November 2, 2024
জীবনের গল্প

পর্ব-১০: “একজন খদ্দের না পাইলে ভাত পাবো কোম্মে”

শাহাজাদী বেগম পেশাগত জীবনে একজন উন্নয়নকর্মী, ১৮ বছর ধরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। উনি বাংলাদেশে যৌনকর্মী ও শিশুদের মানবাধিকার রক্ষা, এইচআইভি ও এইডসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, পাচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গবেষনার কাজ করছেন। এই কাজগুলোর জন্য তাকে দেশের যৌনপল্লীগুলোতে অসংখ্যবার যেতে হয়েছে।  সেই অভিজ্ঞতাগুলোকেই গল্পে রূপান্তর করে লেখা  হয়েছে “গুহান্তরাল”, ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরে ধারাবাহিক আকারে প্রকাশ হচ্ছে। আজ পড়ুন এর দশম পর্ব।।

সকাল নয়টায় মংলা বন্দরে পৌঁছে গেল সুরমা, সাথে বিদেশি গবেষক স্টেফি এবং দোভাষী হিসেবে রুবেল। মংলা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। এটি পশুর ও মংলা নুলা দুটো নদীর  সাথেই অবস্থিত। সহযোগী সংগঠনের প্রোজেক্ট কোর্ডিনেটর সারোয়ার আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। তারা একটু সকাল সকালই এসেছে, যৌনকর্মীরা এত সকালে ঘুম থেকে ওঠে না। কিন্তু সারাদিনের কাজ শেষ করে আবার আজই খুলনা ফিরতে হবে তাই আগে আগে যাবার চেষ্টা তাদের। সুরমাদেরকে দাঁড় করিয়ে রেখে সারোয়ার ঘাটে একটা ট্রলার রিজার্ভ করে এসে তাদেরকে নিয়ে গেল। আশেপাশে  অনেক যাত্রীবাহী ট্রলার। এগুলোর উপরে রঙ্গিন কাপড়ের সামিয়ানা টাঙ্গানো। সামিয়ানার নিচে প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে যাত্রীরা বসে। স্থানীয়রা এগুলোকে জালি নৌকা বলে। সাধারনত কাছাকাছি এলাকাগুলোতে যাতায়াতের এটাই বাহন। তারা চারজন তাদের  জন্য ঠিক করা জালি নৌকাতে উঠে বসে, ঠিক তখনই সহযোগী সংস্থার আরো দুজন কর্মী আসে। তারা একসাথে বানিয়াশান্তা যৌনপল্লীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। জালি নৌকা ইঞ্জিনের শব্দ তুলে সামনের দিকে এগোতে থাকে।

অল্প কিছুক্ষণ পরেই নজরে আসে দূর সমুদ্রে নোঙ্গর করা জাহাজ। সারোয়ার স্টেফিকে বললো এই নদীতে শুশুক আছে। স্টেফি উৎসুক হয়ে চেয়ে আছে যদি দেখা যায়! এই সময় মাঝিদের একজন গান ধরলো

বন্ধু তোর লাইগা রে
বন্ধু তোর লাইগা রে
আমার তনু জড়জড়
মনে লয় ছাড়িয়ারে যাইতাম
থুইয়া বাড়ি ঘর
বন্ধু তোর লাইগা রে।
অরণ্য জঙ্গলার মাঝে
আমার একখান ঘর
ভাইয়ো নাই বান্ধবও নাই মোর
কে লইবো খবর হায়রে
বন্ধু তোর লাইগা রে।
বট বৃক্ষের তলে আইলাম
ছায়া পাইবার আশে
তাল ভাঙ্গিয়া রৌদ্র ওঠে
আমার কর্মদোষে
বন্ধু তোর লাইগা রে
নদী পাড় হইতে গেলাম
নদীরও কিনারে
নদীরও কিনার বানাইয়া
নদী পাড় হইতে গেলাম
নদীরও কিনারে
আমারে দেখিয়ারে নৌকা
সরে দূরে দূরে হায়রে
বন্ধু তোর লাইগা রে
সৈয়দ শাহ নূরে কান্দইন
নদীর কুলো বইয়া
পাড় হইমু পাড় হইমু কইরা
দিনতো যায় চলিয়া হায়রে
বন্ধু তোর লাইগা রে ।।

মাঝি খুব দরদ দিয়ে করুণ সুরে গান গাচ্ছে, একটা সময় তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ে। তার আবেগ দেখে স্টেফি জানতে চায় গানের সাথে তার কান্নার কী সম্পর্ক। মাঝি প্রেক্ষিতটা বলতে থাকে আর রুবেল ইংরেজীতে অনুবাদ করে দেয়, “দক্ষিনের জেলাগুলো দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। ঘূর্নিঝড় জলোচ্ছাস, নদীভাঙ্গন এসব লেগেই থাকে তাদের জীবনে। মৎস শ্রমিকেরা  ঘরে  আপনজন রেখে মাছের ট্রলারে সাগরে যায়। অনেকটা দিন সেখানে থাকে। তারপর মাছ নিয়ে এলাকায় ফিরে। সাধারনত এরা মহাজনের ট্রলারে কাজ করে, এদের নিজের কোন সরঞ্জাম থাকে না। এই যে তারা সাগরে মাছ ধরতে যায় সেখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে এবং অনেকেই মারা যায়। একজন মৎস শ্রমিক নতুন বিয়ে করা বৌকে রেখে সাগরে মাছ ধরতে যায়। বৌ’র খুব একা লাগে, বাড়ি ঘর ছেড়ে বরের কাছে চলে যেতে ইচ্ছে করে। নদীর পারে গিয়ে অপেক্ষায় থাকে। এমন সময় সাইক্লোন আসে। স্বামীর জন্য তার সেই উৎকণ্ঠা, কষ্ট, একাকীত্ব,  অপেক্ষা এসবের প্রেক্ষিতে এই গান তৈরি। স্টেফি নিজেও আবেগী হয়ে ওঠে। সামনে যেতে যেতে সারোয়ার বলে বানিয়াশান্তা যৌনপল্লী থেকে জালি নৌকায় আধাঘণ্টা সামনে গেলেই সুন্দরবনে ঢোকার জায়গা করমজলে যাওয়া যায়।

কথা বলতে বলতে আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে তারা পৌঁছে যায় যৌনপল্লীর সামনে। জালি নৌকা থেকে উঁচু পাড়ে ওঠার জন্য একটা বড় বাঁশের সাঁকো আছে যেন জোয়ার ও ভাটার যে কোন সময়ই সমস্যা না হয়। সুরমারা প্রকল্প অফিসে বসে। এখানেই দলীয় এবং একক আলোচনাগুলো হবে। প্রথম দলীয় আলোচনা শুরু হলে সুরমা বাইরে এসে দাঁড়ায়। স্টেফি নিজের মত আলোচনা করতে চায়। বসন্তের ঠিক আগের সময়, তবুও শীত শীত ভাব আছে। বাইরের নরম রোদে আরাম লাগে। ঢাকায় একদম শীত চলে গেছে।

“সুরমা আফা একলা খাড়াইয়া আছেন যে?”

সুরমা পিছনে তাকিয়ে দেখে অলিভিয়া হাসিমুখে তার দিকে তাকিয়ে আছে, চেহারাটা নষ্ট হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে। কেমন যেন  বয়স্ক লাগছে, অতিরঞ্জিত পাউডার মেখে গাঢ় লিপিস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছে। অথচ সে একসময়ের খুব সুন্দরী যৌনকর্মী হিসাবে দামী ছিল।

– অলিভিয়া কেমন আছেন?

– মোরা আর কেমন  থাকি আফা?

– কেন ? কী হয়েছে?

– কী আর হবে, কন? সিডর গেল, আইলা গেল, নদীর পাড় ভাংতি ভাংতি পাড়াডা গেরামে গিয়া ঠেকছে! কত তুফান গেলো মোগ উপরে দিয়া!! বেড়ি বাঁধডা যখন ভাংলো, তখন তিন মাস মোরা পানির মইধ্যে বন্দি আছিলাম।

– কীভাবে সামলেছেন? কোথায় ছিলেন তখন?

– তুফানের সময় যে যারে চেনে, আশে পাশের গেরামে তাগের কাছে চইলা গেলে। যাগের কেউ নাই তাগের মেম্বার সাবের বাড়িতে নিয়া গেলে। নিয়ে গেলে কি হইবে, অবস্থা আরো খারাপ হইলে। তখন সগলরে সাইকোলন শেলটারে নিয়া তোল্লে। ১০-১২ ডা মাইয়া যে কোম্মে গেলে, আর টোকাইয়া বাইর করতে পারলে না কেউ।

এমন সময় একটা জালি নৌকা এসে থামলো। বাঁশের সাঁকো দেওয়া এই ঘাটটা শুধুই এই যৌনপল্লীতে আসার জন্য। সুরমা বুঝলো এরা সকলেই কাস্টমার। ছেলে আর মধ্যবয়সী মিলে  দশজন নামলো ট্রলার থেকে, কেউ লুঙ্গি কেউবা প্যান্ট পড়া।

“আফা কাস্টমার ধরতে যাই”, বলেই অলিভিয়া দৌড়।

সাথে আরো প্রায় ১২-১৩ জন যৌনকর্মীও পুরুষগুলোর দিকে দৌড়ে গেলো। প্রত্যেকেই পুরুষগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। কোন কোন মেয়ে হাত ধরে টানাটানি করছে। খদ্দেরগুলো চোখ দিয়ে মেয়েগুলোকে মাপছে, কেউ কেউ ধরে দেখার চেষ্টা করছে মেয়েদেরকে। সুরমার মত মেয়েইতো এরা, নিজেদের রুজি রোজগারের জন্য কীভাবে মরিয়া হয়ে একেকজন মেয়ে ছোটাছুটি করছে! যে কাস্টমার পাচ্ছে সে মহাখুশি হয়ে কাস্টমারের সাথে জড়াজড়ি ক’রে তার সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে। সুরমা অপরাধীর মত মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো। এই সময়গুলোতে তার খুব কষ্ট হয়। কেন একজন নারীকে বেঁচে থাকার জন্য এমন কাজ করতে হয়? সে নিজের মধ্যে সেই অস্থিরতাটা টের পায়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে যে যার কাস্টমার নিয়ে ঘরে চলে গেল। একজনের পরিচিত কাস্টমার আরেক মেয়ের কাছে যাওয়াতে একটা মেয়ে তারস্বরে খিস্তি খেউর করছে। কিছু মেয়েরা নদীর পার ধরে দাঁড়িয়ে থাকলো কাছাকাছি আরেকটা জালি নৌকাকে আসতে দেখে। কিছুক্ষন পরেই সেটি এসে ঘাটে লাগে। মেয়েরা আবারো হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আবারো কিছুক্ষণ জটলা। তারপর যে যার ঘরে ঢোকে। কিছু মেয়ে তখনো নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকলো কখন আরেকটা জালি নৌকা আসবে সেই আশায়।

পর পর দুই নৌকা থেকে অলিভিয়া একটা খদ্দেরও জোটাতে পারলো না। সে খুব মন খারাপ করে সুরমার কাছে ফিরে আসে। “আফা পারলাম না। বেয়ানের বেলায় প্যাডে কিছু যায় নাই, রাইতেও পুরি আর চা খাইছি, দুগগা ভাত খাইতে মন চায়। একজন খদ্দের না পাইলে ভাত পাবো কোম্মে, কন?” সুরমার খুব খারাপ লাগে। সারোয়ার এসে সুরমাকে পুরি আর  চায়ের কথা বলে যায়। সে ক্ষুধার্ত অলিভিয়ার সামনে থেকে নড়তে পারে না। সারোয়ার আবার ডাকতে এলে সুরমা সারোয়ারকে বলে অলিভিয়াকে পরের দলীয় আলোচনাতে বসিয়ে দিতে, এক প্যাকেট খাবার আর ১০০ টাকা পাবে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক যৌনকর্মী। এটা কোন সমাধান না, কিন্তু তার নিজেকে খুব দুর্বল লাগে।

বানিয়াশান্তা যৌনপল্লী খুলনা জেলার দাকোপ থানায় অবস্থিত। ২০ বিঘা জমি নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই পল্লী।  নদীতে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন ১.৫ বিঘাতে ঠেকেছে। এখন এর স্থানীয় আনুমানিক মূল্য  ২২ লাখ টাকা। পুরো জমিটার মালিক ১৬ জন, ৫০টা বাড়িতে ১৬৪টা ঘর আছে। মোট বাড়িওয়ালী ৩৯ জন। এখানকার ঘরগুলো বাঁশ আর গোল পাতার ছাউনিতে তৈরি।

১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১৪৩ জন যৌনকর্মীর বাস এখানে। ৬ জন্য যৌনকর্মীর মায়েরাও যৌনকর্মী ছিল। ১১৮ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, ৭৭ জন সন্তানের মধ্যে বেশির ভাগই মায়েদের সাথে থাকে। ১৭ জন প্রাইমারি স্কুলে পড়ে যারা মায়ের কাছে থাকে তাদের মধ্যে। ৬ জন হাইস্কুল, ৩ জন মাদ্রাসায় এবং একজন কলেজে পড়ে, তারা প্রত্যেকেই শহরে আত্মীয়ের বাসায় থাকে।

৬টা এনজিও কাজ করে এদেরকে নিয়ে। এনজিওদের কাজের কারণে মেয়েরা এখন যে কোন জায়গায় ইচ্ছামত যেতে পারে। তবে বিড়ম্বনা হল এটা খুলনা জেলার মধ্যে কিন্তু বাগেরহাটের সবকিছু তাদের কাছে। কখনো কখনো প্রশাসনিক কাজের জন্য তাদেরকে ঝামেলায় পড়তে হয়, খুলনায় যেতে হয়। খুলনা শহর অনেক দূর তাদের জন্য। ২০/২৫ জন মেয়ের ব্যাংকে অ্যাকাউন্টও আছে। সঞ্চয় শিখছে, সঞ্চয়ের চেষ্টা করছে, যাদের আয় ভালো তারা।

তখন বেলা তিনটা, শেষ দলীয় আলোচনা প্রায় শেষের দিকে। সুরমা ভিতরে ঢুকতেই শুনতে পেল, মেয়েরা বলছে যদি দিন মজুর, মুদির দোকান কিংবা চিংড়ির ঘেরে তাদের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে তারা এই পেশা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে পারে। আলোচনা শেষ, মেয়েরা তখনও বসে আছে। সুরমা আর সারোয়ার স্টেফির কাছে বসলো, সারাদিনের কাজ নিয়ে স্টেফি কথা বলবে। এমন সময় প্রচণ্ড শোরগোল শুরু হল বাইরে, অনেক হৈচৈ শোনা যাচ্ছে। দলীয় আলোচনার মেয়েরা দৌড়ে বের হয়ে গেল। সুরমা কিছু বুঝতে পারলো না, একটু ভয় পেয়ে গেল কারণ সাথে বিদেশি আছে, তার নিরাপত্তা একটি বড় বিষয়। সে বাইরে এসে দাঁড়ায়। ১০/১২ টা জালি নৌকা একসাথে ঘাটের দিকে আসছে। সেগুলোর যাত্রীরা এবং পাড়ে থাকা মেয়েরা একসাথে আনন্দে হৈহৈ করছে। ওদিকে ট্রলারগুলোতে জোরে মাইক বাজছে।  ট্রলারগুলো যতই কাছে আসছে সুরমা খেলায় করলো সব অল্পবয়সী ছেলেপেলে, হাইস্কুল কিংবা কলেজে পড়ে। অনেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে। সবায় শার্ট প্যান্ট পরা।  তাদের সংখ্যা একশ’র বেশি। পাড়ের উপরেও শ’খানেক মেয়ে দাঁড়ানো। সব কিছু মিলে কী একটা অবস্থা!

সারোয়ার পাশ থেকে বললো, “আপা এরা পিকনিক পার্টি। সুন্দরবনে পিকনিকে গিয়েছিল, ফেরার পথে এখানে আনন্দ করতে এসেছে। এখানকার ক্লায়েন্টরা পোর্টে কাজ করা লোকজন এবং ট্যুরিস্ট। এখন পিকনিকের সিজন। প্রতিদিন কয়েকটা করে পিকনিক পার্টি যাওয়া কিংবা আসার পথে এখানে থামে।”

ট্রলারগুলো থামে, শতাধিক খদ্দের আর শতাধিক যৌনকর্মীর মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। এমন দৃশ্য সুরমা আগে কখনো দেখেনি। সে তব্দা খেয়ে তাকিয়ে থাকে, এতটুক ছেলেগুলো…!

সারোয়ার বলে, “আপা, ভিতরে চলে আসেন।”

 

[চলবে]

[চলবে]

পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব- পর্ব-২: খানকিগো আবার দাফন কীসের?

পর্ব-৩: টাঙ্গাইলের পুণ্যভূমিতে পাপীষ্ঠাদের আর জায়গা হবে না

পর্ব-৪: ‘ভালো হইতে চাইছিলাম, দিলেন কই?’

পর্ব-৫: ‘আমরা তো খারাপ কাজ করি, তাই দোয়া চাই আল্লাহর কাছে’

পর্ব-৬: ‘পিন্দনের কাপড় খুইলা টাকা কামাই, পিন্দনেরই কাপড় কেনার লাইগা’

পর্ব-৭: ‘সমাজে যেমুন ব্যাডারা বউরে পিডায়, আমাগোও বাবুরা মারে’

পর্ব-৮: ‘সারাদিন ভালবাসলো, সন্ধ্যায় যৌনপল্লীতে নিয়া বেইচা দিয়া গেল’

পর্ব-৯: ‘‘এই যৌনপল্লীর মাইয়াগো উন্নতি করতে চাই”

পর্ব-১০: “একজন খদ্দের না পাইলে ভাত পাবো কোম্মে”

পর্ব-১১: ‘আমি ভালোবাসি মাইয়াগো, ব্যাডাগো সাথে শুইলে আমার গা গোলায়!’

পর্ব-১২: “এসএসসি’র নিবন্ধনের সময় মাইয়ারে নিজের বইলা স্বীকৃতি দিলো”

পর্ব-১৩: “যৌনপল্লী না থাকলে সমাজে কোন পরকীয়া, সুইসাইড থাকবে না”

পর্ব-১৪: টিকে থাকাই জীবন, বেঁচে থাকাই জীবন

পর্ব-১৫: যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বঙ্গবন্ধুরে মারল; এইসবের মইধ্যেও ওগো মাইয়া মাইনষের শরিল লাগে

শেষ পর্ব: আমার আকাশে পাখি হয়ে উড়বেন?