November 24, 2024
ফিচার ১সাহিত্যবই নিয়ে আলাপ

পুরুষ ও মেয়েদের খোদা সমান শক্তি দিয়েই সৃষ্টি করেছে: বঙ্গবন্ধু

আতিকুল ইসলাম ইমন।। মানুষের অধিকার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতি করেন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদরা। তবে সাম্যের কথা বলতে গিয়ে সমাজের যে জায়গাটিতে সবার আগে  সমতার প্রয়োজন, সেটি প্রায়ই এড়িয়ে যান তারা। সমাজে নারী ও পুরুষের মধ্যে সাম্য ও সমতার গান গাইতে পারেন খুব কমই। ধর্মে, বর্ণে, গোত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বললেও লৈঙ্গিক সাম্যের কথা তাদের মুখে শোনা যায় না বললেই চলে। যেন লিঙ্গ বৈষম্য খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।

লিঙ্গ সমতার রাজনীতি নিয়ে উদাসীন হওয়ার পেছনে যে কারণটি সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল, সেটি হল অধিকাংশ রাজনীতিবিদই ব্যাক্তি মানসিকতায় প্রচণ্ড পুরুষতান্ত্রিক। তারা পিতৃতান্ত্রিক ধ্যান ধারণার জালে বন্দী। এছাড়া ভোটের রাজনীতি বলে আরেকটি বিষয় প্রচণ্ডভাবে কাজ করে আমাদের মত অনগ্রসর সমাজের রাজনীতিতে। নারী-পুরুষের সাম্যের কথা বললে তা প্রায়ই প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে যায়। এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাম্যের কথা বলতে পারেন না বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ।

অজ্ঞতাও এর একটা অন্যতম কারণ। নারী-পুরুষের সমতা যে উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক তা বুঝতে অসুবিধা হয় তথাকথিত বড় বড় রাজনীতিবিদদের। তাই বিশাল সব পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিলেও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে খুব কম রাজনীতিবিদকেই দেখা যায়।

আবার কিছু আছেন, তারা বোঝেন যে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নসহ বৈষম্যহীন আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে লৈঙ্গিক সমতা সবার আগে জরুরি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, লৈঙ্গিক সমতার প্রয়োজনের কথাটি তারা জোর গলায় বলতে পারেন না। কারণ ওই একটিই- ভোটের রাজনীতি। ফলে পিতৃতন্ত্রের বেড়াজালের বাইরে যেতে পারেন না তারা।

এই যখন বাস্তবতা, তখন এর মাঝেও এমন কিছু কালজয়ী রাজনীতিবিদ বা সমাজ সংস্কারক জন্মান, যাদের দেখার চোখ, উপলব্ধির ক্ষমতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শীতা সবার চেয়ে আলাদা। তারা যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে নির্দ্বিধায় বলে যেতে বা করতে পিছপা হননি। মূলত তারাই এ পৃথিবীতে পরিবর্তন যা কিছু হয়েছে তার মূল কারিগর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেইসব কালজয়ী রাজনীতিবিদদের একজন যিনি তার আদর্শের কথা অকপটে বলে গেছেন ও সে অনুযায়ী সমাজ ও দেশ গড়তে আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর মাত্র ৫৫ বছর জীবনের প্রায় ১৪ বছরই কেটেছে কারাগারে। পুরো রাজনৈতিক জীবনটাই কাটাতে হয়েছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সময় পেয়েছেন খুবই কম। এর মাঝেও যা কিছু নীতি ও পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি, তাতে তার সাম্যবাদী চিন্তাধারা ও আদর্শ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বলতে আমরা যা বুঝি তা পুরোপুরি সাম্যবাদী, ভেদাভেদহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধু তার পুরো জীবনটাই ব্যয় করেছেন মানুষে মানুষে সমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই করে। শুধু ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণির বিভেদ নয়, স্পষ্ট করে বলে গেছেন লিঙ্গ বৈষম্যের কথাও। এ নিয়ে ভেবেছেন, লিখেছেন, এ বিভেদের কথা মাথায় রেখে নীতি প্রণয়নে সচেতন থেকেছেন।

এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নির্ভর ভ্রমণকাহিনী ‘আমার দেখা নয়াচীন’ পড়ে আবারও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চরিত্রের এই  বিশেষ দিকটি নজরে এলো।

বইটির ভূমিকায় আমরা রচনার প্রেক্ষাপট জেনেছি। ১৯৫২ সালের ২-১২ অক্টোবর যুবক শেখ মুজিব চীনে এশিয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সফর করেন। পরে ১৯৫৪ সালে কারাগারে বন্দী অবস্থায় নয়াচীন ভ্রমণে তার অভিজ্ঞতা রচনা করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার পরামর্শে বঙ্গবন্ধু কীভাবে তার স্মৃতিকথা লেখা শুরু করলেন তা আমরা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে জানতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধু কারা প্রকোষ্ঠে বসে খুব সহজ সাবলীলভাবে যা লিখে গেছেন তা আজ আমাদের তার ধ্যান ধারণা, চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে জানতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে ভ্রমণকাহিনী লিখলেও তিনি কোন নিয়মিত পর্যটক নন। কোনো নিয়মিত বিশ্লেষক নন। কিন্তু তবুও তার লেখায় বিপ্লব পরবর্তী চীনের সমাজের সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয়গুলো এত নিখুঁতভাবে উঠে এসেছে যা একজন সমাজচিন্তকই পারেন।

বিপ্লব পরবর্তী চীন ভ্রমণ করে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, সৌন্দর্য আর নতুন দেশ দেখার আনন্দের বাইরেও বঙ্গবন্ধুর দক্ষ চোখে ধরা পড়েছে চীনের সামাজিক চিত্র। নয়াচীন কী করে এগিয়ে যাচ্ছে, কী করলে আরো এগিয়ে যাবে, এসব নিয়ে ভেবেছেন তিনি। নয়াচীনের কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা খুঁটিনাটি লক্ষ্য করেছেন বঙ্গবন্ধু। তার চোখে ধরা পড়েছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন। আজীবন  সাম্যবাদের পূজারী শেখ মুজিব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন কীভাবে, কোথায়, কী করে বিপ্লব পরবর্তী চীনে সাম্য প্রতিষ্ঠা হল।

বিপ্লব পরবর্তী চীনে নারীর ক্ষমতায়ন বা লৈঙ্গিক সমতা দেখে তার ভাবনা লিখেছেন বঙ্গবন্ধু।

নয়াচীন পর্যবেক্ষণ করে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘পুরুষ শ্রেষ্ঠ আর স্ত্রী জাতি নিকৃষ্ট’ এই পুরানো প্রথা অনেক দেশে বহুকাল থেকে চলে আসছে, তাহা আর নয়াচীনে নাই। আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আজ নয়াচীনে সমস্ত চাকরিতে মেয়েরা ঢুকে পড়েছে। পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করছে।  প্রমাণ করে দিতেছে পুরুষ ও মেয়েদের খোদা সমান শক্তি দিয়েই সৃষ্টি করেছে। সুযোগ পেলে তারাও বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, ডাক্তার, যোদ্ধা সকল কিছুই হতে পারে’।

এখানে উল্লেখ করা যায় যে, ‘নারীর চেয়ে পুরুষ শ্রেষ্ঠ’ এমন অবৈজ্ঞানিক, ভুল ধ্যান ধারণা এদেশে ভেঙ্গে দিতে বঙ্গবন্ধু তার দল আওয়ামী লীগে বড় একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতনের যাঁতাকলে আওয়ামী লীগ যখন সংকটে, সেই চরম মুহুর্তে দলের বহু নেতার বিরোধীতা সত্ত্বেও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আমেনা বেগমকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন বঙ্গবন্ধু। আমেনা বেগমের হাতে সঁপে দেন ছয় দফা আন্দোলনের নেতৃত্বভার। উত্তাল সময়ে একজন নারীর নেতৃত্ব দেশবাসী মানবে কি না- দলের বহু নেতার এমন সংশয়পূর্ণ ধারণার জবাবে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন, ‘নারীদেরও পুরুষদের মত সমান অধিকার এবং তা রাজনীতির ক্ষেত্রেও’।

নয়াচীনে সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দেখে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘নয়াচীনের মেয়েরা আজকাল জমিতে, ফ্যাক্টরিতে, কলে-কারখানাতে, সৈন্যবাহিনীতে দলে দলে যোগদান করছে। সত্য কথা বলতে গেলে, একটা জাতির অর্ধেক জনসাধারণ যদি ঘরের কোণে বসে শুধু বংশবৃদ্ধির কাজ ছাড়া আর কোনো কাজ না করে তা হলে সেই জাতি দুনিয়ায় কোনোদিন বড় হতে পারে না’।

আমার দেখা নয়াচীন বইটিতে সেই ১৯৫৪ সালে জাতির পিতা অকপটে লিখে গেছেন এ সমাজে নারীদের পিছিয়ে থাকার কারণ। তিনি লিখেছেন নারীদের অগ্রযাত্রায় ধর্মীয় লেবাসধারী একদল লোক কীভাবে বাধা সৃষ্টি করে।

নয়াচীনে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়া দেখে উচ্ছ্বসিত বঙ্গবন্ধুর কলমে ফুটে উঠেছে এই লাইনগুলো , ‘নয়াচীনে পুরুষ ও নারীর সম অধিকার কায়েম হওয়াতে আজ আর পুরুষ জাতি অন্যায় ব্যবহার করতে পারে না নারী জাতির ওপর। আমাদের দেশের কথা চিন্তা করে দেখুন। যদিও আইনে আমাদের দেশে নারী পুরুষের সমান অধিকার, তথাপি আমাদের দেশের শিক্ষিত অশিক্ষিত লোকের মনে এই ধারণা যে, পুরুষের পায়ের নিচে মেয়েদের বেহেশত। পুরুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। মেয়েদের নীরবে সব অন্যায় সহ্য করতে হবে বেহেশতের আশায়। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে মেয়েদের নির্ভর করতে হয় পুরুষদের অর্থের ওপর। কারণ আমাদের দেশে অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত কিছু সংখ্যক মোল্লা পর্দা পর্দা করে জান পেরেশান করে দেয়। কোনো পুরুষ যেন মুখ না দেখে। দেখলে আর বেহেশতে যাওয়া হবে না। ’

বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আমাদের দেশে অনেকে চার বিবাহ করে। পুরুষ যদি চার বিবাহ করে তবে মেয়েরা অন্যায় করেছে কি ?’

‘পুরুষের পায়ের নিচে মেয়েদের বেহেশত’ এমন আদর্শবাদী কথা বলে নারীদের দমন করার যে সামাজিক প্রবণতা তার সমালোচনা নির্দ্বিধায় করেছেন বঙ্গবন্ধু। অথচ তখনকার সমাজ ছিলো আরও রক্ষণশীল আরও পিছিয়ে থাকা। সেই সময়ে যদি বঙ্গবন্ধু এমন কথা অকপটে লিখতে পারেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর গড়ে দেওয়া দেশে এ কথা বলতে আমাদের কিসের এত দ্বিধা?

চীনে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নায়ক মাও সেতুং বলেছিলেন- চীনে বিপ্লবের আগে একজন পুরুষ তিনটি কর্তৃত্ব ব্যবস্থার অধীনে বাঁধা ছিল। রাজনৈতিক কর্তৃত্ব, সামন্তবাদী কর্তৃত্ব ও ধর্মীয় কর্তৃত্ব। নারীদের এই তিনটি কর্তৃত্ব ব্যবস্থার পাশাপাশি আরেকটি বাড়তি কর্তৃত্বের বোঝা বইতে হত। তা হলো পুরুষতন্ত্র (স্বামীর কর্তৃত্ব)।

মাও সেতুংয়ের সেই নয়াচীনে নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠা দেখে বঙ্গবন্ধু যে কত খুশি হয়েছিলেন তা প্রকাশ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘নারী-পুরুষের সমান অধিকার কায়েম হওয়ার পরে মেয়েদের ওপর যে অসম্ভব রকমের অত্যাচার পূর্বে হতো তা আজ চীনে বন্ধ হয়ে গেছে। নয়াচীন সরকারের মধ্যে বড় বড় পদ মেয়েরা আজ অধিকার করেছে যেমন, ম্যাডাম সান ইয়াৎ-সেন আজ সহ সভাপতি এবং আর একজন মহিলার সাথে আলাপ হয়েছিল তিনি হলেন নয়াচীন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাডাম লু’।

নয়াচীন এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র নারীর ক্ষমতায়নকে চিহ্নিত করে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘যে সমস্ত ফ্যাক্টরি, কলকারখানা, সরকারি অফিসে আমি গিয়েছি সেখানেই দেখতে পেয়েছি মেয়েরা কাজ করছে; তাদের সংখ্যা স্থানে স্থানে শতকরা ৪০ জনের ওপরে। নয়াচীনের উন্নতির প্রধান কারণ পুরুষ ও মহিলা আজ সমানভাবে এগিয়ে এসেছে দেশের কাজে। সমানভাবে সাড়া দিয়াছে জাতি গঠনমূলক কাজে। তাই জাতি আজ এগিয়ে চলেছে উন্নতির দিকে’।

আজীবন সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যুদ্ধরত বঙ্গবন্ধু যখনই রাষ্ট্রক্ষমতা পেয়েছেন তখনই লৈঙ্গিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় জোরালো নীতি ও পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে একাধিক অনুচ্ছেদ যুক্ত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সংরক্ষিত নারী আসন যুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু। তার আমলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদভার সামলিয়েছেন একজন নারী (নীলিমা ইব্রাহিম)। স্বাধীনতার পর দুর্দশাগ্রস্ত নারীদের জন্য জাতীয় মহিলা সংস্থা গঠন করেছেন। এরকম নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও নীতি প্রণয়ন করে সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীর ক্ষমতায়নে তার চিন্তা বাস্তবায়ন করেছেন।

সাম্যের জয়গান গাওয়া বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি পড়ে আরও বেশি করে জানতে পেরেছি বঙ্গবন্ধুর সাম্যবাদকে। বিপ্লব পরবর্তী চীনে সাম্য দেখে তার উচ্ছ্বাস ও নানা পরামর্শ পড়ে আমরা জানতে পেরেছি বঙ্গবন্ধুর সাম্যবাদ মানে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। আজকে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন ও পালন করতে চায় তারা নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর এ স্মৃতিচারণমূলক বইটি পড়বে এবং নারী-পুরুষের ক্ষমতায়ন নিয়ে কোনো সেকেলে পুরুষতান্ত্রিক ধারণা আজো আঁকড়ে ধরে থাকলে তা অবিলম্বে পরিত্যাগ করবে।

আতিকুল ইসলাম ইমন: সাংবাদিক