April 29, 2024
ফিটনেস ও সুস্থতা

পিরিয়ডের সময় যে ১০টি পরামর্শ অবশ্যই মাথায় রাখবেন

বিদেশি পত্রিকার ফিচার অবলম্বনে লিখেছেন পূরবী চৌধুরী ।।

মাসিক বা ঋতুচক্র হলো একটি অতি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। মাসিক মূলত মেয়েদের সন্তান জন্ম দেবার শারীরিক গঠন বা প্রক্রিয়ার অংশ, যা প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে শরীরের ভেতর ঘটতে থাকে। প্রতিটি ভ্রুণ তৈরি হয় শুক্রানু ও ডিম্বাণুর মিলিত হবার প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে। নারীর শরীরে উৎপাদিত ডিম্বানু পরিপক্ক হয়ে নিষিক্ত হবার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে, যখন এটি নিষিক্ত হয় তখন গর্ভধারণ হয়; কিন্তু যদি তা না হয় তখন ডিম্বানুটি নষ্ট হয়ে রক্ত আকারে জরায়ু পথে বের হয়ে যায়। মেয়েদের শারীরিক এই প্রক্রিয়াটিই মাসিক বা ঋতুচক্র নামে পরিচিত। এই সময়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর থাকা খুব জরুরি। তাই এই বিষয়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ বা টিপস জানবো।

বেশিরভাগে মেয়েই মাসিক হওয়াকে গোপন করে রাখেন এবং এই সময় স্বাস্থ্যকরভাবে চলাচল করছি নাকি করছি না সে বিষয়ে একেবারেই কেউ চিন্তা করেন না। হয়ত এমন হয় যে সারাদিন ধরে একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন বা একই ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন। অথচ এই ন্যাপকিন বদলানোর নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সে বিষয়ে আমরা জানিনা। বিশেষ করে গ্রাম ও ছোট শহরগুলোতে মেয়েরা এখনো তাদের মাসিকের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড়ের টুকরা বারবার ব্যবহার করে থাকে। মাসিক হওয়াকে এখনো অশুচি বা অপরিষ্কার হিসেবে মানা হয়, এমনকি কোনো কোনো বাড়িতে নোংরা কাপড় ধোয়ার জন্য ডিটারজেন্ট পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। কিন্তু মাসিক হবার প্রক্রিয়াটি প্রত্যেক মেয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি সুস্থ-স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই সময়টি মেয়েদের খুব সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পার করা উচিত। এখানে মাসিকের সময় স্বাস্থ্যকর থাকার কিছু পরামর্শ বা টিপস আলোচনা করা হবে যা হয়তো আপনি শোনেন নি কখনো।

১. পরিচ্ছন্নতার জন্য কোন পদ্ধতি বেছে নেবেন, ঠিক করুন 

বর্তমানে মাসিকের সময় পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতির সাথে রয়েছে – স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পনস এবং মিন্সস্ট্রুয়াল কাপ ইত্যাদি। বর্তমানে বেশিরভাগ মেয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ট্যাম্পন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এটার সর্বনিম্ন শোষণ ক্ষমতা কত এবং তা আপনার প্রবাহমাত্রা বা প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত কিনা। এখানে একটা বিষয় বলা দরকার তা হলো, মাসিকের প্রবাহমাত্রার উপর নির্ভর করে কে স্যানিটারি ন্যাপকিন পছন্দ করেন কিংবা সুরক্ষার পদ্ধতি নির্বাচন করেন। যেমন স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন। আবার কেউ কেউ একটা নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড ছাড়া ব্যবহার করেন না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড নিয়মিত ব্যবহার করেন এবং সেটি যেন আপনার সব প্রয়োজন মেটায়। দ্রুত ব্র্যান্ড পরিবর্তন করা অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হতে পারে কারণ প্রত্যেকটা ব্র্যান্ড আলাদা আলাদা বৈশিষ্ঠ্য বহন করে এবং আপনার সেটা পছন্দ নাও হতে পারে।

২. সময়মতো স্যানিটারি প্যাড বদলানো

মাসিকের রক্ত যখন শরীর থেকে বের হয়ে যায় তখন শরীরের বসবাসকারী অনুজীবগুলো দ্বারা দূষিত হতে পারে। মাসিকের শেষের দিকে যখন ব্লিডিং কম হয় তখনও এই ধরণের অনুজীবের আক্রমণ হতে পারে। যদি ব্যবহৃত ন্যাপকিনটি স্যাঁতস্যাঁতে হয় তাহলে যোনির মধ্যে থাকা অনুজীবগুলো ঘামের মাধ্যমে যৌনাঙ্গে যেতে পারে। যখন অনুজীবগুলো উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশ পায় তখন এরা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে, যার ফলে ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন এবং স্কিন র‍্যাশ হতে পারে।

প্যাড বা ন্যাপকিন পরিবর্তন করার সঠিক সময় ৬ ঘণ্টা পর পর, যেখানে ট্যাম্পন দুই ঘন্টা পর পর বদলাতে হয়। এটি পরিবর্তনের সময় আপনার প্রয়োজনের সাথে সম্পর্কিত। কোনো নারীর রক্তপ্রবাহ বেশি হলে দ্রুতই পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, আবার কারো জন্য সেটা পরিমাণে অল্প হয়। আবার অনেক সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন যদি পুরোপুরি না ভেজে বা ব্যবহৃত নাও হয় তবু নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপনাকে অবশ্যই এটি পরিবর্তন করতে হবে। ট্যাম্পন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভ্যাজাইনার ভেতর ঢুকানো থাকে যা দীর্ঘ সময় থাকলে টক্সিক শক সিন্ড্রোম বা টিএসএস-এর মতো অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে শরীরের ভেতর ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করে মারাত্মক সংক্রমণের সৃষ্টি করতে পারে, যার হয়তো দ্রুত চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়। সেটা নাহলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটবার সম্ভাবনা থাকে।

৩. নিয়মিত নিজেকে ধুয়ে পরিস্কার রাখা

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্ত ভ্যাজাইনা ও আশেপাশের ত্বকে লেগে থাকে যা অবশ্যই নিয়মিত ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে ভ্যাজাইনার আশেপাশে দুর্গন্ধ থাকেনা। সুতরাং এটি খুব জরুরি যে যখন প্যাড বা ন্যাপকিন পরিবর্তন করা হয় তখন অবশ্যই ভ্যাজাইনা ও ল্যাবিয়া ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যদি ধোয়া না হয় তাহলে ভেজা রুমাল বা টিস্যু দিয়ে পরিস্কার করা যেতে পারে।

৪. সাবান বা ভ্যাজাইনাল হাইজিন প্রডাক্ট ব্যবহার করা যাবেনা

ভ্যাজাইনার নিজেকে পরিস্কার রাখার নিজস্ব কৌশল রয়েছে, যা এত ভালো কাজ করে যে ভালো ও খারাপব্যাকটেরিয়াগুলোর ভারসাম্য নিজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সাবানের ব্যবহার ভ্যাজাইনার ভালো ব্যাক্টেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলে এবং সংক্রমণের দিকে যাবার রাস্তা তৈরি করে। সুতরাং যোনি ও এর আশেপাশে নিয়মিত পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে একটু উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু সাবান ব্যবহার করা যাবে না।

৫. সঠিকভাবে ধোয়ার পদ্ধতি

ধোয়ার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ভ্যাজাইনা থেকে মলদ্বার পর্যন্ত হয়। কখনোই বিপরীত অভিমুখে পরিস্কার করা যাবে না। কারণ এতে মলদ্বারের ব্যাক্টেরিয়া ভ্যাজাইনা ও মূত্রনালীর পথে গিয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এক্ষেত্রে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

৬. আপনার ব্যবহৃত ন্যাপকিন বাতিল করা বা ফেলে দেবার সঠিক পদ্ধতি

এটা অত্যন্ত জরুরী যে আপনার ব্যবহৃত ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন সঠিক পদ্ধতিতে ফেলতে হবে, কারণ এটি জীবানু ও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। ফেলার আগে ভালো করে এটিকে মোড়াতে হবে যাতে জীবানু বা দুর্গন্ধ না ছড়ায়। ব্যবহৃত প্যাড কখনোই টয়লেট বা কমোডে ফেলা যাবেনা না কারণ এটি যেহেতু গলে যাবেনা তাই টয়লেটের রাস্তায় জমে বাধা তৈরি করতে পারে। আর একটি বিষয় মনে রাখা খুব জরুরি তা হলো ব্যবহৃত প্যাড বা ট্যাম্পন ফেলে দেবার পর হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

৭. প্যাড ব্যবহারের ফলে র‍্যাশ থেকে সাবধান

প্যাড র‍্যাশ হবার তখন বেশি সম্ভাবনা থাকে যখন রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেশি থাকে। এটি তখনই হতে পারে যখন আপনি দীর্ঘসময় স্যাঁতস্যাঁতে প্যাড পরে থাকবেন এবং দুই উরুর ঘষার কারণে এটি হবার সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের অস্বস্তি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যতটা সম্ভব শুকনো প্যাড ব্যবহার করতে হবে, তার মানে আপনাকে নিয়মিত প্যাড পরিবর্তন করে জায়গাটি শুকনো রাখতে হবে। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোনো অ্যান্টিসেপটিক অয়েনমেন্ট গোসলের পর এবং রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে র‍্যাশ সেরে উঠতে এবং পুনরায় আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিকেটেড পাউডারও ব্যবহার করা যায় যা আক্রান্ত জায়গাকে শুষ্ক রাখতে সহায়তা করবে।

৮. একই সময়ে কেবলমাত্র একটি পদ্ধতি বা মাধ্যম ব্যবহার করুন

যাদের মাসিকের রক্তপ্রবাহ অনেক বেশি থাকে তারা অনেকেই এই সময় কয়েকটা পদ্ধতিতে প্যাড বা ট্যাম্পন ব্যবহার করে থাকেন- ১. দুইটা স্যানিটারি প্যাড, ২. একটা ট্যাম্পন এবং স্যানিটারি প্যাড, ৩. একটা স্যানিটারি প্যাড সাথে একটা কাপড়ের টুকরা একসাথে। এটা এমনিতে ভালো পদ্ধতি মনে হলেও এটি আসলে ভালো নয় বরং নিয়মিত প্যাড পরিবর্তন বেশি ভালো। দুইটা প্যাড একসাথে ব্যবহার বা একটা প্যাড এবং একটা ট্যাম্পন একসাথে ব্যবহার করা খারাপ কারণ দুইটা প্যাড একসাথে রক্ত শোষণ করছে এবং তা পুরো ব্যবহৃত হয়েছে কিনা আপনি তা প্রায়ই দেখতে পাচ্ছেন না। ফলে স্বাস্থ্যকরভাবে আপনি যে সঠিক সময় অন্তর প্যাড পরিবর্তন করতেন তা করছেন না। এটাও র‍্যাশ, নানা টাইপ সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং ট্যাম্পনের ক্ষেত্রে টিএসএস পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা ঘটনাও ঘটে তা হলো অতিরিক্ত ব্লিডিং থেকে সুরক্ষার জন্য অনেকে প্যাডের সাথে কাপড়ের টুকরা ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু এই কাপড়টি ব্যবহার আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। সবশেষে দুইটা প্যাড একসাথে ব্যবহার খুবই অস্বস্তিকর এবং যা বাজে র‍্যাশ হওয়ার পাশাপাশি আরো নানা মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে।

৯. নিয়মিত স্নান করতে হবে

নিয়মিত স্নান করতে বলার পরামর্শ দিলে যে কেউ অবাক হতে পারে কিন্তু এটাও সত্যি যে কোনো কোনো এলাকার রীতি অনুসারে মাসিকের সময় স্নান করা যাবে না এমন বিশ্বাসও রয়েছে। এই মিথ বা ধারণা অনেক পুরনো কারণ সেই সময় সবাই গোসল বা স্নান করতো খোলা জায়গায় এবং সবার জন্য একটা সাধারণ গোসলের স্থান থাকতো। যেমন নদী বা হ্রদ বা পুকুর, যেখানে মাসিকের রক্ত মিশে যেতে পারে। হয়তো এ কারণেই এই ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাড়ির ভেতরে জলের ব্যবস্থা করে মাসিকের সময় আপনি আপনার পরিচ্ছন্নতার জন্য সবচেয়ে ভাল পন্থাটি নিতে পারেন। গোসল শুধু পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আনে না বরং এই সময় আপনি আপনার শরীরের গোপন জায়গাগুলো ভালোভাবে পরিস্কার করতে পারেন। স্নানের কারণে তলপেটে কিংবা কোমর  ব্যাথা কমানো ছাড়াও এটি আপনাকে মানসিক স্বস্তি দেবে। আপনি যদি এই সময়ের তলপেট এবং কোমর ব্যাথা থেকে মুক্তি চান তাহলে হালকা গরম জলের শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকুন এবং খেয়াল রাখবেন যাতে জল আপনার তলপেট ও কোমর স্পর্শ করে নামে। এটি করলে আপনি অনেকটাই আরাম পাবেন।

১০. মাসিকের সময় যে জিনিসপত্রগুলো আপনার সাথে রাখা জরুরি

যখন আপনার পিরিয়ড হবে তখন প্রস্তুত থাকা জরুরি। সবসময় অতিরিক্ত স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পন একটা পরিষ্কার থলি বা পেপারের ব্যাগে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে, এছাড়া একটা নরম তোয়ালে, কিছু পেপার টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ছোট বিন ব্যাগ, কিছু স্বাস্থ্যকর নাস্তা, এক বোতল জল, একটি অ্যান্টিসেপটিক টিউব, ব্যাথার ওষুধ (ডাক্তারের পরামর্শমতো) সাথে রাখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

নিয়মিত স্যানিটারি প্যাড বদলানো খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই আপনার অতিরিক্ত প্যাড সংরক্ষণে রাখা জরুরি। এগুলো সঠিক উপায়ে জীবানুমুক্ত করে সংরক্ষণ করাটাও ততোটাই জরুরি যতটা আপনার নিয়মিত প্যাড পরিবর্তন জরুরি। ব্যাগের ভেতর উন্মুক্ত বা খোলা অবস্থায় প্যাড রাখলে সেখান থেকে প্যাডটি জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ফলে এই প্যাড ব্যবহারেও আপনার ইউটিআই (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন) বা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা থাকে। নরম তোয়ালে আপনি হাত ও মুখ মোছার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন যদি আপনি সেটি নিয়মিত পরিষ্কার রাখেন। পেপার তোয়ালে দিয়ে ধোয়ার পর আপনার ভ্যাজাইনা বা ব্যক্তিগত শারীরিক অংশ মুছে শুকিয়ে নিতে পারেন। এখানে টয়লেট টিস্যু না ব্যবহার করাই ভালো কারণ এটি খুব নাজুক থাকে যা পানির ছোঁয়া পেলে নষ্ট হয়ে যায়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, আপনার হাত জীবানুমুক্ত রাখা দরকার, কারণ আপনাকে ফ্ল্যাশের নব বা পানির ট্যাপ ধরার প্রয়োজন হয়। নাস্তার কিছু আইটেম আপনার সাথে রাখা প্রয়োজন কারণ আপনি যদি মাসিকের কারণে দুর্বল বা ক্লান্ত অনুভব করেন তখন এটি খেয়ে নিতে পারবেন। সাথে এক বোতল পানি আপনার শরীরে জলীয় অংশের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *