‘আমরা এমন একটি বিশ্ব চেয়েছিলাম, যাকে সহজে ভালবাসা যায়’
আমেরিকান দার্শনিক এবং লিঙ্গ তাত্ত্বিক জুডিথ পামেলা বাটলার; রাজনৈতিক দর্শন, নীতিশাস্ত্র, নারীবাদ, কুইয়ার তত্ত্ব, সাহিত্য তত্ত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর সুদূরপ্রসারী প্রভাব। তার রচিত ‘জেন্ডার ট্রাবল’ বইটি পৃথিবী বিখ্যাত। তিনি সমকামী অধিকার আন্দোলনের সমর্থক এবং ইজরায়েলি রাজনীতির সমালোচক। বহুমুখী জ্ঞানের অধিকারী এই বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে ‘দ্য গার্ডিয়ান’, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ এ। ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের পাঠকদের জন্য জুডিথ বাটলারের সাক্ষাৎকারটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন কাজী নাজীফা লামিনূর।।
‘জেন্ডার ট্রাবল‘ বইটি প্রকাশের ৩১ বছর হয়ে গেছে। বইটি প্রকাশের উদ্দেশ্য কি ছিল?
বিষমকামীতা সম্পর্কে আমাদের যে অনুমান তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এই বইয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় এটি লিঙ্গ বিভাগ (Gender Categories) সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট করছে। একজন ‘নারী’ সম্পর্কে পূর্বে যে ধারণা ছিল, সময়ের সাথে সাথে সে ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে। কারণ পরিবর্তনশীল সমাজের সাথে আমাদের ধারণায়ও পরিবর্তন আসে এবং এই পরিবর্তনকে সাথে নিয়ে এগোনো দরকার। রাজনৈতিকভাবে নারীর স্বাধীনতা রক্ষা ও নতুন সম্ভাবনা তৈরির জন্য নারী সমাজের শ্রেণি নিয়ে আমাদের মনযোগী হতে হবে। সেক্ষেত্রে লিঙ্গের আদিম অর্থ বা ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে কারণ এগুলো নিয়ে আবারো ভাবা হচ্ছে।
এখন ট্রান্স নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নারীদের শ্রেণিবিভাগ প্রসারিত হলে সেখানে আমাদের বিরোধিতা করা উচিত নয়। ঠিক একইভাবে, যেহেতু আমরা পুরুষশাসনের বিকল্প ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছি, তাই ট্রান্স পুরুষদের “পুরুষ” শ্রেণিতে যুক্ত করার বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক হওয়া উচিৎ।
জেন্ডার ট্রাবলের ‘Performativity’ (কর্মদক্ষতা)-এর মূল ধারণা নিয়ে যদি কথা বলি, দেখা যায় যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেন্ডার কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে, বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেছিলেন?
সেই সময়ে আমি মত প্রকাশের আইন বিষয়ে খুব বিতর্ক করতাম। “পারফরমেটিভ” মতপ্রকাশ একটি নতুন বাস্তবতা তৈরি করে। যেমন, একজন বিচারক যখন রায় ঘোষণা করেন তার সে রায় কার্যকর করার ক্ষমতা থাকে। কিন্তু আমরা কি বলি যে বিচারক সর্বশক্তিমান? না, কারণ তারা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে পদক্ষেপ নেন, মনোনীত কর্তৃপক্ষ হিসাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। এখানে পুরো কাজটিই সম্পন্ন হয় প্রতিষ্ঠিত আইন কানুনের আওতায়।
এটি কীভাবে লিঙ্গের সাথে সম্পর্কিত?
প্রায় ত্রিশ বছরেরও বেশি আগে আমি খেয়াল করেছি যে, মানুষ সচেতন বা অবচেতনভাবে নিজেদেরকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে লিঙ্গ প্রথার অনুশীলন করে। অর্থাৎ আমরা কেউই সামাজিক-সাংস্কৃতিক নিয়মগুলো সম্পূর্ণ এড়াতে পারি না। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের মধ্যে কেউই কিন্তু সম্পূর্ণরূপে সাংস্কৃতিক নিয়ম দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। সে কারণেই লিঙ্গ একটি আলোচনা হয়ে দাঁড়ায়, সংগ্রামে রূপ নেয়, আদিম সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা ও নতুন বাস্তবতা সৃষ্টির উপায় হয়ে ওঠে। যখন আমরা “মেয়ে” হয়ে জন্মাই, তখন আমরা মেয়েলি একটি রাজ্যে প্রবেশ করি যা দীর্ঘকাল ধরে গড়ে উঠেছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রথা, যা সমাজের মধ্যে মেয়েসুলভ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এই বেঁধে দেয়া নিয়ম আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় এবং আমাদের তা মেনে নিতে হয়। কিন্তু আমরা সেই সামাজিক বাস্তবতা পরিবর্তনের চেষ্টাও করি না।
আজকের কুইয়ার তত্ত্ব অনেকটাই ‘জন্ম থেকে নির্ধারিত‘ লিঙ্গ সম্পর্কে কথা বলে। কিন্তু আপনি এখানে বেশ ভিন্ন অর্থ দেখিয়েছেন বলে মনে হয়।
লিঙ্গ এমন একটি নির্ধারিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার প্রভাব মানুষকে জীবনভর বয়ে বেড়াতে হয়। আমাদের জন্মের পর একটি লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয় এবং পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী আচরণ প্রত্যাশা করা হয়। সমাজে নির্মিত এই ধারণাগুলো অনেক শক্তিশালী, যার দরুণ একজন মানুষকে নির্ধারিত লিঙ্গের চর্চা করতে বারবার বাধ্য করা হয়। এখন সময় হয়েছে সামাজিকভাবে সংগঠিত এই নিয়মগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার।
সম্ভবত আমাদের উচিৎ লিঙ্গকে জন্মগত বা প্রাকৃতিক হিসাবে দেখা, যেমন, যৌন পরিচয় (sexual identity) এবং এর অনুকূলে যায় এমন যেকোনো ধারণা। এখনো লিঙ্গ একটি নির্ধারিত বিষয় হয়েই আছে। তবে আমরা এখান থেকে বের হতে পারি, লিঙ্গকে স্ব-নির্ধারিত ধারণায় পরিণত করতে পারি এবং সেখানে আইনি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে লিঙ্গ পুনর্নির্ধারণের সুযোগ থাকতে পারে।
মানুষের পরিচয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আজকাল আমাদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আপনি কী করতে চাইবেন?
আমি মনে করি যে আমরা কীভাবে “কেন্দ্রীয়তা” বুঝতে পারি তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার নিজস্ব রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো, পরিচয় রাজনীতির ভিত্তি হওয়া উচিত নয়। জোট এবং সংহতি হল একটি সম্প্রসারিত বামপন্থার মূল শর্ত। এবং আমাদের জানতে হবে আমরা কেন লড়াই করছি এবং কীসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।
বাধ্যতামূলকভাবেই আমরা সকল সামাজিক পার্থক্য নিয়ে কাজ করি এবং আমরা সামাজিক শক্তির জটিল হিসাব তৈরি করি। যে হিসাব আমাদেরকে দরিদ্র, নিরাপত্তাহীন, ক্ষমতাচ্যুত, এলজিবিটিকিউআই জনগণ, শ্রমিক এবং যারা বর্ণবাদ ও ঔপনিবেশিকতার শিকার, তাদের সকলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। এগুলো সবসময় পৃথক গোষ্ঠী বা পরিচয় নয়, বরং পরাধীনতার বিরোধী রূপ যা বর্ণবাদ, পুঁজিবাদ, মিসোজিনি, হোমোফোবিয়া, ট্রান্সফোবিয়ার বিরোধীতা করে।
আপনার নিজের লিঙ্গ পরিচয় কীভাবে আপনার রাজনৈতিক তত্ত্বকে অবহিত করেছে?
আমার উপলব্ধি হলো, আমার “লিঙ্গ পরিচয়” যাই হোক না কেন, সেটি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছিলাম আমার পরিবার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এখন আমি আমাকে সংজ্ঞায়িত করার উপায় খুঁজে পেয়েছি। যেকোনো সম্বোধনই আমি উপভোগ করি। মাঝেমাঝে অবাক হই, কারণ অনেকেই তাদের নিজস্ব সম্বোধন নির্ধারণ করে, এমনকি তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে আমি কোন সম্বোধন পছন্দ করি। আমার কাছে সহজ উত্তর নেই। যখন আমি ‘জেন্ডার ট্রাবল’ লিখেছিলাম, তখন নিজেকে কোনো লিঙ্গশ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত করতে পারিনি, কিন্তু এখন সেই পথ মুক্ত হয়েছে।
আপনি প্রায়শই বিশ্বজুড়ে অনেকের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। ২০১৪ সালে ফ্রান্সে সমকামী বিবাহবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ‘থিওরি ডু জনরা‘ – লিঙ্গ তত্ত্বের নিন্দা করে রাস্তায় মিছিল করেছিল। আপনি এ বিষয়ে কী বলবেন?
লিঙ্গ-বিরোধী মতাদর্শ আন্দোলন একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন, এখানে জোর দিয়ে বলা হয় যে যৌনতা জৈবিক এবং বাস্তব, অথবা যৌনতা ঐশ্বরিকভাবে নির্ধারিত এবং সেই লিঙ্গ একটি ধ্বংসাত্মক কল্পকাহিনী, যা “মানুষ”, “সভ্যতা” এবং “ঈশ্বর” উভয়কেই ধ্বংস করে। এই আন্দোলন একযোগে নারীবাদী, হোমোফোবিক এবং ট্রান্সফোবিক, প্রজনন স্বাধীনতা এবং ট্রান্স অধিকার উভয়েরই বিরোধিতা করে। এটি জেন্ডার স্টাডি প্রোগ্রামকে পরখ করতে চায়, লিঙ্গকে গণশিক্ষা থেকে বের করে দেয়, কিন্তু বিষয়টি তরুণদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যৌন স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতাকে লিঙ্গ বৈষম্য এবং যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে উপস্থাপন করা দরকার।
আপনি সবসময় বলেছেন যে আপনার লিঙ্গ তত্ত্ব শুধুমাত্র পণ্ডিতদের বিতর্কের জন্য নয় বরং তা লেসবিয়ান এবং গে সম্প্রদায়ের জন্য সহায়ক। ১৯৯০ থেকে আপনি অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তাবিদ হয়ে উঠেছেন। আপনি চলে আসার পর কতটা পরিবর্তন হয়েছে?
আমি এখনো আছি, কাজ করছি। ১৪ বছর বয়সে আমার বাবা-মা আমাকে ত্যাজ্য করেছিলেন। তাই, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাকে নানাভাবে ছেলেসুলভ, কুইয়ার, ট্রান্স হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি ১৯৭০-৮০ এর সময়টাতে গে এবং লেসবিয়ান বারগুলির প্রতি আগ্রহী ছিলাম। আমি তখন উভকামীদের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের বাধাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম৷ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের লড়াই সম্পর্কে জানতে আমি উভকামী গোষ্ঠীর সাথে দেখা করেছি, ট্রান্সজেন্ডার এবং অন্যান্য লিঙ্গের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আরও সতর্ক হয়েছি। আমি সবসময় অপ্রাতিষ্ঠানিক অ্যাক্টিভিস্ট দলের সাথে জড়িত ছিলাম এবং এটি আমার জীবনের একটি চলমান অংশ।
ক্যুইয়ার (queer) শব্দটির প্রচলন হওয়ার আগে র্যাডিকাল গে এবং লেসবিয়ান রাজনীতির দ্বারা কী ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছিল?
আমার যৌবনের বিক্ষোভগুলো ছিল মুক্তির অধিকার নিয়ে, সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তবে আমরা সহিংসতার ভয় ছাড়াই প্রকাশ্যে নিজের দেহে বেঁচে থাকার সম্মিলিত অধিকারের জন্য লড়াই করেছি, হারিয়ে যাওয়া জীবন এবং ভালবাসার জন্য প্রকাশ্যে শোক পালনের অধিকার চেয়েছি। এইচআইভি আসার পর এবং “অ্যাক্ট আপ” এর আবির্ভাব হওয়ার পরে এই সংগ্রামটি খুব নাটকীয় রূপ নেয়। কুইয়ার আমার কাছে কখনোই পরিচয় ছিল না, কিন্তু হোমোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার একটি উপায় ছিল এটি। তখন এই পরিচয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। এই বিক্ষোভগুলি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জনস্বাধীনতার অধিকার এবং বৈষম্য ও সহিংসতার বিরোধিতা করার উপর দৃষ্টি আরোপ করে – আমরা এমন একটি বিশ্বে বাস করতে চেয়েছিলাম যেখানে কেউ শ্বাস নিতে পারে, চলাফেরা করতে পারে এবং আরও সহজে ভালবাসতে পারে। আমরা আত্মীয়তা, সম্প্রদায় এবং সংহতির নতুন রূপ তৈরি করেছি, তা যত ছোট পরিসরে হোক না কেন। আমি বিক্ষোভে গিয়েছিলাম কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়েও কাজ করেছি, বুঝতে পেরেছি সেই সীমাগুলো সম্পর্কে। এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে বর্ণবাদ, অর্থনৈতিক অবিচার এবং ঔপনিবেশিকতার সমানভাবে বিরোধিতাকারী বিস্তৃত জোটগুলি যে কোনো বিচিত্র রাজনীতির জন্য অপরিহার্য। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি এখন কীভাবে কাজ করে মার্কসবাদের গোষ্ঠীতে, কুইয়ার্স ফর ইকোনমিক অ্যান্ড রেসিয়াল জাস্টিস, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্যুয়ার্স, ‘আলকাওস, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী দখলদারিত্ব এবং হোমোফোবিয়ার বিরুদ্ধে।
আজকের রাজনৈতিক জীবন ও নারীবাদের মধ্যে কিভাবে তুলনা করবেন?
এখন আমি বিশেষ করে কুইয়ার এবং নারীবাদী আন্দোলনের প্রশংসা করি। যে আন্দোলন স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাকে জনসাধারণের জন্য সহজলভ্য করে, পুঁজিবাদের বিরোধিতা করে, জাতিগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং যা পৃথিবী ও আদিবাসীদের ধ্বংসের বিরোধিতা করে সেই আন্দোলনের সাথে আমি সবসময় থাকবো। জসবির পুয়ার, সারা আহমেদ, সিলভিয়া ফেদেরিকি, অ্যাঞ্জেলা ডেভিসের কাজ থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এই আন্দোলন সম্পর্কে। আরো আছে নি-উনা মেনোসের মতো আন্দোলন। এখন সবার বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যদিও সময়টা হতাশার কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি মহামারীর অধীনে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য তীব্র হচ্ছে।
অনেক লিঙ্গ তাত্ত্বিক তাদের উপর আপনার কাজের প্রত্যক্ষ প্রভাব নিয়ে লিখেছেন, জুলিয়া সেরানোর একটি কবিতা পাঠে আপনার যোগদানের বেপরোয়া বর্ণনা থেকে শুরু করে ‘ফাক জুডিথ বাটলার!‘ লাইনটি অন্তর্ভুক্ত ছিল, জর্ডি রোজেনবার্গের নিমজ্জিত প্রতিফলন ‘মা দিবসে লিঙ্গ সমস্যা‘। একজন বুদ্ধিজীবী সেলিব্রিটি হয়ে এসব বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আপনি কেমন বোধ করেছেন?
আমি আমার নামের পাশে বেঁচে থাকার কারণ খুঁজে পেয়েছি। এবং এটা যে সহায়ক তা প্রমাণিত। আমি জানি যে অনেক কুইয়ার এবং ট্রান্স লোক তাদের নামকে অনেক গুরুত্বের সাথে লালন করে এবং আমি এটাকে সম্মান করি। তবে আমার বেঁচে থাকা সম্ভবত আমার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে, নামের উপর নয়।