November 21, 2024
সাহিত্যফিচার ৩বই নিয়ে আলাপ

নারীবাদের প্রাথমিক ধারণা: প্রয়োজনীয় দশটি বই

উম্মে ফারহানা।। হুমায়ুন আহমেদ তাঁর হোটেল গ্রেভার ইন নামের স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি ছাত্র থাকা অবস্থায় একটা কোর্সে শূন্য পেয়ে তাঁর জেদ চেপে যায়, তিনি নিজের চেষ্টায় সেই বিষয়টি শেখেন। যদিও প্রফেসর বলেছিলেন সেই কোর্সটি ছেড়ে দিতে কেননা দেশে থাকতে যে লেখাপড়া তিনি করেছিলেন তাতে সেই কোর্সের বিন্দুবিসর্গ ছিল না। রসায়নের উচ্চতর কোন বিষয় যদি কোন রকম পূর্বধারনা ছাড়াই একা একা শেখা যায়, তাহলে অন্য যে কোন তাত্ত্বিক বিষয় নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া করে বোঝা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

নারীবাদ একটি তত্ত্ব হলেও এর আরো কয়েকটি মাত্রা আছে। এটি একাধারে একটি দর্শন, একটি সামাজিক আন্দোলন এবং একটি রাজনৈতিক অবস্থান। সে হিসেবে এটির বোঝাপড়া সামান্য জটিল। কিন্তু বই পড়ে বোঝা যাবে না, তা নয়।  এমন অনেক নারী আছেন যারা ব্যক্তি হিসেবে প্রতিবাদী কিন্তু নিজেকে নারীবাদী বলে দাবী করেন না। উদাহরণ হিসেবে নাইজেরিয়ান সাহিত্যিক বুচি এমেচেতার কথা বলা যায়। সারাজীবন নারীর সংগ্রাম আর নারীর প্রতি সামাজিক অবিচারের কথা উপন্যাসে লিখেছেন, স্বামী তাঁর প্রথম পান্ডুলিপি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন,সংসার ত্যাগ করেন তিনি। ইংল্যান্ডে একজন আফ্রিকান অভিবাসী কৃষ্ণাঙ্গ নারী হয়ে একা সন্তানদের মানুষ করার মতন প্রচন্ড সাহসী জীবনযাপন করার পরেও নিজেকে নারীবাদী বলতে তিনি নারাজ। তাঁর মতে ফেমিনিজম একটি পশ্চিমা ধারণা। এটি শ্বেতাঙ্গ নারীদের জন্য। আবার আরবের অনেক মুসলিম নারী, যারা কট্টর ইসলামী রাষ্ট্রে নারীর অধিকার আদায়ের জন্য লেখালেখি করে শরিয়া আইন সংস্কারের মতন কঠিন কাজ করে ফেলেছেন তাঁরাও একই যুক্তিতে নিজেদের নারীবাদী তকমা দিতে চান না।

তৃতীয় তরঙ্গের (Third Wave) নারীবাদীরাই সকল বর্ণ, ধর্ম, শ্রেণি, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সকল পেশা এবং রাজনৈতিক আদর্শের ধারক নারীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে নারীবাদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তাই নারীবাদ এখন আর একবাচক (Feminism) নয়, বহুবাচক (Feminisms)। এই আপাতদৃষ্টিতে পরস্পরবিরোধী এবং বহু শাখাপ্রশাখায় বিভক্ত ধারণাটিকে বুঝতে হলে একটু বেশি প্রয়াসের প্রয়োজন আছে  বৈ কি। জেন্ডার স্টাডিজের বিষয়বস্তু এখন আর শুধু নারীর প্রতি অন্যায় অবিচার কিংবা নারীর সামাজিক রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। পুরুষত্বের নির্মাণ এবং প্রয়োগ নিয়েও জেন্ডার স্টাডিজ মাথা ঘামায়। ঠিক ফেমিনিজমসের মতন ম্যাসকুলিনিটিজও এখন বহুবাচক (Masculinities)।

কিছুদিন আগে ‘পুরুষের কাজ কোনটি?’ শীর্ষক লেখায় সমাপ্তি টেনেছিলাম এই বলে যে ‘পুরুষের কাজ হলো সব জায়গায় বেটাগিরি করা’। বন্ধুদের মধ্যে দুই একজন লেখাটি শেয়ার দিয়েছিলেন। মন্তব্যে দেখলাম এই শেষ কথাটিতে অনেকের আঁতে লেগেছে। ‘বেটাগিরি’ বলতে অনেক ম্যাসকুলিনিটির মধ্যে হেজিমনিক ম্যাসকুলিনিটি বা আগ্রাসী পৌরুষকেই বুঝিয়েছি আমি, তাঁরাও ঠিকটিই বুঝেছেন, সেইজন্যেই একে একটি গালি হিসেবে নিয়ে ক্ষেপে গেছেন। আমি কিন্তু সরাসরি ‘পৌরুষ’ কিংবা ‘পুরুষত্ব’ শব্দগুলোকে সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছি। পৌরুষ বা ম্যাসকুলিনিটি কোন নেতিবাচক শব্দ নয় এবং হবেও না যদি আগ্রাসী পুরুষত্ব বাদে অন্যরকম পুরুষত্বও যে হয় তা আমরা জানি এবং বুঝি।
তো এই জানা বোঝার কাজটি ঠিকমত সম্পন্ন করার জন্য লেখাপড়ার বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি। জেন্ডার স্টাডিজের অসংখ্য বই আছে যার সবগুলো পড়া কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। আমার সীমিত লেখাপড়ার উপর ভিত্তি করে কিছু বইয়ের একটি তালিকা দিচ্ছি। বলে দেওয়া ভালো, এই তালিকার বইগুলো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের। নারীবাদ নিয়ে যারা ইতোমধ্যেই অনেক পড়ালেখা করেছেন তাঁদের তেমন কোন উপকারে হয়তো আসবে না।

১. হোয়াট ইজ পেইট্রিয়ার্কি? – কমলা ভাসিন
এটি খুব ছোট একটি বই, পিতৃতন্ত্র বলতে কী বোঝায় এবং সেটি কীভাবে কাজ করে তা প্রশ্ন এবং উত্তর আকারে লেখা। বইটির বাংলা অনুবাদ আছে পিতৃতন্ত্র কাকে বলে? শিরোনামে।

২. ফেমিনিস্ট থটস: এ মোর কম্প্রেহেন্সিভ ইন্ট্রুডাকশন – রোজমেরি টং
নারীবাদের মূল ধারাগুলোকে আলাদা আলাদা অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। অধ্যায়গুলো হলোঃ
লিবার‍্যাল ফেমিনিজম, র‍্যাডিক্যাল ফেমিনিজমঃ লিবারেটারিয়ান অ্যান্ড কালচারাল পার্সপেক্টিভস, মার্ক্সিস্ট অ্যান্ড সোশ্যালিস্ট ফেমিনিজমঃ ক্লাসিক অ্যান্ড কন্টেম্পোরারি, সাইকোঅ্যানালাইটিক ফেমিনিজম, কেয়ার ফোকাসড ফেমিনিজম, মাল্টিকালচারাল গ্লোবাল অ্যান্ড পোস্টকলোনিয়াল ফেমিনিজম, ইকোফেমিনিজম, পোস্টমডার্ন অ্যান্ড থার্ড ওয়েভ ফেমিনিজম।
অধ্যায়গুলোতে এই ধারাগুলোর উৎপত্তি থেকে শুরু করে বিকাশ এবং বর্তমান অবস্থা বিশদে আলাপ করা হয়েছে।

৩. ফেমিনিজম ইজ ফর এভরিবডি- বেল হুকস
এই বইয়ের ভূমিকায় লেখক বলেছেন নারীবাদ নিয়ে ভুল ধারণার অবসান ঘটাবার লক্ষ্যে তিনি বইটি লিখেছেন। যারা ভাবেন নারীবাদ শুধু নারীদের অধিকারের কথা বলে, পুরুষকে ঘৃণা করতে শেখায়, নারীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাঁদের অল্প কথায় নারীবাদীরা কী চান তা জানাবার জন্য এই বই। নারীবাদ কেন দরকার তা বোঝাতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে এটি আসলে শুধু পশ্চিমা শ্বেতাঙ্গ নারীর অধিকার আদায়ের অস্ত্র নয়, বরং সকল বর্ণ, শ্রেণি এবং নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের মানুষের জন্য দরকার। শ্বেতাঙ্গ নারীর সংকট আর কৃষ্ণাঙ্গ নারীর সংকট এক নয়। তাই ভগিনীবন্ধনের (sisterhood) ধারণা অনেক সময়ই কাজ করে না। কিন্তু নারীবাদীদের বুঝতে হবে যে পুরুষতন্ত্র আসলে নারীদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাজন তৈরি করে রাখে নিজেকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। সংগ্রামটি পুরুষের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে। নারীবাদী আন্দোলনকে আপাতদৃষ্টিতে পুরুষবিদ্বেষী মনে হলেও আসলে তা নয়। অনেক নারীও পুরুষতান্ত্রিক হন, জৈবিকভাবে নারী হলেই তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নারীবাদের পক্ষে কাজ করবেন এমন নয়।। জৈবিকভাবে পুরুষ হলেই কেউ নারীবাদীর শত্রু হয়ে যান না যতক্ষণ না তিনি পুরুষতান্ত্রিক আচরন করছেন। নারীবাদীদের মূল চাওয়া হল পুরুষতন্ত্রের অবসান ঘটানো।

৪. ফেমিনিজম ইজ… আলেক্সান্দ্রা ব্ল্যাক,লরা বুলার, এমিলি হয়েল,ডক্টর মেগান টড
এটিও বেল হুকসের বইটির মতন নারীবাদ কি এবং কেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করেছে, একই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য নারীবাদীদের জীবনী এবং নারীবাদী আন্দোলনে তাঁদের অবদান সংক্ষেপে বর্ণনা করেছে। নারীবাদ কী করে নোংরা শব্দ হয়ে গেল, কেন নারীবাদীদের কলংকিত করার চেষ্টা করা হয় সেসব থেকে শুরু করে হালের #MeToo আন্দোলন নিয়েও আলোকপাত করেছে এই গ্রন্থ। আকারে বড় হলেও অধ্যায়গুলো ছোট। কোন জটিল তাত্ত্বিক আলোচনা ছাড়াই সহজ ভাষায় লিখিত।

৫. উই শ্যুড অল বি ফেমিনিস্টস- চিমামান্দা ন’গোজি আদিচি
নাইজেরিয়ান লেখক চিমামান্দা আদিচির টেড টকে দেওয়া বক্তৃতার লিখিত রূপ এটি। নিজেকে নারীবাদী দাবী করতে গিয়ে যেসকল বাধার মুখে তিনি পড়েছেন সেই ঘটনাগুলোই বেশ মজা করে বলেছেন তিনি। ফেমিনিজম যে শুধু নারীকেই উপকৃত করে না বরং পুরুষের উপর থেকেও বোঝা কমায় সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন। নারীবাদের সঙ্গে আফ্রিকান সংস্কৃতির,বিবাহের বা সাজগোজের কোন বিরোধ নেই এবং যে কোন নারী বা পুরুষ যিনি পৃথিবীতে লিঙ্গবৈষম্য আছে বলে স্বীকার করেন এবং সেই বৈষম্য দূর করার ইচ্ছা রাখেন তিনিই নারীবাদী- তাই নারীবাদী তকমা নিয়ে দ্বিধান্বিত হবার কিছু নেই বলে মত দিয়েছেন আদিচি।

৬. ইন্ট্রোডিউসিং ফেমিনিজম – ক্যাথিয়া জেনাইনাটি অ্যান্ড জুডি গ্রোভস
এটি একটি গ্রাফিক গাইড। নারীবাদ শব্দটি উৎপত্তি হবার বহু আগে থেকে নারীবাদীদের সংগ্রাম শুরু হয়েছে। যুগে যুগে নারীরা সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে সকল লড়াই করেছেন এবং পৃথিবীর ইতিহাসকে পালটে দিয়েছেন সেসব সংক্ষিপ্তভাবে ইলাস্ট্রেশন আর ক্যারিকেচারের মাধ্যমে বর্ণিত।

৭. দ্য বিউটি মিথ: হাউ ইমেজেস অফ বিউটি আর ইউজড এগেনস্ট উইমেন- নাওমি উলফ
সৌন্দর্যের ধারণা নিয়ে এই বই একটি সার্বিক আলোচনা করেছে। সামাজিক প্রত্যাশা অনুযায়ী চেহারা আর শরীরের রূপ রঙ আকার আকৃতি বজায় রাখার জন্য নারীর অশেষ চেষ্টার নেপথ্যের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করেছে। নারী অর্থ উপার্জন শুরু করার পর থেকেই ভোক্তা, প্রসাধনী সামগ্রী, কসমেটিক সার্জারি ইত্যাদির ব্যয় বহন করা তার জন্য সহজ। তাই পুঁজিবাদ আর পুরুষতন্ত্র মিলে তৈরি করে এমন অনেক মিথ যা নারীকে বোঝায় যে শুধু মেধাবী হলেই চলবে না, তাঁকে হতে হবে সুসজ্জিত আর আকর্ষনীয়। নইলে পেশাজীবনেও পিছিয়ে পড়তে পারেন তিনি। ফ্যাট শেইমিঙের শিকার হয়ে প্রচুর নারী এনোরেক্সিয়া আর বুলিমিয়ার মতন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন সেটিও নারীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেরই ফসল।

৮. উয়োম্যান হেইটিং- আন্দ্রেয়া ডোয়ার্কিন
পৃথিবীর ইতিহাসে নারীকে সবসময় অপর (other) ধরে নেওয়া হয়েছে এবং চিত্রিত করা হয়েছে নেতিবাচকভাবে।যে কোন শক্তিশালী নারীকে ডাইনি বা খল হিসেবে দেখাবার এই প্রবণতা সকল ক্ষেত্রে দেখা যায়। রূপকথায় সৎমায়ের দ্বারা নির্যাতিত হওয়া স্নো হোয়াইট বা সিন্ডারেলার উদাহরণ দিয়ে লেখক দেখিয়েছেন যে নারী শুধু তখনই খুব ভালো যখন সে মৃত (সিন্ডারেলার আপন মা) বা মৃতপ্রায় (কাচের বাক্সে স্নো হোয়াইট), যখন সে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করে (সিন্ডারেলা) কিংবা চুপ করে অপেক্ষা করে (স্লিপিং বিউটি) কখন তাকে পুরুষ (কোন রাজপুত্র) এসে উদ্ধার করবে। সিন্ডারেলার আপন বাবা কেন নিজ কন্যাকে সৎমায়ের দ্বারা অত্যাচারিত হতে দিয়েছেন সেসবের কোন ব্যাখ্যা রূপকথায় থাকে না। শুধু নারীর খলত্ব, ধূর্ততা আর লোভকেই দেখানো হয়। রূপকথা থেকে চলচ্চিত্র- কোথাও এর ব্যতিক্রম হয় না। চলচ্চিত্রে নির্যাতনের শিকার নারীর যন্ত্রণা দেখে আনন্দ পান দর্শক। পুরুষ দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ছবিগুলো বানানো হয়, পর্দায় নারীকে ধর্ষিত আর নির্যাতিত হতে দেখে আনন্দ পাওয়া পুরুষেরা আসলে প্রচন্ড ঘৃণা করেন নারীকে। বাস্তবেও নারীকে অত্যাচার করে এবং শারীরিক মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে তৃপ্তি লাভ করেন সমাজের পুরুষেরা।

৯.  এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফেমিনিস্ট লিটারেরি থিওরি- এডিটেড বাই এলিজাবেথ কোয়ালেস্কি ওয়ালেস
এই বইটা বেশ বড়। শুধু তত্ত্ব বা প্রকরণই নয়, বিভিন্ন নারীবাদী লেখক আর তাত্ত্বিকদের সম্পর্কেও অল্প করে বর্ণনা রয়েছে। নারীবাদী তত্ত্বের বই পড়তে গিয়ে আটকে গেলে কোন টার্মের সংজ্ঞা আর ব্যাখ্যা বোঝার জন্য বেশ উপকারী এই বই।

১০. মেন এক্সপ্লেইন থিংস টু মি- রেবেকা সলনিট
এই সংকলনের প্রবন্ধগুলোতে লেখক আলোচনা করেছেন পুরুষেরা কী করে নারীর জ্ঞান, মেধা, সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা সবকিছুকেই অগ্রাহ্য করে। পরিবারের ইতিহাস লেখার সময় যেভাবে পিতামহ প্রপিতামহদের নাম লেখা হয় কিন্তু পিতামহী প্রপিতামহীদের নাম লেখা হয় না, মায়ের পরিবারের ইতিহাসের দিকে গেলেও যে কেউ মাতামহ প্রমাতামহদের নাম পাবেন কিন্তু মাতামহী প্রমাতামহীদের নাম পাবেন না- ঠিক একই ভাবে নারীর সকল প্রতিভা আর সম্ভাবনাকে অস্বীকার করাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মূল প্রবণতা। এমনকী নারী যখন তার প্রতি ঘটা যৌন নিপীড়নের কথা বলে, তখন  তাঁকে মিথ্যাবাদী বলা হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়, তাঁকে চরিত্রহীন বা বেশ্যা বলে ডাকা হয়। নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ হিসেবেও নারীর বুদ্ধিমত্তাকে খাটো করে দেখার প্রবণতাকেই দায়ী করেছেন লেখক।
এই তালিকার অধিকাংশ বইয়ের পিডিএফ পাওয়া যায়,আমার কাছেও আছে অনেকগুলো। কেউ নিতে চাইলে আমাকে ইমেইল করবেন,আমি পাঠিয়ে দেবো।
আমার ইমেইল ঠিকানা হলো ummefarhanamou@gmail.com

উম্মে ফারহানা: শিক্ষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ