May 15, 2024
সাহিত্যফিচার ৩প্রবন্ধ

পথের পাঁচালী-সত্যজিতের জাদুর কবিতা

লিখন চন্দ্র দত্ত ।। 

বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র স্রষ্টা সত্যজিত রায়ের প্রথম ছবি পথের পাচাঁলি। রটেন টমেটোর ৯৮% ফ্রেশ রেটিংস পাওয়া পথের পাচাঁলির ঝুলিতে আছে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ কান, বার্লিন, রোম, জাপান এর মতো ১১টি প্রধান চলচ্চিত্র উৎসবের ঈর্ষণীয় সব পুরস্কার।পথের পাচাঁলি নির্মাণ তখন সত্যজিতের পক্ষে আকাশে অট্টালিকা নির্মাণের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। কিন্তু নিজের শেষটুকু দিয়ে সেই কল্পনাকে তিনি পরিণত করেছিলেন বাস্তবে, নির্মাণ করেছিলেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মাইলফলক। ২রা মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে চলুন আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিই দড়ি দিয়ে বাঁধা বাতিল ফিল্ম ক্যামেরায় তোলা ছবি পথের পাচাঁলির উপর।

Calcutta Film Socity’র সুবাদে নানান দেশের নানান ধাঁচের ছবি দেখে, বিখ্যাত চিত্রপরিচালকদের ছবির গুণাগুণ নিয়ে বিস্তর পড়াশুনো করে চলচ্চিত্র সম্বন্ধে সত্যজিতের বুনিয়াদটা হয়েছিল পাকা। সেটা ১৯৪৪ সালের কথা। সত্যজিৎ কাজ করতেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডি  জে  কিমার-এ। সেখানে তাঁকে দেওয়া হল পথের পাচাঁলির শিশুতোষ সংস্করণ-আম আঁটির ভেপু’র অলংকরণের ভার। সেটা করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন পথের পাচাঁলির সরলতা, এর কাব্যময়তার একটি বিশেষ স্থান আছে সিনেমায়। ফলে ১৯৪৬-১৯৪৭ সালের দিকে যখন উনি সত্যি-সত্যি ছবি করার কথা ভাবছিলেন তখন পথের পাচাঁলির কোনো বিকল্প ছিল না। সত্যজিৎ যখন চলচ্চিত্র নির্মান করার কথা ভাবছেন ঠিক তখনই ১৯৪৯ সালে The River ছবির শুটিং করতে কলকাতায় আসেন বিখ্যাত ফরাসী চিত্রপরিচালক জ্যঁ রেনোঁয়া। সত্যজিৎ কাজের ফাঁকে ফাঁকে লোকেশন খোঁজার কাজে তাঁকে সাহায্য করতে লাগলেন। একদিন উপন্যাসের আগাগোড়া ব্যাখ্যা করে পথের পাচাঁলি সর্ম্পকে তাঁর অভিমত জানতে চাইলেন। পথের পাচাঁলির Theme রেনোঁয়াকে আশ্চর্যজনকভাবে নাড়া দিয়েছিল। তিনি ছবিটা করার জন্য পুরোদস্তুর উৎসাহ দিলেন সত্যজিৎকে। এরপর ১৯৫০-এর গোড়ায় ডি জে কিমার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সত্যজিৎকে পাঠানো হয় লন্ডনে। লন্ডনে মস্ত বড় সুবিধা ছিল কাজের ফাঁকে ইউরোপের new released ছবিগুলো দেখার। লন্ডনে থাকাকালীন ছ’মাসে তিনি প্রায় শখানেক ছবি দেখে ফেললেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইতালীয় পরিচালক ভিত্তরিও ডি’সিকার Neorealist ছবি Bicycle Thieves। এই ছবিটি প্রমান করেছিল – কোনো তারকা কিংবা পেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়া সাধারণ পাত্র-পাত্রীদের দিয়ে অভিনয় করিয়ে কেবলমাত্র লোকেশনের উপর ভিত্তি করে সফল ছবি তৈরি করা সম্ভব। পরবর্তিতে ১৯৮৪ সালের এক লেকচারে সত্যজিৎ জানান –Bicycle Thieves দেখে বের হওয়ার সময় তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন দেশে ফিরে যেমন করেই হোক সিনেমায় হাত দিচ্ছেন।

লন্ডন থেকে ফিরে ছবি করার জন্য আদাজল খেয়ে লাগলেন সত্যজিৎ। ছবি আঁকব বললে ছবি আঁকা যায় বটে কিন্তু মুশকিল হলো ছবি করব বললেই করা যায় না। ছবি করার পূর্বশর্ত হলো ক্র ও বাজেট। পথের পাচাঁলিতে পাত্র-পাত্রী হিসেবে যাদের পাওয়া গেল তারা সব আনকোড়া নতুন মুখ। আর কলাকুশলী কেউই আগে কোনো দিন কোনো ছবিতে কাজ করেননি (যেমন ধরো ২১ বছর বয়সী ক্যামেরাম্যান সুব্রত মিত্র আগে কোনোদিন কোনো ফিল্ম ক্যামেরাই চালাননি!)। তবে এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে অপেশাদারদের নিয়ে কাজ করা হলেও তাদের কাজ কিন্তু নিতান্ত খেলো হয়নি আর এই কথাটা পথের পাচাঁলিতেই প্রমাণিত হয়েছে। এর পরের ভাবনা ছিল বাজেট নিয়ে। কোনোভাবেই কোনো প্রযোজককে ছবিতে বিনিয়োগে রাজি করানো যাচ্ছিল না। তাদের যুক্তি ছিল – ছবিতে মার মার-কাট কাট কোনো দৃশ্য নেই, কোনো তারকা অভিনয় করছে না, ছবিতে কোনো গান নেই।

এদিকে অর্থের কোনো ব্যবস্থা হবার আগেই আরেক বিপদ এসে হাজির হল। কথায় আছে না – এক মাঘে কখনো শীত যায় না – খানিকটা সেরকম আরকি। কল্পনা মুভিজ বলে এক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রযোজক এসে ধরনা দিলেন লেখক বিভুতিভূষণের (ততদিনে উনি আর বেঁচে নেই) স্ত্রীর কাছে। তিনি ভদ্রমহিলাকে মোটা টাকা অফার করে বললেন ছবির স্বত্বটা তাকে দিতে কারণ উনি দেবকী বসুকে (তখনকার দিনে কলকাতার নামী পরিচালক) দিয়ে সিনেমাটা করাবেন। এখানে এসে ধন্যবাদের সবটুকুই কিন্তু ভদ্রমহিলার প্রাপ্য। উনি সেই প্রযোজককে ফিরিয়ে দেন কারণ ইতিমধ্যে তিনি সত্যজিৎ রায়কে কথা দিয়ে ফেলেছেন (যদিও অর্থের কোনো কথা তখনো হয়নি)।

বহু কাটখড় পুড়িয়ে রানা দত্ত নামে এক প্রযোজককে রাজী করানো গেল। কিন্তু পরপর অনেকগুলো সিনেমা আর্থিক সফলতার মুখ না দেখায় কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হাত গুটিয়ে নিলেন। ফলে সিনেমা ঠিকমতো শুরু হবার আগেই বন্ধ হবার যোগাড় হলো। কিন্তু ছবির কিছু গুরুত্বপূর্ণ শট যদি মুনশিয়ানার সাথে তোলা যায় তাহলে সেগুলো দেখিয়ে অপেক্ষাকৃত সহজে কোনো প্রযোজককে রাজি করানো যায়।এই ভাবনা থেকে সত্যজিৎ শুটিং বন্ধ করলেন না। শুটিংয়ের অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে তিনি ফিরে গেলেন তার পুরনো পেশায় (কর্মাশিয়াল আর্ট)। জীবনবীমা ভাঙ্গিয়ে, সংগ্রহের পুরনো গ্রামোফোন রের্কড, এমনকি স্ত্রী বিজয়ার গয়না পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হলেন।তখন হলো কি, যতক্ষণ সত্যজিৎ কিংবা ম্যানেজার অনীল চৌধুরী অর্থের কোনো ব্যবস্থা করতে পারছেন, ততক্ষণ শুটিং চলত – এরপর বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু এভাবে বেশি দিন চালানো গেল না। অচিরেই সমস্ত অর্থ ফুরিয়ে সিনেমা বানানোর পথ বন্ধ হলো। ছবির এই অনিচ্ছাকৃত বিরতিতে কিন্তু হয়েছিল শাপে-বর। এ সর্ম্পকে সত্যজিৎ বলেছেন – যখন অর্থের অভাবে ছবির কাজ বন্ধ থাকত তখন ছিল আমাদের শিক্ষানবীশির সময়। আমরা তোলা ফুটেজগুলো বারবার দেখতাম আর ভুলগুলো খুঁজে বার করতাম। আমাদের সৌভাগ্য যে ছবির ভুল-ত্রুটি যা কিছু ঘটেছে তা সব গোড়াতে এবং সেগুলো গোড়াতেই সমাধান হয়ে গিয়েছিল।

এভাবে পুরো এক বছর সময় পেরিয়ে গেলেও শুটিং চালু হবার কোনো উপায় দেখা গেল না। কিন্তু ছবির টেকনিক্যাল জিনিসগুলো অপরিবর্তিত থাকলেও natural কিছু জিনিস আছে যেগুলো থেমে থাকার নয়। এগুলো নিয়ে সত্যজিৎ রীতিমত বারো মাসই চিন্তায় ছিলেন। পরে উনি বলেছিলেন ৩টি miracle পথের পাচাঁলীকে ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

৮০ বছর বয়সী অসুস্থ ইন্দির (চুনিবালা দেবী) মারা যাননি।

বাড়ন্ত বয়সী দূর্গার তেমন কোনো শারীরিক পরিবর্তন ঘটেনি।

অপুর গলার স্বরের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

এবারে সত্যজিৎ রায়ের মা (সুপ্রভা দেবী) তার এক পরিচিতের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়কে অনুরোধ করলেন ছবির ব্যাপারে, যদি কোনো ঋণের ব্যবস্থা করা যায়। অবশেষে পাকাপাকিভাবে কাজ হলো। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি আমলারা বসলেন ছবি দেখতে। কিন্তু এখানে ঘটে গেল এক মজার কাণ্ড। পরস্পর সর্ম্পকহীন ক্লিপগুলো দেখে তাঁরা ভুলে ভেবে বসলেন এটা কোনো ডকুমেন্টরি ছবি হবে। কাজেই লোনটা দেওয়া হল চলচ্চিত্র উন্নয়ন খাত থেকে নয় বরং সড়ক উন্নয়ন খাত থেকে – ছবির নামের সাথে সড়কের সর্ম্পক ছিল বলে!

শেষ পর্যন্ত সত্যিকার অর্থেই শুটিং শুরু হল। তখন (১৯৫৪ সালে) নিউ ইয়র্কের Museum of Modern Art (MoMA)’র প্রধান মনরো উইলার কলকাতায় ছিলেন। তিনি সত্যজিৎ সর্ম্পকে শুনে আগ্রহবোধ করলেন এবং তার সাথে দেখা করে ছবি সর্ম্পকে বিশদ জানতে চাইলেন। সত্যজিতের সাথে আলাপচারিতায় ও অসমাপ্ত ছবিটির ফুটেজ দেখে উইলার পথের পাচাঁলিকে উচূুদরের শিল্পীর কাজ বলে আখ্যায়িত করলেন। এরই ছ’মাস পরে The man who would be king ছবির লোকেশন খুঁজতে পশ্চিমবঙ্গে আসেন বিখ্যাত মার্কিন চিত্রপরিচালক John Huston। লন্ডন থেকে উইলার তাঁকে অনুরোধ করলেন একবার গিয়ে সত্যজিতের কাজের অগ্রগতি দেখে আসতে, সত্যজিৎ তাঁকে দেখালেন অপু-দূর্গার ট্রেন দেখার বিখ্যাত সেই দৃশ্য। Huston কাজের মাত্রা দেখে একেবারে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন। Huston ফিরে যাবার পর MoMA’তে লোকেরা Huston এর মুখে এককথায় জানতে পারল – A major talent is on the horizon (তাঁর এই ভবিষ্যৎবাণী যে অক্ষরে-অক্ষরে ফলেছিল সেটাও কি আর বলে দিতে হবে?) Huston এর এই প্রতিক্রিয়ার ফলে MoMA অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে চিত্রনির্মাণে সত্যজিৎকে সহায়তা করেছিল।

বহুদিন ধরে বহুপথ ঘুরে ১৯৫৫ সালের ৩রা মে পথের পাচাঁলি MoMA তে মুক্তি পেল। MoMA তে বেশ সাড়া পাওয়া গেল। ২৬শে আগস্ট বাণিজ্যিকভাবে কলকাতায় মুক্তি দেওয়া হল। দুর্ভাগ্যবশত মুক্তি দিতে না দিতেই থিয়েটারে ছবিটি মুখ থুবরে পড়েছিল। অগত্যা এক সপ্তাহান্তেই থিয়েটার থেকে ছবি উঠিয়ে নিতে হল। মুষড়ে পড়লেন সত্যজিৎ। আশ্চর্যজনকভাবে কিছুদিন পরেই word of mouth হয়ে ছবির কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। পুনরায় আরেকটি হলে ছবি মুক্তি দেওয়া হল। এবার বেশ সফলতার সাথেই ছবিটি ৭ সপ্তাহ ধরে চলল।

১০

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু দেখলেন পথের পাচাঁলি। পথের পাচাঁলি দেখে বেশ উচ্ছসিত তিনি। এরমধ্যেই Best Feature Film ও Best Bengali Feature Film হিসেবে ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে গেছে। ঠিক হলো পথের পাচাঁলিকে ভারতের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিতব্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হবে। কিন্তু বেঁকে বসলেন রুই-কাতলাদের কেউ কেউ। তারা যুক্তি রাখলেন – এই ছবি ভারতের দরিদ্রতাকে তুলে ধরে, কাজেই একে বর্হিবিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা ভারতের কূটনৈতিক কল্যাণের পক্ষে মোটেও সমীচিন হবে না। কিন্তু কাজ হলো না – শেষ হাসিটা হাসলেন সত্যজিৎই। প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর ব্যক্তিগত তাগাদায় পথের পাচাঁলি কানে অংশগ্রহণ করল। কানে ছবিটি অংশ নিয়েছিল একদম শেষের দিন – ছোটোখোটো একটি অনুষ্ঠানে। কয়েকজনমাত্র সমালোচক উপস্থিত ছিলেন সেদিন। শেষের দিন ছবি দেখে উপস্থিত সবাই একপ্রকার petrified হয়ে গিয়েছিলেন। ছবি দেখে সমালোচক Arturo Lenocita আবেগ প্রকাশ করলেন – ‘the magic horse of poetry….invading the screen.’ বলে। পথের পাচাঁলি জিতে নিল Best Human Document পুরস্কার। কানের পর থেকে পথের পাচাঁলিকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একে একে রোম, ম্যানিলা, বার্লিন, স্যান ফ্রান্সিসকো, ভাঙ্কুভার, স্ট্র্যাডসফোর্ড, নিউ ইয়র্ক, জাপান, ডেনমার্ক ও ব্রিটিশ ফিল্ম একাডেমি থেকে ঈর্ষণীয় সব পুরস্কার জিতে নিল ছবিটি।

১১

পথের পাচাঁলির সবচেয়ে চমকপ্রদ অধ্যায় বোধহয় এর নিউ ইয়র্ক রিলিজ। সত্যজিৎ রায়ের বিষয় চলচ্চিত্র  বইয়ে এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘নিউ ইয়র্ক ছবির বাজারে সকলেরই বিশ্বাস যে, নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার চিত্রসমালোচক বজলী ক্রাউদারের মতামতের উপর ছবির আয়ু একান্তভাবে নির্ভরশীল। পথের পাচাঁলি যখন নিউ ইয়র্কে মুক্তিলাভ করল, তখন ক্রাউদার লিখলেন, এ ছবি পাশ্চাত্য সমাজে অপাংক্তেয়। ছবির পরিবেশনের কাজে যারা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা সকলেই প্রমাদ গুনলেন। এই পথের পাচাঁলি ছবিই শেষ পর্যন্ত শত্রুর মুখে ভস্মপ্রদান করে নিউ ইয়র্ক শহরেই চলেছিল ৩৪ সপ্তাহ’।

১২

বিশ্ব Parallel cinema’র ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ছবি কোনটি? অপুত্রয়ী (The Apu trilogy)। হ্যাঁ, পথের পাচাঁলির দুটো ছবি পরে তোলা অপরাজিত আর ১৯৫৯ সালে তোলা অপুর সংসার মিলে এই অপুত্রয়ী। কাদের পেছনে ফেলে অপুত্রয়ী প্রথম হয়েছে? Toy story trilogy, The lord of the Rings trilogy আর Star wars trilogy’কে পিছনে ফেলে। আর পথের পাচাঁলি Sight and Sound ম্যাগাজিনের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ছবির তালিকায় সবসময় সেরা ৫০-এ ছিল। এই ছবির পর থেকে সত্যজিৎকে আর কোনোদিন পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

 

[তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া, বিষয় চলচ্চিত্র-সত্যজিৎ রায়]

সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কর্ম ও জীবনের ওপর ভিত্তি করে ডকুমেন্টরি ছবি The World of Satyajit Ray নির্মান করেছেন এ প্রবন্ধের লেখক লিখন চন্দ্র দত্ত । নিচে ডকুমেন্টরিটির ট্রেলারের ইউটিউব লিঙ্কটি যুক্ত করে দেয়া হলো। 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *