইনবোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ পার হয়ে যায় খুব অল্প সময়েই। মূল সমস্যা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে পৌঁছাতেই। স্কুলে থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত এই ‘লাল বাস’ দেখার জন্য প্রতিদিন বিকেলে গেইটে দাঁড়িয়ে থাকতাম আমি। সেই বাসে আমার প্রথম এবং শেষদিনের ভ্রমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। সকাল দশটায় বিভাগের ক্লাস, তাই সকালেই আমাকে ঢাকায় ফিরতে হতো। অতো সকালে আমাকে এগিয়ে দিতে পরিবারের কাউকে কষ্ট দিতে চাইলাম না। সহজ আর নিরাপদ ভেবে ক্যাম্পাসের বাস ধরলাম ভোর ৬:০০ টায়। স্বভাবতই ভোর বেলা আর সহযাত্রী সব পরিচিত ক্যাম্পাসের ভাইয়া-আপু হওয়ায় সিটে হেলান দিয়ে আমি চোখ বন্ধ করে আছি। অর্ধঘুমে। হঠাৎ করেই জানালা দিয়ে বাইরে থেকে আসা বালি-কণায় আমার চোখ-নাক-চুল-গায়ের বেহাল দশা। পরিস্থিতি দেখার জন্যেও আমার তাকানো প্রয়োজন ছিল অথচ চোখে বালি-কণা ঢুকে যাওয়ায় আমি তা পারিনি। পুরো বাস জুড়ে চিৎকার-শোরগোল। আমার সারিতে বসা প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর একই  অবস্থা। আমাদের বাসের পাশ দিয়ে এক স্বনামধন্য সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ট্রাক যাওয়ার সময় ইচ্ছা করেই বাসের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীদের উপরে বালি ছুঁড়েছে। বাস থামিয়ে কোনরকম পানি দিয়ে সবাই চোখ-মুখ পরিষ্কার করে বাসে উঠতেই জানলাম কারণ। সেদিন আমি কারণ যেটা শুনেছি সেটা শোনার জন্যে আমি মানসিকভাবে একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। সেটা হলো, মুন্সিগঞ্জ টু নারায়ণগঞ্জ যে রাস্তা টা আছে এর প্রশস্ততা খুব কম। বাস এবং ট্রাক যুগপৎভাবে ক্রস করা কষ্টসাধ্য। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যখন সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকার জন্য রওনা করে তখন সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ট্রাকগুলো মুন্সিগঞ্জের দিকে ঢোকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য তাদের বেপরোয়া-উদ্দ্যমী চলাফেরায় অসুবিধা হয়। ড্রাইভার এবং শিক্ষার্থীদেরকে বিরক্ত করে লাল বাসের র‍্যুট পরিবর্তন করানোই তাদের উদ্দেশ্য। সেদিন বাসে অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা ছিলেন। তাদের চেহারায় তাকিয়ে বুঝেছিলাম মাফিয়া ট্রাক ড্রাইভারদের সামনে তাদের নীরব অসহায়ত্ব। এমন ঘটনা এর আগেও নাকি বেশ কয়েকবার ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসে অভিযোগও করা হয়েছিল কয়েকবার। কোনো সমাধান আসেনি। সেদিন কেউ প্রতিবাদও করেনি। করবেই বা কী করে? ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২০/২১ কিলোমিটার দূরে ট্রাক ড্রাইভারদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো বাকবিতণ্ডা ঘটলে অপরাধীদের পক্ষে মালিক সমিতি থাকলেও, ছাত্রছাত্রীদের ছায়া হয়ে তখন আর এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাঁড়াতো না। আখ্যা দিতো ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে।

আমি জানিনা, আমার মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি সবাইও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস এবং সচিবের গাড়ি’ গল্পটা শুনে বড় হয়েছে কি-না। সংক্ষেপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অদম্য ইচ্ছাশক্তি সৃষ্টিকারী সেই গল্পটা বলি। আমার নানু অর্থাৎ মায়ের মা বলতেন – কোনো একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাস কোনো একটা স্টপেজে ছাত্র-ছাত্রী নামাচ্ছে। পেছনে একটা সচিবের গাড়ি আটকে গেলো। সচিবের ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে এসে বললো, ‘বাস সাইড করুন, পেছনে সচিব স্যারের গাড়ি আটকে গেছে’। লাল বাসের ড্রাইভার সেদিন প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনার গাড়িতে কয়জন সচিব?’ উত্তরে ড্রাইভার জানিয়েছিলেন, একজন। ‘আপনার স্যারকে অপেক্ষা করতে বলেন কারণ আমার গাড়িতে সবাই সচিব’। এই ছিল সেদিন লাল বাস ড্রাইভারের উত্তর।

এই গল্পের সত্যতা কতটুকু আমি জানিনা। তবে ইতিহাসেও যতটুকু পড়েছি, জেনেছি – একটা সময় তো সত্যিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এতোটা মেরুদণ্ডহীন ছিল না। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে সেদিন বাসের ঘটনা, গল্প আর বাস্তবতার এমন আকাশ-পাতাল ব্যবধান, আমার জন্য যে কতটুকু ট্রম্যাটিক ছিল সেটা শুধু আমি জানি।

এছাড়াও, ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘটে যাওয়া একটা-দুইটা ঘটনার বর্ণনা দিলে খুব সহজেই অনুধাবন করা যাবে, এ ক্যাম্পাস কতটুকু শিক্ষার্থীবান্ধব। এক শীতের সকাল। হলের একজন বড় আপু বাড়ি যাবেন। রোকেয়া হল থেকে বের হয়ে শামসুন্নাহার হলের দিকে হাঁটছিলেন। এ রাস্তার যাত্রী ছাউনিতে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে থাকা একজন অপ্রকৃতস্থ লোক আপুকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে হেনস্তা করার চেষ্টা করে। আপুর চিৎকারে জড়ো হয়ে লোকজন তাকে সাহায্য করেন। আপু হলে ফিরে আসলেন। সেদিনের ঘটনায় তিনি এতোটাই ভয় পেয়ে গেলেন যে, তার আর বাড়ি যাওয়া হলো না। দিন কতক কেমন স্থবির হয়ে থাকলেন। পরবর্তীতে রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের মেয়েরা বারংবার ‘বহিরাগত এবং পাগলমুক্ত’ ক্যাম্পাসের দাবি জানালেও, প্রশাসন কখনো কর্ণপাত করেনি।

কোনো এক রাজনৈতিক সংগঠনের জাতীয় সম্মেলন। যথারীতি ভেন্যু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার মানুষকে বহনকারী যানবাহন; শত খানেক বাস, লেগুনা, ট্রাক, প্রাইভেট কারের পার্কিং স্থান হলো রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের সামনের জায়গাটুকু। শুধুমাত্র, শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে বের হওয়ার জায়গাটুকু বাদ দিয়ে, ক্যাম্পাসে আর তিঁল পরিমান ঠাঁই থাকলো না। সেদিনও নিজের হলের সামনে এক বাস ড্রাইভারের দ্বারা হেনস্তার শিকার হলো আমার এক বান্ধবী। শুধু রোকেয়া হলের না, শামসুন্নাহার হলের মেয়েরাও ইভটিজিংয়ের শিকার হলো নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায়। আমার বান্ধবীকে সেদিন বারংবার অনুরোধ করলাম অভিযোগ করতে।  কিন্তু ঠিকই তো – সম্মেলনে আসা একজন বহিরাগতের দ্বারা হেনস্তার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিযোগ করবে তো, করবেই বা কার কাছে?

সম্মেলনকে ঘিরে এতো আয়োজন হয়। ব্যানারে-পোস্টারে ক্যাম্পাস সাজে। অথচ টিএসসি’র পাশেই থাকা দুটো আবাসিক হলের হাজারো নারী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার কথা প্রশাসন কোনোদিন ভাবেনা।

এখন আসি মোদ্দা কথায়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অর্ধ-জবাই কিন্তু জ্যান্ত অবস্থায় পাওয়া গেলো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই। যেহেতু ঘটনা এখনো অপরিষ্কার সেটা নিয়ে কিছু লিখবো না। পুলিশ তাকে ‘পাগল আর অচ্ছুত’ ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশায় তুলে দিলো চিকিৎসা নিতে। পাগল কি এই দেশের নাগরিক কিনা? তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায় কি-না? পুলিশ কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেই সাহায্য করবে আর একজন পাগল বা অপ্রকৃতস্থকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে? সেই আলোচনা করার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান বা তথ্য আমার কাছে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রশ্ন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন যদি বহিরাগত, মাদকাসক্ত এবং পাগলমুক্ত হতো, তাহলে কি হাফিজ ভাই কে ‘পাগল’ ধরে নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার এমন সুযোগ থাকতো? বেনামী/ অজ্ঞাতনামা লাশ হয়ে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ফেলে রাখতে হতো? পরিবারের সাথে খুশি খুশি ঈদ কাটিয়ে আসা ছাত্রটাকে লাশবাহী গাড়িতে বাড়ি ফিরতে হতো?

আমি জানি, উত্তর নেই। আরও জানি, আমার এখানে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন্ন। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, সবগুলো দৃশ্যে যে একটা বিষয় কমন তা হলো – ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা।

শেষ করবো। আমার মনে আছে পলিটিক্যাল সাইন্স কোর্সের ক্লাসে একদিন স্যার আমাদের প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমাদের কী মনে হয়? বাংলাদেশে তোমরা নিরাপদ?’ কিছু না ভেবেই ক্লাসের অধিকাংশের বেশি শিক্ষার্থী উত্তর দিয়েছিলাম, ‘না’। স্যার পুনরায় জানতে চাইলেন কীসের উপর ভিত্তি করে আমরা নিজেদের নিরাপদ বা অনিরাপদ বলছি অর্থাৎ প্যারামিটারগুলো কী কী এবং জিজ্ঞাসা করলেন, হল থেকে বের হওয়ার সময় আমাদের ভেতরে অনিশ্চয়তা কাজ করে কি না যে রাস্তায় গুলি খেয়ে মারা যাবো, ইরাক বা সিরিয়ার মতো? তখন আবার একযোগে সবাই বললাম, ‘না’। সেদিন ক্লাসে আমাদের স্যার বুঝিয়েছিলেন যে কোনো আলোচনায় কেনো প্যারামিটার বা নির্ণায়কগুলো ভয়ংকরভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলবো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মনে করে, ‘নামমাত্র বেতন দিয়ে গ্রাম থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা বেঁচে আছে কি নেই’ এটাই তাদের ‘নিরাপত্তা’ যাচাইয়ের প্যারামিটার বা নির্ধারক, তবে হ্যাঁ, আমরা তো তবে নিরাপদ বটেই। বুয়েটে আবরার মরলেও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তো আর কেউ অনিরাপত্তাজনিত কারণে মারা যায় নি। অজ্ঞাতনামা-বেওয়ারিশ ছেলেটার মর্গে পাওয়া লাশ একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা – নিঃসন্দেহে!

 

আরজু আফরিন ক্যাথি: শিক্ষার্থী, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

[ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে প্রকাশিত মুক্তমত লেখকের নিজস্ব বক্তব্য]